বিপ্লবী কবি ও আমাদের পার্টির দ্বিতীয় রাজ্য সম্পাদক শহীদ কমরেড সরোজ দত্তের মূর্তির সামনে ৫ আগস্ট দুপুর ২ টায় কার্জন পার্কে সমবেত হন পার্টির সদস্য সমর্থকেরা। পশ্চিমবঙ্গ গণ সংস্কৃতি পরিষদ, আইসা, আরওয়াইএ ও সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতির ব্যবস্থাপনায়, বাবুনি মজুমদার, প্রণব মুখার্জী (রাঙা মামা) ও কল্যাণী গোস্বামীর গানে, সমস্ত কমরেডের ফুলমালায় শ্রদ্ধা নিবেদন ও এক মিনিট নীরবতা পালনে স্মরণ করা হয় বর্তমান পরিস্থিতিতে কমরেড সরোজ দত্তের জীবন ও সংগ্রামের তাৎপর্য। রাজ্য সম্পাদক কমরেড পার্থ ঘোষ সংক্ষিপ্ত ভাষণে তুলে ধরেন রাষ্ট্রের ক্রমাগত ফ্যাসিস্ট চরিত্র নেওয়ার বিভিন্ন দিকগুলি। মাত্র কয়েক ঘন্টা আগেই দেশের গণতান্ত্রিক জনমতকে স্তম্ভিত করে রাষ্ট্রপতি আচানক নোটিশ জারি করেকেড়ে নিয়েছে কাশ্মীরের সংবিধান প্রদত্ত বিশেষ অধিকার ৩৭০ ধারা, কেন্দ্রের সরকার ঘোষণা করেছে কাশ্মীর রাজ্য বিলপ্তু করে দুই টুকরো কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়ার কথা। সরোজ দত্তর মূর্তির সামনের সভায় কমরেড পার্থ ঘোষ কেন্দ্রের এই হঠকারী সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানিয়ে সকলকে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেওয়ার আবেদন জানান। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকেই শুরু হয় মিছিল। লেনিন মূর্তির সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়তু দেশমুখ ও রাজ্য কমিটির সদস্য নবেন্দু দাশগুপ্ত। তাঁরা কেন্দ্রের উদ্যোগকে সংবিধানের ওপর ও গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ বলে বর্ণনা করেন। শ্লোগান মুখর মিছিল লেনিন সরণী হয়ে মৌলালির মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সভায় এসে শেষ হয়। এখানে বক্তব্য রাখেন রাজ্য নেতা বাসুদেব বোস। তিনি ৩৭০ ধারা বিলোপ ও কাশ্মীরের জনতার ওপর রাষ্ট্রীয় হামলাকে ধিক্কার জানানোর সাথে সাথে ইউএপিএ আইন ও এনআরসি-র মাধ্যমে কেন্দ্রের নেওয়া ফ্যাসিস্ট উদ্যোগ সম্পর্কে সচেতন করেন। সমগ্র কর্মসূচীতে অনেক ছাত্রছাত্রী ও রাজ্য পার্টির নেতাকর্মীদের সাথে পলিটব্যুরোর বর্ষীয়ান নেতা কমরেড কার্তিক পালও উপস্থিত ছিলেন। মিছিল থেকে শ্লোগান ওঠে ৩৭০ ধারা পুনর্বহাল করা ও কাশ্মীরের বিরোধী দলের নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে কাশ্মীরের জনজীবনে শান্তি ফিরিয়ে দেওয়ার।