মোহিনী মিল কোয়ার্টার ভেঙে পড়ল। শতাব্দী প্রাচীন মোহিনী মিল ১৯৮২ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ন্যাশনাল টেক্সটাইল কর্পোরেশন’ অধিগ্রহণ করে এবং ১৯৮৮ সালে ডিনোটিফিকেশন করে দিয়ে মিল বন্ধ করে দেয়। এই ৩১ বছরে শ্রমিকরা তাদের উপার্জিত বকেয়া মজুরি, পিএফ, গ্রাচ্যুইটির কোনো টাকাই পাননি। সেই সময়কার শাসকদলের ট্রেড ইউনিয়ন সিআইটিইউ-র হাতে বোর্ড অব ট্রাস্টি পরিচালনার দায়িত্ব ছিল। লোকমুখে প্রচারিত সেই সময় সিটুর নেতারা পিএফের টাকা তছরুপ করেছে। এমনকি মিলের যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে মিলের শেড পর্যন্ত চোরেরা ভেঙে নিয়ে গেছে। স্থানীয় মানুষের মুখে মুখে এই কথা প্রচারে আছে তদানীন্তন শাসক দলের সহযোগিতায় এতো বড় সর্বনাশ হয়েছে। আজ জনবহুল রাস্তায় কোয়ার্টারের আরও একটি অংশ ভেঙে পড়ল। কোনো হতাহতের খবর নেই। রাজ্য সরকার ও পৌরসভার কাছে আমরা দাবি করছি অবিলম্বে মোহিনী মিলের কোয়ার্টার মেরামতি করতে হবে।
নবেন্দু দাশগুপ্ত, সিপিআই(এমএল) লিবারেশন, মোহিনী মিল মজদুর বাঁচাও কমিটি, বেলঘরিয়া