৭ জুলাই হুগলী শিল্পাঞ্চলের চাঁপদানি অঞ্চলে এক গণকনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৩০ জুলাইয়ের আসন্ন জাতীয় স্তরের কর্মসূচী ‘সংহতি ও প্রতিরোধ গণকনভেনশনের’ প্রচার ও প্রস্তুতি পর্বের অংশ হিসাবেই এই আয়োজন। ‘বর্তমান পরিস্থিতি ও বামপন্থীদের কর্তব্য’ শিরোনামে এই কনভেনশন আয়োজিত হয় চাঁপদানির হরিনারায়ণ সাউ ভবনে। সভাঘরে মানুষের ভিড় ছিল যথেষ্ট। বিগত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই শ্রমিক অধ্যুষিত ঐ এলাকায় সিপিআই (এম)-এর সংগঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নানা রাজনৈতিক মতাদর্শ ও রণকৌশলগত প্রশ্নে ঐ দলের সাথে বিতর্কের প্রেক্ষিতে ওখানে দীর্ঘদিন ধরে লেগে পড়ে থাকা আমাদের শ্রমজীবি কমরেডদের সাথে যোগাযোগ করে এবং পরবর্তীতে ঐ দল ছেড়ে বেশ কিছু সক্রিয় সদস্য ও সংগঠক সিপিআই(এমএল) লিবারেশনে যুক্ত হন। এঁদের মধ্যে সিপিএমের হুগলী জেলা কমিটির প্রাক্তন সদস্য, চাঁপদানি লোকাল কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক ও লোকাল কমিটি সদস্য আছেন। এলাকায় শ্রমিক কমরেডরা ধারাবাহিক সম্পর্ক রাখার পাশাপাশি পার্টির লাইন, বিভিন্ন প্রশ্নে পার্টির অবস্থান তুলে ধরেন। সিপিএম ছেড়ে আসা সত্ত্বেও সিপিআই(এমএল)-এর সিদ্ধান্তে তাঁরা এবারের লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন। শ্রমিকদের মধ্যে কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই কমরেডরা যুক্ত হওয়ায় এলাকায় শ্রমিক আন্দোলনে ও সংগঠনে একটা গতি আসবে এই আশা করা যায়।
৭ তারিখের কনভেনশনে গণসঙ্গীত দিয়ে সূচনা করেন কমরেড বাবুনি মজুমদার ও মেঘনা মজুমদার। সদ্যপ্রয়াত কমরেড সুদর্শন বসু (অনলদা) সহ অন্যান্য প্রয়াত ও শহীদ সাথীদের স্মৃতিতে নীরবতা পালন করা হয়। বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম-এল) লিবারেশনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক পার্থঘোষ, জেলা সম্পাদক প্রবীর হালদার, হুগলী জেলা কমিটির সদস্য বটকৃষ্ণ দাস, রাজ্য কমিটির সদস্য অপূর্ব ঘোষ এবং পার্টিতে আগত কমরেডদের সংগঠক শ্যামল বাগ। সভা সঞ্চালনা করেন ধ্রুবদাস শূর। ইতিমধ্যেই নতুন, পুরানো মিলিয়ে ওখানকার কমরেডরা এলাকায় ৩০ জুলাইয়ের পার্টি কর্মসূচীর দেওয়াল লিখন, ফ্লেক্স, ব্যানার লাগানোর কাজে নেমে পড়েছেন। এই অভিজ্ঞতা অন্যত্রও উৎসাহ দেবে। কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে এদিনের কর্মসূচী সমাপ্ত হয়।