খবরা-খবর
চা শিল্পে কর্মরত স্টাফ, সাবস্টাফ ‘জয়েন্ট কমিটি’র বিক্ষোভ, ডেপুটেশন

উত্তরবাংলার চা শিল্পের শ্রমিক ও শ্রমিক-কর্মচারীরা বিগত পাঁচ বছর ধরে ন্যূনতম মজুরি কাঠামো ঘোষণার দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে লেগে আছেন। মালিক-শিল্পপতিদের সঙ্গে কোনো এক অলিখিত আঁতাতের কারণে রাজ্যের শ্রমদপ্তর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমনিবিড় এই শিল্পে আইনানুগ ঘোষণা থেকে পিছিয়ে থাকছে। মালিক কর্তৃপক্ষ এই সুযোগে মজুরি বৃদ্ধি এড়িয়ে থাকতে পারছে

আন্দোলনের ব্যাপক চাপে পড়ে রাজ্য সরকারের শ্রম দপ্তর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর ও নভেম্বর মাসে দু’দফায় একতরফা অন্তর্বর্তী ঘোষণায় ক্রমান্বয়ে দৈনিক ১০ টাকা ও ৭ টাকা, এই ছিঁটেফোঁটা মজুরি বৃদ্ধি করে শুধুমাত্র চা শিল্পের দিনমজুরদের জন্য। (এতৎসত্বেও চা শ্রমিকদের দিনমজুরি এখন মাত্র ১৭৬ টাকা, যা সারা দেশের মজুরির সর্বনিম্ন।)

প্রথা অনুযায়ী চা বাগানে মাসিক বেতনে কর্মরত স্টাফ, সাবস্টাফদের আনুপাতিক হারে বেতন বৃদ্ধি হওয়ার কথা। কিন্তু, বারংবার শ্রমমন্ত্রীর কাছে দরবার করেও এই ন্যায্য দাবির কোনো সুরাহা হয়নি।

এ ছাড়াও স্টাফ, সাবস্টাফদের শূন্য পদে নতুন কর্মী নিয়োগ না করা, দীর্ঘদিন কাজ করা কর্মচারীদের পদন্নোতি না ঘটানো, দিনমজুরদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত রেখে সাবস্টাফের কাজ করিয়ে নেওয়া, অবসরের বয়স ৫৮ থেকে ৬০ বছর করার দাবি এড়িয়ে চলা, পিএফ ও গ্র্যাচুইটির টাকা আত্মসাৎ করা ইত্যাদি অন্যায়, বঞ্চনার প্রতিবাদে গত ২৮ আগস্ট চা শিল্পের স্টাফ, সাবস্টাফদের নবগঠিত যৌথ দাবিমঞ্চ ‘জয়েন্ট কমিটি’-র আহ্বানে সাড়া দিয়ে ডুয়ার্স-তরাইয়ের প্রায় তিন শতাধিক পুরুষ, নারী নির্বিশেষে শ্রমিক কর্মচারী শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড় এর উপকণ্ঠে রাজ্য শ্রমদপ্তরের জয়েন্ট লেবার কমিশনারের দপ্তরে মিছিল করে এসে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জয়েন্ট কমিটির পক্ষে আশিস বসু, সাধন দাশগুপ্ত, পার্থ লাহিড়ী প্রমুখ। আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করে প্রতিবাদী বক্তব্য পেশ করেন তরাই সংগ্রামী চা শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে অভিজিৎ মজুমদার, এনবিপিটিই-এর পক্ষে অভিজিৎ রায়, বিটিডব্লিউইউ-এর পক্ষে যুগল রায় প্রমুখ।

বিশাল পুলিশ বাহিনীর অবরোধকে অগ্রাহ্য করে বিক্ষোভ শেষে ১৫ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল জয়েন্ট লেবার কমিশনারকে ৮-দফা দাবিসনদ পেশ করে।

tea

 

খণ্ড-26
সংখ্যা-27