সমগ্র বিহার জুড়ে সিএএ-এনআরসি-এনপিআর বিরোধী জোরদার গণ আন্দোলনে সামনের সারিতে আছে সিপিআই(এমএল)। এই আন্দোলনকে গ্রামাঞ্চলের ব্যাপক জনতার মাঝে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে পার্টি। এই মুহূর্তে এই আন্দোলনের কার্যকরী দিক হল এনপিআরের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। কারণ, সবার আগে এনপিআর হবে এবং আগামী এপ্রিল থেকেই তা শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালা সহ বেশ কিছু রাজ্যে বিধানসভায় এনপিআরের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ হয়েছে আগেই। বিহার রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আন্দোলনের চাপে এনারসি বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন অথচ এনপিআর না করার কথা বলেনি। বিধানসভার এনপিআর না করার প্রস্তাব পাশ করাতে হবে – এই দাবি সামনে রেখে পার্টি বিধানসভা ঘেরাও কর্মসূচী গ্রহণ করে। ২৫ ফেব্রুয়ারীর এই কর্মসূচীকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রচারান্দোলন গড়ে উঠতে থাকে। অন্যান্য আন্দোলনকারী সংগঠনও প্রচার চালায়। চাপের মুখে ২৫ ফেব্রুয়ারীর দুদিন আগে নীতীশ কুমার এনপিআর না করার মৌখিক বিবৃতি দেন। ২৫-এর পার্টি প্রোগ্রাম জারি থাকে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করার দাবিতে।
২৫ ফেব্রুয়ারী বিধানসভার বাইরে প্রায় তিরিশ হাজার গরিব শ্রমজিবি মানুষ সমবেত হন, আর বিধানসভার ভেতরে সিপিআই(এমএল) বিধায়করা এনপিআর বিরোধী প্রস্তাব আনেন। অধ্যক্ষ এই প্রস্তাব আলোচনার জন্য গ্রহণ করে এবং পরবর্তি আলোচনার মাধ্যমে এই প্রস্তাব বিধানসভায় গৃহীত হয়। বিহারের ক্ষেত্রে এ এক ঐতিহাসিক জয়। সিএএ-এনারসি-এনপিআর বিরোধী ঐক্যকে আরও প্রসারিত করতে এই জয় ভূমিকা নেবে।