একটাই পরিচয় ‘নারী’ — ‘অর্ধেক আকাশ’। সেই আকাশ আজ তমসাবৃত। অনেক বঞ্চনা, অপমান, অনেক ‘নেই’-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরেকটি উৎপীড়ন — ’নাগরিকত্ব প্রমাণের দায়’ — এনপিআর-এনআরসি-সিএএ-এর আতঙ্ক। ফ্যাসিস্ট শাহ-মোদীর সরকার হাতের কাজ, পেটের ভাত, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো মৌলিক নাগরিক অধিকার, মানুষের মর্যাদা —সব কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা পাকা করে, এবার পায়ের তলার মাটিটাও কেড়ে নিতে চাইছে। শুরু হয়েছে ‘নাগরিকত্বের’ উপর হামলা। আসামে এনআরসি-র ‘সৌজন্যে’ যে কুড়ি লক্ষ মানুষের ঠাঁই হতে চলেছে ডিটেনশান ক্যাম্পে – তার ৭০ শতাংশই মহিলা!
এই ভয়ঙ্কর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ জুড়ে অসংখ্য ‘শাহীন বাগে’ মহিলারা ধর্ণা অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন।
পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চাশটি নারীসংগঠন, যার মধ্যে পাঁচটি বাম সংগঠনও রয়েছে,এবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে অন্যান্য দাবির সাথে ‘এনপিআর-এনআরসি-সিএএ’ বাতিলের দাবিতে মৌলালী থেকে পার্কসার্কাস মিছিলে হাঁটার আহ্বান রেখেছিল। আর তাতে সাড়া দিয়ে প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক হাজার মহিলা।
‘আজাদী’, ‘হল্লা বোল’ ও সিএএ-এনপিআর-এনআরসি বাতিলের শ্লোগানে, গানে, আবৃত্তিতে রাজপথ মুখরিত করে সুসজ্জিত বর্ণাঢ্য মিছিলটি পার্ক সার্কাসে পৌঁছায়। সেখানে মানববন্ধনের মাঝে মশাল জ্বালিয়ে জাতি-ধর্ম-শ্রেণী নির্বিশেষে সমস্ত মহিলাদের একজোট হয়ে লড়াইয়ের আহ্বান রেখে মিছিলের একটি অংশ পার্ক সার্কাস ধর্ণাস্থলে সংহতি জানাতে গেলে বিপুল উৎসাহ ও আন্তরিকতায় অবস্থানকারীরা স্বাগত জানান।
- মিতালি