“টুকরো টুকরো করে ছেঁড়ো তোমার অন্যায় ও ভীরুতার কলঙ্কিত কাহিনী শোষক ও শাসকের নিষ্ঠুর একতার বিরুদ্ধে একত্রিত হোক আমাদের সংহতি” ১৬ আগষ্ট বিপ্লবী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য-এর ৯৪-তম জন্মদিবস পালিত হল যাদবপুরে সংযোগ সাংস্কৃতিক সংস্থার পক্ষ থেকে। যাদবপুর টিবি হসপিটালের ভেতরে থাকা কবি সুকান্তের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন সংযোগ-এর প্রণব মুখার্জী, হসপিটালের সুপার ড: রহমান, স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরিমল হালদার, নাট্যব্যক্তি জয়ন্ত সহ শান্তনু ভট্টাচার্য, বাবুন চ্যাটার্জী সহ উপস্থিত সকলে। হসপিটালের সকল কর্মীবৃন্দরা মাল্যদান করেন।
কবি সুকান্তের জীবনের শেষ দিনগুলো এই হসপিটালের যে ঘরে কেটেছে, সেই ঘর এখন বেসরকারি কেপিসি-র দখলে। টিবি হাসপাতালের কর্মীদের ব্যবস্থাপনায় সেই ঘরের তালা খুলে সেই ঘরে কবির মূর্তিতে মাল্যাদান করা হয়। সেখানে কেপিসি-র নার্সিং পড়ুয়াদের একাংশও কবিকে শ্রদ্ধা জানায়। গণ-সংগীত ও সংক্ষিপ্ত ভাষণের মাধ্যমে কবি সুকান্তকে স্মরণ করা হয়। পরিবেশন করেন প্রণব মুখার্জী, সুব্রত ভট্টাচার্য, কল্পনা দেশমুখ, সুনীল মন্ডল। টিবি হসপিটালের আবাসিকদের মধ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে সামান্য ফলমিস্টি বিলি করা হয়। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে সরকারি হসপিটালের জমি তুলে দেওয়া হয়েছিল বেসরকারি কেপিসি হসপিটালকে। প্রায় আশি শতাংশ জমি সহ কবি সুকান্তের স্মৃতি-বিজড়িত ঘরটিও আজ তাদের দখলে। পলেস্তারা খসে পড়ে আজ চরম অবহেলিত ও উপেক্ষিত। পুরাতন ও বর্তমান কোনও সরকারই এ বিষয়ে ভাবিত নয়। বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিপ্লবী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য-এর এই ঘরটিকে রক্ষা করতে সকলকে সচেষ্ট হতে হবে। যাদবপুর এলাকার সংযোগ সহ অন্যান্য সংগঠন এই বিষয়ে আগামী দিনে আন্দোলন গড়ে তুলবে। সরকারি টিবি হসপিটালের কর্মীরাও এই লড়াই-এর সাথী হবে বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আগামি দিনে তাই কবি সুকান্ত স্মরণে তার শেষ স্মৃতিচিহ্নকে সংরক্ষণ করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে।