আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পে ২৭ জনের মৃত্যু! মোদী-শাহ জবাব দাও! নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহার করো! সারা ভারত জুড়ে এনআরসি মানছি না, মানব না! জনগণের নাগরিকত্ব বিপন্ন করার প্রচেষ্টাকে মানছি না, মানব না!
- (১) নাগরিকত্ব পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার আগে আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পে ২৫ জনের মৃত্যু হয় এবং তালিকা প্রকাশের পর দুলাল চন্দ্র পাল এবং ফালু দাস নামে আরো দুজন মারা যান।
- (২) দুলাল পাল ও ফালু দাসের পরিবার তাদের মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করে এবং জানায় – মৃতেরা যদি বাংলাদেশী হয় তবে বাংলাদেশে তাঁদের পরিবারকে খুঁজে বের করে তাদের দেহ বাংলাদেশে পাঠান, নয়তো মেনে নিন যে তাঁরা ভারতীয় নাগরিক এবং ডিটেনশন ক্যাম্পে ভারত সরকারের দ্বারা তাদের মৃত্যু হয়েছে।
- (৩) অমিত শাহ এখন দেশজুড়ে এনআরসি. বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর, যেখানে প্রত্যেককে নথিপত্রের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে যে তাঁর পূর্বপুরুষরা ১৯৫১ সালে ভারতবর্ষের ভোটার ছিলেন। অমিত শাহ প্রতিটি রাজ্যে ডিটেনশন ক্যাম্প চালু করছেন – মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং কেরালায় এইরকম শিবিরগুলি নির্মিত হচ্ছে।
- (৪) গরিব মানুষ তো বিপিএল তালিকা, ভোটার তালিকা এমনকি আধার তালিকা থেকেই বাদ পড়েছেন। তাহলে তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ১৯৫১ সালের নথিপত্র আনবেন কোত্থেকে? আর এই নথিপত্র যারা দেখাতে পারবে না তাদের সবাইকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে।
- (৫) মোদী-শাহ বলছেন যে আপনি যদি মুসলমান হন তবে আপনাকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে, তবে আপনি যদি হিন্দু বা অমুসলিম হন তবে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে আপনাকে শরণার্থী হিসেবে মেনে নেয়া হবে।
- (৬) ভারতের নাগরিকেরা চূড়ান্ত বিপদের মুখে, হয় তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে সেখানে হত্যা করা হবে, নয় তো নাগরিক থেকে শরণার্থীতে পরিণত করা হবে।
ডিটেনশন ক্যাম্প আসলে নির্যাতন শিবির –
ডিটেনশন ক্যাম্প বন্ধ করো!
ভারত জুড়ে এনআরসি-র পরিকল্পনা বাতিল করো!
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রত্যাহার করো!
- সিপিআই(এমএল) কেন্দ্রীয় কমিটি