পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন কলেজে প্রায় সাত সহস্রাধিক অস্থায়ী কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। তাদের কোনো চাকুরির বা সামাজিক নিরাপত্তা নেই। শিক্ষাদপ্তরে বহুবার বিষয়টি জানানো সত্বেও কোনো সমাধান হয়নি। অবিলম্বে সম কাজে সম মজুরি, স্থায়ীকরণে ও সরকারি আদেশনামা ৩৯৯৮ কার্যকর করার দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়িজ সমিতির পক্ষ থেকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সভা হয় এবং উপাচার্যের প্রতিনিধিকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। উপাচার্য দেখা না করায় কলেজ স্কোয়ারের বিদ্যাসাগরের মূর্তির সামনে অবস্থান কর্মসূচী শুরু হয়। রাত সাড়ে আটটার পর পুলিশ হামলা করে এবং অবস্থান তুলে নিতে বাধ্য করে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারী, ঐ একই দাবিতে বিধানসভা অভিযান ও শিক্ষামন্ত্রীকে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছিল। দুপুর ১২টা থেকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে জমায়েত হয়ে সভা শুরু হয় এবং দুপুর আড়াইটের সময় এই অভিযান মিছিল শুরু হয়। এই কর্মসূচীতে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মচারি অংশগ্রহণ করেন। মোট ১৩৯ জন (১৩৪ জন পুরুষ ৫ জন মহিলা) কর্মচারি এবং এআইসিসিটিইউ-র রাজ্য সম্পাদক দিবাকর ভট্টাচার্য্য, রাজ্য নেতা প্রবীর দাস, এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সম্পাদক শেখ হানিফ ও সভাপতি মেহেবুব আলি সহ সকল নেতৃত্বকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বেআইনিভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মীদের গ্রেফতার করাকে এআইসিসিটিইউ রাজ্য কমিটি ধিক্কার জানিয়েছে। কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়িজ সমিতির পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের পুলিশি জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারী পশ্চিমবাংলার প্রতিটি কলেজে কর্মচারিরা কালো ব্যাজ পড়ে কালা দিবস পালন করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামী মার্চ মাসে বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে।