খবরা-খবর
উন্নাও ধর্ষণকাণ্ড ও কাশ্মীরে ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা প্রত্যাহারের প্রতিবাদে বেলঘরিয়ায় পথসভা

৯ আগস্ট, ৭৭ বছর আগের ‘ইংরেজ ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের সূচনার দিনটিতে, সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতির বেলঘরিয়া শাখা উন্নাও ধর্ষণকাণ্ড এবং কাশ্মীরে ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা বাতিলের বিরুদ্ধে বাটা মোড়ে এক পথসভার আয়োজন করে। এই বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন অ্যাপোয়া-র রাজ্য সম্পাদিকা ইন্দ্রাণী দত্ত, প্রবীণ নেত্রী মৈত্রেয়ী বিশ্বাস, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা-অ্যাপোয়ার সম্পাদিকা রাজ্যনেত্রী অর্চনা ঘটক, সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের জেলাসদস্য অশোক সাহা ও শিবশঙ্কর গুহ রায়।

মোদী সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে নিজের জনবিরোধী চরিত্র উন্মোচিত করে চলেছে। আদিবাসীদের উচ্ছেদ করে বনাঞ্চল কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া, প্রতিবাদের কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য সংশোধনের মাধ্যমে আইনগুলিকে আরও দানবীয় করে তোলা, বাজেটে বিরাট শিল্পপতিদের কর ছাড় কিন্তু ছাব্বিশ লক্ষ দরিদ্র রন্ধনকর্মী মহিলাদের ভাতা বৃদ্ধির ব্যাপারে নীরব থাকা ও পুষ্টি প্রকল্পসহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা ও এইভাবে মহিলাদের কর্মসংস্থান কেড়ে নেওয়া, উন্নাও-এর নির্যাতিতাকে সুবিচার দেওয়ার পরিবর্তেতাকে প্রাণে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করা, সামগ্রিক ভাবে মহিলাদের অর্জিত অধিকার ও স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার পথে ঠেলে দেওয়া, অর্থনীতিতে ভয়ঙ্কর মন্দা পরিস্থিতি চাপা দেওয়ার জন্য রামমন্দির ইত্যাদি হিন্দুত্ববাদী ইস্যুকে সামনে আনা, সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলির বিলগ্নীকরণ, বিপুল পরিমাণে কর্মী ছাঁটাই, কাশ্মীরকে চরম অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিকভাবে দু’টুকরো করা তথা ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বাতিল করা ইত্যাদি বিভিন্ন প্রশ্নে বক্তারা তাদের ক্ষোভ উগরে দেন আরএসএস- বিজেপি পরিচালিত দ্বিতীয় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ।

খণ্ড-26
সংখ্যা-25