১৯ মার্চ সিপিআই(এমএল) লিবারেশন, উত্তর ২৪ পরগণা জেলা কমিটির সম্পাদক সুব্রত সেনগুপ্তের নেতৃত্বে নবেন্দু দাশগুপ্ত, সুজিত ঘোষ, অর্চনা ঘটক, অজয় বসাক, নারায়ণ দে, শিবশঙ্কর গুহরায়, কাঞ্চন সরকার, আইসা নেত্রী অন্বেষা সহ ৯ জনের প্রতিনিধি দল জেলা শাসক ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ডেপুটেশন দেয়। স্মারকলিপিতে বলা হয় –
(১) সরকারী/বেসরকারী হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা ও কোয়ারান্টাইনের ধারণক্ষমতা বাড়াতে হবে। (২) সরকারী/বেসরকারী সব ক্ষেত্রে ভিড় এড়িয়ে চলার জন্যে “আপৎকালীন পরিষেবার সাথে যুক্ত কর্মচারি” বাদে, নিয়মিত, অনিয়মিত, চুক্তিভিত্তিক, স্থায়ী, অস্থায়ী, ঠিকা সহ সব ধরনের কর্মীদের সবেতন ছুটি দিতে হবে। প্রয়োজনে শিফটিং প্রথা চালু করতে হবে। (৩) জনগণনা ও অন্যান্য সমীক্ষার কাজের সাথে যুক্ত কর্মীদের বাহক বা শিকার হওয়ার সম্ভবনা থাকছে। তাই অবিলম্বে এনপিআর সমীক্ষার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল ঘোষণা করতে হবে। (৪) বারাসাত, ব্যারাকপুর, বনগাঁ, বসিরহাট জেলে অতিভীড় ঠেকাতে বিচারাধীন বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। জেল, আশ্রয় ভবন ও ত্রাণ শিবিরগুলোতে স্বাস্থ্যকর সতর্কতা বজায় রাখা সুনিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে হবে। (৫) প্রতিটি দরিদ্র ও বঞ্চিত পরিবারকে সাবান, জল ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার (নির্বীজক) সরবরাহ করতে হবে। স্যানিটাইজার, মাস্ক ও অন্যান্য অপরিহার্য দ্রব্যের গোপন মজুতদারী কঠোর হাতে বন্ধ করতে হবে। (৬) সংক্রমণ রোগে আক্রান্তদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্লকে ব্লকে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা দরকার। (৭) জরুরী পরিষেবাগুলো জারি রাখতে জনগণের একটা নির্দিষ্ট অংশের কাছে কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এদের মধ্যে আছেন স্বাস্থ্যকর্মী, কৃষক, কৃষি শ্রমিক সহ অন্যান্যরা যাঁদের জনগণকে পরিষেবা প্রদান বা ফসল ফলানো ও বীজ বপনের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করতে হয়। এই অংশের মানুষদেরকে স্বাস্থ্যবিধিজনিত সতর্কতা অবলম্বন করতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই সরকারী খরচে সরবরাহ করতে হবে। (৮) শ্রম নিবিড় চটকল শিল্পে সব শ্রমিকদের সাবান, পরিশ্রুত জল এবং তোয়ালে সরবারহ করতে হবে। (৯) স্কুল বন্ধ। মিড ডে মিল ছাত্রদের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। যারা রেশন ও মিড ডে মিলে খাদ্যদ্রব্য সরবারহ করেন, তাদের সংক্রমণ প্রতিরোধে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। মিড ডে মিল কর্মীদের সাম্মানিক প্রতি মাসে যেমন নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়, সে ভাবেই দিতে হবে। (১০) করোনা ভাইরাস নিয়ে কুসংস্কার যারা ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। (১১) লক ডাউনের সীমা বাড়াতে হবে এবং প্রত্যেক পরিবারকে রেশনের মাধ্যমে পর্যাপ্ত খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করতে হবে।
লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে গরিব মানুষ সহ কেউই রুটি-রুজির প্রয়োজনে আইসোলেশন ভাঙতে বাধ্য না হন। এই কাজের জন্য এফসিআই-এর গুদামজাত বিপুল সামগ্রী প্রয়োজনে ব্যবহার করতে হবে, বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্যেই এই মজুত ভাণ্ডার থাকে। জরুরী প্রয়োজনে তা ব্যবহার করতে হবে।