হুগলী জেলার নিজস্ব সরকারী মেডিক্যাল কলেজ, পৃথক সরকারী হুগলী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, আধুনিক শিক্ষার পরিকাঠামো সহ হুগলী মাদ্রাসা পুনরায় চালু, আদিবাসীদের মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ, এসএসসি পরীক্ষা ও আপ-টু-ডেট ভ্যাকেন্সিতে নিয়োগ সহ শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের দশ দফা দাবিতে পথে নামলো ছাত্র সংগঠন অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস’ অ্যাসোসিয়েশন। ৯ জুলাই আইসার পক্ষ থেকে এই দাবি নিয়ে দুপুর তিনটে থেকে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত চলে অবস্থান বিক্ষোভ হুগলী জেলা সদর চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে। কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক স্বর্ণেন্দু মিত্র সহ হুগলী জেলার সদস্যরা। এদিন উপরোক্ত দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি সংগঠনের পক্ষ থেকে চন্দ্রনারায়ণ ব্যানার্জী, অর্পিতা রায়, অভীক সেন, অর্ক ও অতনু পাল - এই পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল জেলাশাসকের দপ্তরে পেশ করেন। জেলাশাসকের অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলাশাসক স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। তিনি জানান যে জেলায় আরামবাগ সহ দুটি জায়গায় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করছে, হুগলী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি সরকার মাথায় রাখবে, তপসিলী জাতি ও উপজাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের কাস্ট সার্টিফিকেটের জন্য গ্রামে গ্রামে ক্যাম্প করবে সরকার, কোথায় কোথায় ক্যাম্প হবে তার তালিকা কয়েকদিন পরে প্রকাশ হবে, হুগলী মাদ্রাসায় আগামী তিন/চার মাসের মধ্যে ক্লাস চালু করার প্রচেষ্টা চলছে। এছাড়া সংগঠনের অন্যান্য দাবিগুলিতেও তিনি গুরুত্ব দিয়ে সহমত প্রকাশ করেন।
আগামীদিনে এই সকল বিষয়ে সরকার কত দ্রুত কী পদক্ষেপ করে সে বিষয়ে আইসা নজর রাখবে এবং প্রয়োজনে আবার পথে নামবে বলে জানান আইসার হুগলী জেলার সংগঠক সৌরভ। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখেন আইসার রাজ্য কমিটির সদস্য ঐশিক সাহা, অঙ্কিত মজুমদার ও রাজ্য সভাপতি নীলাশিস বসু এবং বিপ্লবী যুব অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে রক্তিম কুমার ও সজল কুমার দে। মেঘ, বৃষ্টির আসা যাওয়ার মধ্যেও চুঁচুড়ার এই ব্যস্ততম অঞ্চলে কর্মসূচী পুরো সময় ধরেই চলে এবং এলাকার মানুষ দাঁড়িয়ে সভা শোনেন ও সংগঠনের প্রচারপত্র নিয়ে পড়েন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ এগিয়ে এসে আইসার এই উদ্যোগে সংহতি জানান।