১০ জুলাই সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের রাজ্য অফিসে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক বৈঠকে পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “দ্বিতীয়বার কেন্দ্রে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনগণের উপর অর্থনৈতিক আক্রমণ বেড়ে চলেছে। পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি করে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়ানো হল। কর্পোরেটদের স্বার্থে শ্রম আইনকে শিথিল করা হল। ১৯২৭ সালের বন আইনকে পাল্টে নতুন বন আইন আনার ষড়যন্ত্র চলছে, যার ফলে ২৫ লক্ষ আদিবাসী মানুষ নতুন করে উদ্বাস্তু হবে। বেকার সমস্যা সমাধানে সরকারের বিন্দুমাত্র নজর নেই, আর এই বেকার যুবকদেরই মব লিঞ্চিং-এর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। সড়ক থেকে পার্লামেন্ট সর্বত্রই জয় শ্রীরাম ধ্বনি। এই শ্লোগান এখন সংখ্যালঘু মানুষ, আদিবাসী-দলিত মানুষদের দনমের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।”
পশ্চিমবাংলার প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতে আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতা দখলের পর বিজেপি এবং আরএসএস পশ্চিমবাংলাকে টার্গেট বানিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে অপ্রতাশিত আসন লাভের পর রাজ্যের সর্বত্রই বিজেপি সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। রাজ্যের সরকার ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে এরাজ্যেও মব লিঞ্চিং-এর ঘটনা বাড়ছে, যাকে এখনই প্রতিহত করা দরকার। এই পরিপ্রেক্ষিতে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “আগামী ৩০ জুলাই, পার্টির ৫০তম বর্ষ ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক কমরেড চারু মজুমদারের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কলকাতার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক মহতী গণকনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে আন্দোলনকে আরও জোরদার করার জন্য এরাজ্যের গণতন্ত্রপ্রিয়, সংবেদনশীল ও জনগণের অধিকার রক্ষায় বিশ্বাসী পার্টির কর্মী-সমর্থক-দরদীরা যেমন এই কনভেনশনে উপস্থিত থাকবেন, তেমনই পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহার, ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যা, আসাম ও ত্রিপুরার কর্মী-সংগঠকরাও উপস্থিত হবেন। এরাজ্যের নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সাংস্কৃতিক, পরিবেশ, যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞান আন্দোলনের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হবেন ও তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন। ৩০ জুলাই গনকনভেনশনের পর দুদিনব্যাপী (৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট) মৌলালী যুবকেন্দ্রে সর্বভারতীয় ক্যাডার ওয়ার্কশপ সংগঠিত হবে।” এই সাংবাদিক বৈঠকে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কার্তিক পাল ও রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ।