কমরেড এ কে রায় লাল সেলাম

২১ জুলাই ২০১৯, ৮৪ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন মার্ক্সিস্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটির বর্ষীয়ান নেতা কমরেড এ কে রায়। কমরেড রায়ের প্রয়াণে সিপিআই(এমএল) গভীরভাবে শোকাহত

 ঝাড়খণ্ড তথা ভারতের বাম ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে এ কে রায় রেখে গেছেন এক উজ্জ্বল অধ্যায়। ধানবাদ লোকসভা আসন থেকে তিনি ছিলেন তিনবারের বিজয়ী সাংসদ। ঝাড়খণ্ডের কয়লা খনি শ্রমিক আন্দোলনের প্রবাদপ্রতীম নেতা এ কে রায় তাঁর সরলতা ও সাধারণ জীবনযাপনের জন্য সবার কাছেই ছিলেন গভীর শ্রদ্ধার পাত্র। ধানবাদের শ্রমজীবী মানুষের ভালবাসার উপর নির্ভর করেই তিনি শেষ দিন পর্যন্ত কাটিয়েছেন এক দারিদ্র্যক্লিষ্ট জীবন।

কমরেড রায় ছিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম। পৃথক ঝাড়খণ্ড রাজ্যের জন্য সংগঠিত আন্দোলনে বিনোদ বিহারি মাহাতো এবং শিবু সরেন এর পাশাপাশি তিনিও ছিলেন অন্যতম প্রধান নেতৃত্ব

 জরুরি অবস্থার সময় কমরেড রায়কে কারাবন্দি হতে হয়েছিল। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই তে তিনি ছিলেন এক দৃঢ়চেতা এবং ক্লান্তিহীন সৈনিক। আর তার কাছে গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ের মানে ছিল সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া এবং দরিদ্রতম মানুষদের অধিকারের জন্য সংগ্রাম।

তিনি এমন একটা সময়ে চলে গেলেন যখন ঝাড়খণ্ড এবং সারা ভারত লড়ছে মোদি থেকে রঘুবর দাশদের শাসনে সরকারি সম্পদ বেচে দেওয়া, উচ্ছেদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের উপর আঘাতের নীতিগুলির বিরুদ্ধে।

কমরেড রায়-এর লড়াই আমাদের কাছে সব সময়েই এক আলোকবর্তিকা হিসেবে থেকে যাবে। আগামী প্রজন্মের বিপ্লবীদেরও তার জীবন ও কাজ প্রাণিত করবে। কমরেড এ কে রায় লাল সেলাম।

দীপঙ্কর ভট্টাচার্য
সাধারণ সম্পাদক
সিপিআই(এমএল) লিবারেশন

খণ্ড-26
সংখ্যা-22