উত্তরাখণ্ডের বিন্দুখাট্টায় এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয় ২৭ নভেম্বর। এই ঘটনার পর দু-সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পুলিশ অভিযুক্তকে গ্ৰেপ্তার করে না। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এবং অভিযুক্তকে গ্ৰেপ্তারের দাবিতে এআইপিডব্লিউএ ৮ ডিসেম্বর লালকুঁয়া থানা ঘেরাও করে। আয়পোয়ার সংগঠিত প্রতিবাদের পর পুলিশ ঐ অপরাধীকে গ্ৰেপ্তার করে।
আয়পোয়ার স্থানীয় আহ্বায়ক বিমল রৌথান বলেন, বিন্দুখাট্টার পুলিশ ও প্রশাসন দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং ধর্ষিতা ও তার পরিবারের প্রতি সহানুভূতিহীন। ঘটনাটা ২৭ নভেম্বর ঘটলেও এবং ৩০ নভেম্বর এফ আই আর হলেও অভিযুক্তকে গ্ৰেপ্তার করা হয়নি। আয়পোয়া যখন ফোনে পুলিশকে থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেয়, পুলিশ ফোনে জানায় যে অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করেছে। কিন্তু সরকারিভাবে তা ঘোষণা করা হয়নি এবং ধর্ষিতার পরিবারকেও সে কথা জানানো হয়নি।
সিপিআই(এম-এল)-এর জেলা সম্পাদক কৈলাশ পাণ্ডে জানান, যৌন হেনস্থার ঘটনাগুলিতে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়ার হার মাত্র ২৪ শতাংশ আর রাজনৈতিক সংযোগ ও টাকার জোরে বাকি ৭৬ শতাংশ বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। এই ঘটনাটার ক্ষেত্রেও অভিযুক্তকে সুরক্ষা দেওয়া শাসক শ্রেণীর কিছু রাজনীতিবিদ ধর্ষিতা ও তার পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। ধর্ষিতার সঙ্গে দেখা করতে অথবা তার অবস্থার খোঁজ নিতে পুলিশ একবারও তার বাড়িতে যায়নি। অভিযুক্ত, ধর্ষিতাকে মৃত্যুর এবং তার নামে কলঙ্ক রটনার হুমকি দেয়, এ সত্ত্বেও পুলিশ এবং প্রশাসন তার সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা করেনি।
থানা ঘেরাও তথা সেখানে ধর্ণার দিন অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর শত-শত গ্ৰামবাসী লালকুঁয়া থানায় জমায়েত হয়। ধর্ণা থেকে এক প্রতিনিধি দল থানায় গিয়ে অভিযুক্তর আত্মসমর্পণের লিখিত প্রমাণ চান এবং তার সাথে নিম্নলিখিত দাবিগুলিও রাখেন: অভিযুক্ত যে ব্ল্যাকমেইল করছে তাকে স্বীকার করতে হবে এবং অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ধর্ষণের সঙ্গে ব্ল্যাকমেইল-এর মামলাও দায়ের করতে হবে; ধর্ষিতার যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে; হোটেলে যেহেতু ঘটনাটা ঘটে, তাই লালকুঁয়ার হোটেলটির বিরুদ্ধেও তদন্ত করতে হবে; নির্ভয়া তহবিল থেকে ধর্ষিতাকে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা তদন্তকারী অফিসারের অসহযোগী মনোভাবের সমালোচনা করেন। তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দাবিগুলো মানা না হলে আরও বড় এবং শক্তিশালী আন্দোলন সংগঠিত করা হবে।