প্রতিবেদন
কাশ্মীরে অবরোধের তিন মাস : দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব

কাশ্মীরের বন্দীদশার তিন মাস পূর্ণ হতে চললো। যাঁরা কাশ্মীর নামক জেলখানার ভিতরে আছেন তাঁদের অতীত এবং বর্তমানকে মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে। যাঁরা ঐ জেলখানার বাইরে আছেন তাঁদের জন্য রাষ্ট্র এবং তার মিডিয়াতন্ত্র এই ইতিহাস বিলোপকে ‘স্বাভাবিক’ করে তুলছে। তাই দিন-মাস-বছরের নীরস হিসেব রেখে চলা আজকের সময়ের দাবি; আমরা যাতে মনে রাখতে পারি মানুষের পরাধীনতা ‘স্বাভাবিক’ নয়।

৫ অগস্টের সকালে লাসিপোরা শিল্পাঞ্চলের মধ্যে স্থিত ৪৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি ক্যাম্পে প্রায় ২০-৩০ জন স্থানীয়-কে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে ‘বেগার’ খাটতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। ‘বেগারি’ শব্দটি কাশ্মীরের সন্দর্ভে এক ঐতিহাসিক ক্ষতের স্মৃতি বহন করে। যে সামন্ততান্ত্রিক জাগিরদীরি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কাশ্মীরে গণআন্দোলন গড়ে উঠেছিল তার অন্যতম উপকরণ ছিল বেগারি প্রথা যা কৃষিজীবী কাশ্মীরীদের একটা বড় অংশকে ক্রীতদাসে পরিণত করেছিল। এই প্রথার অবলুপ্তি কাশ্মীরীদের কাছে তাঁদের স্বাধীনতার সর্বপ্রথম লক্ষণগুলির একটি। এতবছর পরে কাশ্মীরের রোজনামচায় এই শব্দের প্রত্যাবর্তন বলে দিচ্ছে কোন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা তাঁরা করছেন। অগস্ট পরবর্তী অভিজ্ঞতা বলছে সেই আশঙ্কা অমূলক নয়।

কাশ্মীরে পুলিশ, সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে সংঘটিত রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ হিংসা বিষয়ে আমরা আগেও লিখেছি, আবারও লিখবো। কিন্তু এই প্রত্যক্ষ হিংসার আড়ালে আইনতন্ত্র এবং আমলাতন্ত্রের সাহায্যে ঘটে চলা অপ্রত্যক্ষ প্রাতিষ্ঠানিক হিংসা নিয়েও কথা বলা প্রয়োজন।

nagarik kashmir

 

নগরজীবনের গবেষক স্টিফেন গ্রাহাম বলেন যেসব পরিকাঠামো আধুনিক জীবনকে চালনা করে সেগুলি ক্রমেই রাজনৈতিক হিংসার কেন্দ্রীয়ে চলে আসছে কারণ এর মাধ্যমে নাগরিক জীবনকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে কার্যকরী করতে ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল ওয়ার’ বা ‘পরিকাঠামোগত যুদ্ধ’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। লেবানন এবং গাজায় ইজরায়েলী অবরোধ এর অন্যতম উদাহরণ। কাশ্মীরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা তার নাগরিকজীবনকে ঠিক একইভাবেই বিপর্যস্ত করছে। এটি প্রাতিষ্ঠানিক হিংসার একটি প্রকরণ যার লক্ষ্য কাশ্মীরীদের ভূসম্পদের অধিকারহরণ, তাঁদের জীবন ও জীবিকার সাধনগুলিকে একে একে দখল করা বা বিকিয়ে দেওয়া।

৫ অগস্টই সরকারের পক্ষ থেকে কিছু বিশেষ ক্ষেত্র বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য চিহ্নিত করা হয়, যেমন শুকনো ফল এবং আপেলের চাষ, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পর্যটন। এর অনেকগুলিই এতদিন কাশ্মীরের আঞ্চলিক শিল্পের আওতায় পড়তো এবং স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের মাধ্যম ছিল। এই ক্ষেত্রগুলিতে বহুজাতিক পুঁজির অবাধ আনাগোনায় স্থানীয় শিল্পোদ্যোগ ব্যাহত হবে, কাশ্মীরের কৃষি এবং ক্ষুদ্রশিল্প দুইয়ের উপরই সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে। এমনিতেও প্রায় তিনমাসের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার প্রভাব আপেল-চাষ এবং তার সঙ্গে যুক্ত শিল্পে সবার আগে চোখে পড়ছে। আপেল কাশ্মীরের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের রুজি-রোজগারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। হস্তশিল্পের মত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষুদ্রশিল্পও একই কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।ছোটো দোকানিরা এতটাই আর্থিক অনটনে পড়েছেন যে তাঁদের সন্তানদের স্কুল ছাড়িয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

kashmir

 

জম্মু ও কাশ্মীরের বনসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ ২০১৯-এর অগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে এমন ১২৫টি প্রকল্পকে মঞ্জুরি দিয়েছে যেখানে বনভূমিকে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যাবে। জম্মু ও কাশ্মীর অরণ্য আইন, ১৯৯৭ অনুযায়ী এই উপদেষ্টা পরিষদের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ক্যাবিনেট বিভিন্ন প্রকল্পকে আইনি সম্মতি দিত। গোটা ২০১৮ সালে যেখানে ৯৭টি প্রকল্প পরিষদের ছাড়পত্র পেয়েছিল সেখানে মাত্র তিনমাসে বনভূমির উপর নির্ভরশীল স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের সঙ্গে কোনোরকম আলাপ-আলোচনা ছাড়া এতগুলি প্রকল্প পাস করা হয়েছে, অরণ্যের অধিকার আইনকে আমল না দিয়েই। ১৭ অক্টোবরের মিটিং এই উপদেষ্টা পরিষদের শেষ মিটিং। এরপরে ছাড়পত্রদানের পুরো প্রক্রিয়াটিই জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সরে গিয়ে চন্ডীগড়ে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বনসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের আঞ্চলিক শাখার মাধ্যমে ঘটবে।

সেপ্টেম্বর মাসে সামরিক বাহিনীর একটি বায়ু প্রতিরক্ষা আর অস্ত্র প্রকল্পের জন্য ন্যাশনাল বোর্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ গুলমার্গের অভয়ারণ্যের সংরক্ষিত অঞ্চলের ১.১৩ হেক্টর জমি ব্যবহার করার অনুমতি দেয়, অভয়ারণ্যের বাইরের ১২.৩৫ হেক্টর জমিও এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়। যে সাংবিধানিক সুরক্ষাবলয় এতদিন কাশ্মীরের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করতে আর তাতে কাশ্মীরিদের অধিকার স্থাপন করতে সাহায্য করেছে তা সরে যাওয়ায় সেই সম্পদের উপর রাষ্ট্রের একছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, যা বকলমে দেশী- বিদেশী পুঁজির পথ প্রশস্ত করছে।

কাশ্মীরের অর্থনীতিতে বহিরাগত শ্রমিকরা এক অন্যতম চালিকাশক্তির কাজ করেছেন। ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় কাশ্মীরে মজুরির হার অনেকটাই বেশি। তাই অবশিষ্ট ভারত থেকে শ্রমিকরা এখানে কাজের সন্ধানে আসেন। তাঁদের একটা বড় অংশ একদিকে সুরক্ষাবাহিনীর উৎপীড়নের ভয়ে এবং অন্যদিকে কাশ্মীরে হিংসার এক নতুন আবর্তের সূচনার আশঙ্কায় উপত্যকা ছেড়েছেন। এই আশঙ্কা যে ভিত্তিহীন নয় তার প্রমাণ দু-সপ্তাহের মধ্যে ঘটা চারটি ঘটনায় ‘অজানা আততায়ীদের’ গুলিতে একাধিক বহিরাগত শ্রমিকের আহত হওয়া বা মৃত্যু। সংঘর্ষ-দীর্ণ কাশ্মীরের ইতিহাসে এই ‘অজানা আততায়ীরা’ নতুন নয়, এরা চিরকালই ‘পরিচয়বিহীন’ থেকে যাওয়ায় সুবিধামতো যে কোনো পক্ষ যে কোনো আখ্যানে এদের ব্যবহার করতে পারে। কাশ্মীরে রাজনৈতিক পরিসরের ক্রমসংকোচনের ফলে হিংসাই হয়ে উঠেছে একাধারে রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যম এবং বার্তা। এরা সেই নিরবচ্ছিন্ন হিংসার আবহের উপসর্গ এবং উৎপাদন। তবে এর আগে কাশ্মীরে বাইরে থেকে আসা শ্রমিকদের উপর এরকম আঘাত কখনো নেমে আসেনি। অশান্ত কাশ্মীরেও তাঁরা যথেষ্ট সুরক্ষিত ছিলেন, তাই এখানে ফিরে আসতেন পেটের তাগিদে। উপত্যকার সঙ্গে অবশিষ্ট ভারতের সেতুবন্ধনের অন্যতম কারিগর এঁরাই। আজকের ‘শান্ত’ কাশ্মীরে এই মানুষগুলির হত্যা সুদীর্ঘ শান্তিহীনতার অশনি-সংকেত বহন করে।

army

 

অন্যদিকে নাগাড়ে সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর অতি সক্রিয়তা, বেআইনি ধরপাকড়, পেলেট গানের শাসন চলছে। জম্মু ও কাশ্মীর আদালত নিযুক্ত ‘জুভেনাইল জাস্টিস কমিটি’ সুপ্রীম কোর্টে রিপোর্ট পেশ করে জানিয়েছে ৫ অগাস্ট আর ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মোট ১৪৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ককে ‘সাময়িকভাবে’ আটক করা হয়, এদের মধ্যে ৯ বছরের শিশুও ছিল। প্রগতিশীল মহিলা সংগঠনের সদস্যদের গ্রাউন্ড-রিপোর্ট অনুযায়ী উপত্যকার প্রায় ১৩,০০০ অপ্রাপ্তবয়স্ক নিখোঁজ। এদের সামরিক বা আধা-সামরিক বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে। অভিভাবকরা ঠিকঠাক সন্ধানও পাচ্ছেন না যে এরা উপত্যকারই কোনো জেল বা ডিটেনশন সেন্টারে আছে নাকি ভারতের অন্যত্র কোথাও পাঠানো হয়েছে।

গণতন্ত্র হত্যার যে প্রক্রিয়া রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ‘ডিটেনশনের’ মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল তাকে একরকম আধিকারিক রূপ দিতে যে কোনো প্রতিবাদকেই অপরাধ হিসাবে গণ্য করার আইনি পরিভাষা তৈরি হয়েছে। এতদিন ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোডের ১০৭ নং ধারা অনুযায়ী যে বন্ডে সই করতে হোতো তাতে বলা থাকত স্বাক্ষরকারী কোনো ‘শান্তিভঙ্গকারী কার্যকলাপের’ সঙ্গে যুক্ত থাকবেন না। কিন্তু এখন রাজনৈতিক কর্মীসহ আটক থাকা কাশ্মীরীদের মুক্তি পেতে একটি মুচলেকা সই করতে বাধ্য করা হচ্ছে যার অন্যতম শর্ত, স্বাক্ষরকারী “আগামী এক বছর রাজ্যের কোথাও জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী বিষয়ে কোনো মন্তব্য, লিখিত বয়ান, প্রকাশ্য বক্তব্য রাখতে বা সভায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না কারণ এরকম যে কোনো কাজ শান্তি এবং আইন শৃঙ্খলা ব্যহত করতে পারে”। অথচ ভারতীয় সংবিধানের ১৯ ধারার ১(এ) উপধারায় প্রতিটি নাগরিকের যে কোনো বিষয়ে মত প্রকাশের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে। সেই মতো তিনি মৌখিক, লিখিত বা ছাপানো, যে কোনো আকারেই প্রকাশ করতে পারেন। কাশ্মীরকে অবশিষ্ট ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার সুমহান যজ্ঞের মধ্যেই কাশ্মীরীরা ভারতীয় সংবিধানে স্বীকৃত অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমনিতেই অবশিষ্ট ভারতে কার্যকরী ক্রিমিনাল কোডের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের ক্রিমিনাল কোডের পার্থক্য আছে। এ বিষয়ে সরকারের তরফে ঐক্যসাধনের তাগিদ খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।

জম্মু ও কাশ্মীরের মহিলা কমিশন, মানবাধিকার কমিশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে আইনসভা। মানবাধিকারের প্রাতিষ্ঠানিক রক্ষাকবচগুলি একে একে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ৩১ অক্টোবর রাজ্যকে ত্রি-খন্ডিত করার এবং কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চলে পরিণত করার সময় এগিয়ে আসাতে রাজ্যপালের বদলে লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিযুক্ত হয়েছেন মোদি এবং অমিত শাহের অতীব আস্থাভাজন গিরিশ চন্দ্র মুর্মু। মোদির মুখ্যমন্ত্রিত্বকালে ইনি গুজরাটের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ছিলেন, গুজরাট দাঙ্গা থেকে আরম্ভ করে ইশরাত জাহান ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় মোদি-শাহকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন। বোঝা যায় কোন সুকীর্তিবলে এবং ঠিক কী ধরনের নির্দেশসহ তিনি এই পদে আসছেন।

kashmir people

 

এরই মাঝে এসেছে মহরম। কারাগারের মতো সুরক্ষিত কাশ্মীর শোকপ্রকাশের সুযোগ পায়নি; মহরম উপলক্ষ্যে কোনো শোকমিছিল বের করার অনুমতি প্রশাসন দেয়নি, পাছে কারবালার প্রান্তরে মৃত শহীদদের শোকে মিশে বেরিয়ে পড়ে মাতৃভূমির অঙ্গচ্ছেদের বেদনা। পাছে সে বেদনা ক্রোধ হয়ে ফেটে পড়ে। সেই না-হতে পারা শোকযাত্রার খবর দিতে গিয়েও শ্রীনগরে চারজন সাংবাদিক পেলেট গানের বুলেটে আহত হয়েছেন।

‘ফরেন পলিসি’ ম্যাগাজিন বলছে কাশ্মীরে ভারত সরকারের ভরসা হোলো ‘ফ্যাটিগ-ফ্যাক্টর’ – দীর্ঘকালীন অবরোধের ফলস্বরূপ নেমে আসা ক্লান্তি। আপাতত কাশ্মীরী জনগণ নিজেদের প্রতিরোধকেও এক দীর্ঘমেয়াদী অসহযোগ আন্দোলনের রূপ দিচ্ছেন। আর্থিক ক্ষতি সহ্য করেও দোকান-বাজার বন্ধ থাকছে, আপেলচাষ পুরোপুরি সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন করে দেওয়ার হুমকি সত্ত্বেও চাষিরা ফসল ঘরে তুলতে অস্বীকার করছেন। অস্থায়ী দোকানিরা, যাঁরা এই রাষ্ট্রীয় অবরোধে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছেন, তাঁরাও এক ঘণ্টার বেশি দোকান খুলছেন না।

কাশ্মীরে রাজনৈতিক প্রতিবাদের ইতিহাসে চিরকালই মেয়েরা অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন। এবারেও তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন। ১৫ই অক্টোবর একটি শান্তিপূর্ণ প্রদর্শনের পরে ১৩ জন মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং প্রায় ৪০ ঘণ্টা শ্রীনগর সেন্ট্রাল জেলে আটক রাখা হয়।

“এই আমার বাড়ি-আশ্রয়, যা হয়েছে ছাই ঘেরা এক খাঁচা-স্বর্গের অন্তিম নিয়তি” — ভাঙা ইঁটের টুকরো আর প্যারামিলিটারিতে ভরা জনবিহীন রাস্তা থেকে দূরে নিজের বাড়িটি দেখে লিখেছিলেন আগা শাহিদ আলি। বিগত তিন মাসে সেই খাঁচা আরো পাকাপোক্ত হয়েছে। তবু প্রশ্ন জেগে আছে, এটাই কি স্বর্গের অন্তিম নিয়তি?

water kashmir

 

খণ্ড-26
সংখ্যা-35