প্রস্তাব
আসামের এনআরসি প্রসঙ্গে ৩০ জুলাই ২০১৯ কলকাতায় সংহতি ও প্রতিরোধ গণকনভেনশনে গৃহীত প্রস্তাব

“আসামে যেভাবে এনআরসি-কে বিভাজন ও অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, এই কনভেনশন তা নিয়ে দুশ্চিন্তা ব্যক্ত করছে। আসামে যখন এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে, আশঙ্কা রয়েছে তখন বেশ কয়েক লক্ষ মানুষ রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়বেন।”

নানা প্রশাসনিক জটিলতার কারণে অথবা কাগজপত্র ঠিকমতো না থাকার কারণে যে লক্ষ লক্ষ গরিব শ্রমজীবী মানুষ নাগরিকত্বের জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণ দাখিল করতে পারবেন না, তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করার বিরুদ্ধে এই কনভেনশন মত প্রকাশ করছে। বাংলাদেশ যতক্ষণ না সরকারীভাবে কাউকে বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করা চলবে না। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে এই সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি করা প্রয়োজন বলে এই কনভেনশন মনে করছে।

সন্দেহজনক ভোটার হিসেবে চিহ্নিত করে অনেক লোককে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি অবর্ণনীয় যন্ত্রণার। অবিলম্বে এই অমানবিক ডিটেনশন ক্যাম্পগুলি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে এই কনভেনশন। দাবি জানাচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে বিভাজন সৃষ্টিকারী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে বাতিল করার। সারা ভারতে এনআরসি-কে ছড়িয়ে দেওযার যে পরিকল্পনা বিজেপির আছে, তার বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার হওয়ার জন্য এই কনভেনশন আবেদন জানাচ্ছে। এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল-এর মধ্য দিয়ে বিজেপি যে সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা করতে চাইছে, তার বিরুদ্ধে জনগণকে সক্রিয়ভাবে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানাচ্ছে এই কনভেনশন।”

খণ্ড-26
সংখ্যা-27