খবরা-খবর
ধর্মঘট-ধর্মঘট-ধর্মঘট

দার্জিলিং

প্রস্তুতি তো ছিলোই, ছিল আত্মবিশ্বাসও। মোদী অমিত শাহের থেকে আজাদী চাই! চাই ফ্যাসিবাদ থেকে আজাদী এনপিআর-এনআরসি-সিএএ থেকে আজাদী। রাষ্ট্রীয় মদতে জেএনইউ-তে হামলা হলো কেনো মোদী অমিত শাহ জবাব দাও! শ্রমিক বিরোধী শ্রম কোড মানব না, চাই কর্মসংস্থন, চা বাগান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির দাবিতে মুখরিত, ৮ জানুয়ারী শিলিগুড়ির সকাল হলো শ্লোগানের সঙ্গে। ৭ জানুয়ারী মশাল মিছিলের প্রত্যয়ের সুরেই ধর্মঘটের দিন মেহনতি মানুষের দখলে চলে যায় গোটা শহর। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাম ট্রেড ইউনিয়ন এবং গণসংগঠনের নেতা কর্মীরা মিছিল করে এসে পৌঁছায় হিলকার্ট রোডে। শহরের মাল্লাগুড়ি থেকে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃত্বদের  একাংশ এবং নিউ চামটা, মোহরগাও গুলমা, দাগাপুর শুকনা চা বাগানের শ্রমিকদের একটি বিশাল মিছিল শহরের বিভিন্ন প্রান্ত হয়ে আবার মাল্লাগুড়িতে গিয়েই শেষ হয় এআইসিসিটিইউ-র দার্জিলিং জেলা সভাপতি অভিজিৎ মজুমদার, রামজী; সিআইটিইউ-র সমন পাঠক, ইউটিইউসি-র তাপস গোস্বামী, শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য প্রমুখ। অন্যদিকে মোজাম্মেল হক, অপু চতুর্বদী, মীরা চতুর্বদী, রুবী সেনগুপ্ত, শাশ্বতী সেনগুপ্ত;  সিআইটিইউ-র জয় চক্রবর্তীদের নেতৃত্বে আর একটি মিছিল শিলিগুড়ির ১৮ নং ওয়ার্ডের টিকিয়া পাড়া থেকে শুরু হয়ে মাল্লাগুড়ির মিছিলের সাথে এসে যোগ দেয় হিলকার্ট রোডে। হিলকার্ট রোড, বিধান মার্কেট, জলপাইমোড়, এয়ারভিউ, দার্জিলিং মোড় সেবক রোড সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় সমস্ত দোকান বাজার ছিলো বন্ধ। পুলিশ  সমস্ত রকম প্রস্তুতি সেরে রাখলে এবং মিছিলে বাঁধা দেওয়ায় চেষ্টা করলে সম্মিলত প্রতিরোধে কাছে পিছু হটতে বাধ্য হয়। পুলিশের চোখের সামনে দিয়ে সংগ্রামী মানুষের মিছিল শহর দাপিয়ে বেড়িয়েছে গোটা দিন ধরে। অন্যদিকে বাগডোগরা, মাটিগাড়াতেও ধর্মঘটের প্রভাব ছিলো সর্বাত্বক। ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানিতে পবিত্র সিংহ, শরত সিংহ সফে সিংহ , নেমু সিংহদের নেতৃত্ব ধর্মঘটের সমর্থনে এআইসিসিটিইউ একটি মিছিল সংঘটিত করে। খড়িবাড়িতে কান্দরা মুর্মু, কমরেড রমুদের নেতৃত্বে ৮ জানুয়ারী সকাল চা বাগান গুলিতে চলে ভ্রাম্যমাণ প্রচার। ছিলেন স্থানীয় সি আই টি ইউ নেতৃত্বও। শচীন্দ্রচন্দ ত্রিহানা সহ তরাইয়ের  ৯০% চা বাগান ছিলো বন্ধ। এবং ডুয়ার্সের ৮০ শতাংশ চা বাগানে ধর্মঘট সর্বাত্বক।

aicctu

 

ধর্মঘটকে সফল করার জন্য শহর শিলিগুড়ির মানুষদের ধন্যবাদ জানিয়ে ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ পথসভা অনুষ্ঠিত হয় শহরের হাসমিচকে বক্তব্য রাখেন অভিজিৎ মজুমদার, সমন পাঠক, তাপস গোস্বামী প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন পুলক গাঙ্গুলী মোজাম্মেল হক, অপু চতুর্বদী। সব মিলিয়ে বলাই যায়  ৮ জানুয়ারী জন্ম দিলো এক নতুন লড়াইয়ের। দ্বেষদ্রোহীর সংখ্যা বাড়ছে বাড়ুক, ক্ষতি নেই। নতুন দ্রোহকাল সামনেই কমরেডস। আর একটু পা চালিয়ে! মেহনতি মানুষের ঐক্য দীর্ঘজীবী হবেই।

siliguri

পুর্ব বর্ধমান

mertala

 

২ জানুয়ারি সিপিআই(এমএল), আয়ারলা এবং এআইকেএম উদ্যোগে পূর্বস্থলী ২নং ব্লকের মেড়তলা, কালেখাতলা ১নং, কালেখাতলা-২নং, ও পূর্বস্থলী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে টোটোতে মাইক লাগিয়ে কৃষক ও কৃষি ও গ্রামীণ মজুরদের ৩০০ টি সংগঠনের ডাকে ফসলের দেড়গুন দাম ঋণ মুক্তি, ৬০ বছর বেশি বয়সের সমস্ত কৃষক ও গ্রামীণ মজুরদের ১০ হাজার টাকা পেনশন, বছরে ২০০ দিন কাজ ও দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরির দাবিতে ৮ জানুয়ারি গ্রামীণ ভারত বনধ সফল করার জন্য প্রচার করা হয়। ৩ জানুয়ারি মন্তেশ্বর ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় সিপিআই(এমএল), আয়ারলা ও এআইকেএম এর উদ্যোগে ম্যাটাডোরের মধ্যে ৩০ জন কর্মী নিয়ে মাইক লাগিয়ে প্রচার করা হয়। গ্রামীণ বন্ধের সমর্থনে প্রচারের জন্য কুসুমগ্রাম গঞ্জে মিছিল করা হয়। মন্তেশ্বর গঞ্জে, পুড়শুড়ী বাজারে, পিপলন এবং কুলুট গ্রামে মিছিল করে প্রচার শেষ করা হয়। ৪ জানুয়ারি কালনা মহকুমা শহরে ও বর্ধমান সদর শহরে সিপিআই(এমএল) এবং সিপিএম-এর বিভিন্ন গণ সংগঠনের পক্ষ থেকে যৌথ উদ্যোগে মিছিল ও সভা করা হয়। কালনা শহরে ১০০০ লোক জমায়েত হয়। তার মধ্যে সিপিআই(এম এল)-এর ২০০ শতাধিক মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। ৫ জানুয়ারি বিকেল ৩টা টোটো করে মাইক লাগিয়ে দাঁইহাট, অগ্রদ্বীপ, গোরাগাছা, ছাতনী, পাটুলী হয়ে বিভিন্ন গ্রাম প্রচার পরিক্রমা করা হয়। মাঝে অগ্রদ্বীপ স্টেশনে পথসভা করা হয়। ৭ জানুয়ারি পূর্বস্থলী ১নং ব্লকের নাদনঘাট বাজারে সিপিআই(এমএল) এবং সিপিএম যৌথ মিছিল ও সভা করা হয়। মন্তেশ্বর ব্লকের কুলুট গ্রামে পতাকাহীন সর্ব দলীয় গ্রামীণ জনগণের মিছিল করা হয়। কালনা ২নং ব্লকের অকালপৌষ সহ তিনটি অঞ্চলে সিপিআই(এমএল)-এর পক্ষ থেকে মাইক প্রচার করা হয়।

town

 

rail

 

৮ জানুয়ারি বন্ধের দিন পূর্বস্থলী থানার ভান্ডারটিকুরী স্টেশনে যৌথ উদ্যোগে ট্রেন অবরোধ করা হয়। অবরোধ ১ ঘন্টা চলে বারবার পুলিশের চাপে তুলে নেওয়া হয়। আবার মিছিল করে গিয়ে জাহান্নগর বাসস্ট্যান্ডে রাস্তা অবরোধ করা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধের পর তুলে নেওয়া হয়। রাস্তায় যান চলাচল খুব কমই ছিল। ট্রেনে লোক জন বিশেষ ছিল না। অবরোধে ২০০/২৫০ মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। বর্ধমান শহরে ও যৌথভাবে অবরোধ মিছিল সংগঠিত করা হয়। বাস ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল আটকানো হয়। তবে যানবাহন চলাচল খুব সামান্যই ছিল। দোকান পাট প্রায় বন্ধই ছিল।

হাওড়া

baly

এবারও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আহূত এই ধর্মঘটের শুধু বিরোধীতাই করল না, ধর্মঘট ভাঙতে রাস্তায় নামিয়ে দিল তার কর্মীবাহিনীকে। হাওড়া জেলাতেও হুমকি ছিল। তৎসত্ত্বেও সব হুমকি উপেক্ষা করেই চলছিল ধর্মঘটের প্রচার-প্রস্তুতি। স্থানীয় স্তরে গড়ে ওঠে স্ট্রাইক কমিটি।

৮ জানুয়ারী ধর্মঘটের দিন ভোর পাঁচটা থেকে পিকেটিং শুরু হয় কারখানার গেটে। বালি জুটমিল, মহাদেও জুটমিল, ভারত ব্লেড, হিন্ডালকো, বাউড়িয়া, ল্যাডকো সহ হাওড়া এবং উলুবেড়িয়ার শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘটের প্রভাব ছিল ব্যাপক। বালির শ্রীকৃষ্ণ হল ৫৪নং বাসস্ট্যাণ্ড অবরোধ করা হয়, বেলুড় মঠ বাসস্ট্যান্ড অবরোধ করা হয়, বেলুড় বাজার অবরোধ করা হয়, বালি বাজারও অবরোধ করেন ধর্মঘটীরা, বেলানগর স্টেশন অবরোধ করা হয়। বালি মিল এবং মহাদেও জুটমিলে তৃণমূল ধর্মঘট ভাঙার জন্য জড়ো হলে কমরেডরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। শেষে ধর্মঘট ভাঙা দালালরা পুলিশের পিছনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। বাগনানে  বাগনান বাসস্ট্যান্ডে অবরোধ করা হয়। তারপর জাতীয় সড়ক করেন করেন ধর্মঘটীরা। জেলার অধিকাংশ স্কুলেই ধর্মঘটের নোটিশ দিয়েছিল আইসা এবং এসএফআই। বেশকিছু বেসরকারী স্কুল আগে থেকেই ছুটি ঘোষণা করেছিল; সরকারী স্কুল এবং কলেজগুলিতে খোলা ছিল, কিন্তু সেগুলি ছিল কার্যত ফাঁকা। অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী আসেনি। ফলে অনেক স্কুলই এক দুই পিরিয়ডের পরেই ছুটি হয়ে যেতে থাকে। সামগ্রিকভাবে হাওড়া জেলা জুড়ে ধর্মঘটের প্রভাব এবং দাবিগুলির সাথে মানুষের একাত্মতা এক অনন্য উচ্চতা পায়। তৃণমূল জোর করে কিছু বাস, টোটো, অটো চালানোর চেষ্টা করলেও তাতে মানুষের অনুপস্থিতিই বলে দিচ্ছিল হাওড়ার মানুষ আদতে নিজেরাই এবার দেশ বাঁচানোর লড়াইয়ে নিজেরাও ধর্মঘটী হয়ে উঠেছেন।

how

 

হুগলী

Banchi

হুগলী জেলার শহর, গ্রাম সর্বত্রই ধর্মঘটের প্রভাব ছিল সর্বাত্মক। বৈঁচিতে সকাল থেকেই রেল অবরোধে করেন সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন ও সিপিআই(এম)-এর কর্মী, সমর্থকরা। এছাড়াও শহরাঞ্চলে উত্তরপাড়া, হিন্দমোটর, কোন্নগর, রিষড়া, শ্রীরামপুর, চন্দননগর স্টেশনে দফায় দফায় রেল অবরোধ করেন বাম কর্মীরা। শিল্পাঞ্চলে ভদ্রেশ্বরের অ্যাঙ্গাস ও নর্থ শ্যামনগর জুটমিলে শ্রমিকদের স্বতঃস্ফূর্ত গণঅনুপস্থিতির কারণে মিল কর্তৃপক্ষ মিল চালানো যাচ্ছেনা বলে নোটিশ দিতে বাধ্য হয়। মিলগেটের সামনে ট্রেড ইউনিয়নগুলির পিকেটিংয়ে অংশ নেন এআইসিসিটিইউ-র কমরেডরা। জেলা সদর চুঁচুড়ার বাস টার্মিনাসে পিকেটিং করে এআইসিসিটিইউ ও সিপিআই(এমএল) লিবারেশন। বাস শ্রমিক ও অটোচালকরা সমস্ত রুটের বাস বন্ধ রাখেন। সমস্ত ব্যাঙ্ক ও দোকান বন্ধ থাকায় জেলার প্রাণকেন্দ্র ছিল শুনশান। বলাগড় ব্লকের মহীপালপুরের ইটাগড় মোড়ে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে রাখেন আয়ারলা ও পার্টি কর্মীরা, শেষে পুলিশের সামনেই পোড়ানো হয় মোদীর কুশপুতুল। উত্তরপাড়া থানা এলাকায় কোতরং পার্টি অফিস থেকে সকালেই প্রথম দফায় মিছিল বেরিয়ে হিন্দমোটরের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে রেলবাজারে পৌঁছায়। প্রহরারত পুলিশকর্মী ও রাস্তায় থাকা তৃণমূল কাউন্সিলরের সামনেই ওঠে মোদী-শাহের ফ্যাসিবাদী জমানা থেকে আজাদীর স্লোগান ও ধর্মঘটের বিরোধী শক্তিদের প্রতি ধিক্কার ও ঘৃণাবর্ষণ। কোতরং বিদ্যাসাগর (২ নং কলোনী) বাজার ও হিন্দমোটর এবং কোন্নগর রেলবাজারে সারাদিন ছিল প্রায় সব দোকানপাট বন্ধ। এরপর বেলার দিকে পার্টিকর্মীরা কোন্নগরে ধাড়সা পেট্রোল পাম্প মোড়ে জিটি রোড অবরোধ করেন। অবরোধ ওঠাতে আসা পুলিশের গাড়িকেও দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই অঞ্চলে সন্ধ্যায় ধর্মঘটী জনতাকে অভিনন্দন জানিয়ে সিপিএমের সাথে যৌথ মিছিল বেরোয়। জেলার পোলবা-দাদপুর ব্লকে পার্টি, আয়ারলা ও আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চের পক্ষ থেকে আলিনগর ও কাশ্বাড়া মোড়ে দফায় দফায় পথ অবরোধ করা হয়। এখানে জনৈক তৃণমূল কর্মী আব্বাস নিজের পার্টির নির্দেশ অমান্য করে অবরোধে অংশ নেন। এলাকার কয়েকজন সাধারণ সংখ্যালঘু যুবকও এনআরসির প্রতিবাদে কমরেডদের সাথে রাস্তায় বসে পড়েন। মগরা বাজারে ছিল সব দোকানের ঝাঁপ বন্ধ।

chu

 

kon

 

দক্ষিণ ২৪ পরগণা

s24p

 

জেলাজুড়ে বনধের সমর্থনে সিপিআই(এমএল) লিবারেশন। বজবজের গ্রামাঞ্চলে ও জুটমিল চত্ত্বরে ধর্মঘট সর্বাত্মক সফল। বজবজের সবকটি জুটমিল বন্ধ ছিল। বনধ ব্যর্থ করতে চেষ্টা চালায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল, তা উপেক্ষা করেই বনধের সমর্থনে পার্টির জেলা সম্পাদক কিশোর সরকারের নেতৃত্বে কালীপুর জুটমিল থেকে মিছিল শুরু করে চড়িয়াল মোড় অবধি মিছিল চলে। বাখরাহাট বাজারে বনধের সমর্থনে যৌথ অবস্থান হয়। বাখরাহাট বাজার ও বিবিরহাট বাজার পুরোপুরি বন্ধ ছিল। উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য দিলীপ পাল, লোকাল সম্পাদক নিখিলেশ পাল, লোকাল কমিটির সদস্য সন্দীপ ধাড়া, সুনীত ধাড়া, নিজামুদ্দিন সেখ ও শ্রমজীবী সাথীরা। উস্থি বাজারে বামদলগুলির যৌথ মিছিল, অবস্থান হয়। উস্থি বাজার পুরোপুরি বন্ধ ছিল। যৌথ অবস্থান, মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা কমিটির সদস্য নবকুমার বিশ্বাস, জগদীশ মন্ডল, জয়দেব নস্কর ও সংগ্রামী যুব সাথীরা।

উত্তর ২৪ পরগণা

belghoria

 

বেলঘরিয়া: সকাল ৬.৪৫ মি: থেকে ৮.৩০ পর্যন্ত রেল অবরোধ চলে। অবরোধ চলাকালীন তৃণমূলের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এরপর মিছিল করে বিটি রোড অবরোধ করা হয়। টেক্সম্যাকো, আগরপাড়া জুট, কামারহাটি জুট, প্রবর্তক জুট বন্ধ। এবার কামারহাটি সংখ্যালঘু অঞ্চলে হরতাল ১০০ শতাংশ হয়েছে। অশোকনগরে সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন লাইন ও বাস রোড অবরোধ করা হয়। এছাড়া ধর্মঘটের সমর্থনে  মিছিল দীর্ঘপথ পরিক্রমা করে। নৈহাটিতে সকাল ৮ টা ও ১০টায় দুবার বেশ কিছুক্ষণ রেল অবরোধ করা হয়। সকাল থেকেই বাস রাস্তা অবরোধের ফলে কোন বাস আজ চলেনি। পিকেটিং-এর ফলে লঞ্চ সার্ভিসও বন্ধ হয়ে যায়। নৈহাটি জুট, হুকুমচাঁদ জুট মিল শ্রমিকরা বন্ধ করে দেয়। শহরের মূল কেন্দ্রে লাগাতার মিছিল ও পিকেটিং চলে। দোকান-বাজার, ব্যাঙ্ক প্রভৃতি বন্ধ হয়ে যায়। নৈহাটির শিবদাসপুরের ইটভাটা গুলোতে আজ বনধে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। জগদ্দলে জেজেআই সহ এই অঞ্চলে প্রায় সমস্ত জুট মিল সকাল থেকে বন্ধ হয়ে যায়। শ্যামনগরে সকাল থেকে দু দফায় রেল অবরোধ হয়। এখান থেকে পুলিশ ৫ জন ধর্মঘটীদের গ্রেপ্তার করে। বারাসাতে সকাল থেকেই চাপাডালি মোড় অবরোধ করা হয়। দোকান, বাজার, ব্যাঙ্ক, ডাকঘর, জেলা আদালত ছিল শুনসান। বসিরহাটে সকাল থেকে চলে পিকেটিং ও মিছিল। দোকান বাজার সহ সমস্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। বসিরহাটে পোস্ট অফিস, এলআইসি, আদালত — সব বন্ধ ছিল।

nai

 

মুর্শিদাবাদ

জেলার খড়গ্রাম থানার আলিনগর বাসস্ট্যান্ডে আয়ারলা এবং সিপিআই(এমএল)-এর পথ অবরোধ। নেতৃত্বে ছিলেন হায়দার, ইনজামুল, হাসান, সাইরুল। দোকানপাট বন্ধ ছিল।

খণ্ড-27
সংখ্যা-2