পশ্চিমবঙ্গ গণসংস্কৃতি পরিষদের দশম দ্বি-বার্ষিক রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল বারাসত তিতুমীর ভবনে।পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি প্রয়াত কমিউনিস্ট বিপ্লবী নিমাই ঘোষের নামে সভাস্থলের নামকরণ করা হয় “নিমাই ঘোষ নগর”, তিতুমীর হল এবং মঞ্চের নাম রাখা হয় যথাক্রমে প্রয়াত সাহিত্যিক চন্দন ঘোষ ও প্রণতি ভট্টাচার্যের নামে। ২০ জানুয়ারি, ২০১৯ ঠিক ১০ টা ৩০ মিনিটে সভা উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত কথাশিল্পী শ্রী সাধন চট্টোপাধ্যায়। এই সম্মেলন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীদের আগামী দিনের এক ঐক্যবদ্ধ চেহারা তুলে ধরলো। উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় গণ নাট্য সংঘ, গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘ, আইপিসিএ, মুক্তাঙ্গন ওয়েলফেয়ার, বিজ্ঞান চেতনা মঞ্চ, অরিজিৎ মিত্র স্মারক কমিটি এবং সর্বোপরি বাদল সরকার নাট্যচর্চা কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন শ্রী অসীম ঘোষ, শ্রী মিলন দত্ত, প্রখ্যাত গণ সঙ্গীত শিল্পী শ্রী বিপুল চক্রবর্তী ও শ্রীমতী অনুশ্রী চক্রবর্তী, সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ ও পলিটব্যুরো সদস্য কার্তিক পাল, জনসংস্কৃতি মঞ্চের শ্রী অনিল অংশুমান প্রমুখ।
সাহিত্যিক শ্রী খাইরুল আলম বললেন রাজনৈতিক সত্ত্বা ছাড়া শিল্পী হওয়া যায় না। বর্তমানে গোটা ভারতে সংঘ পরিবার সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ব্যাখ্যা করে অনিল অংশুমান বলেন, “এগুলো মব লিঞ্চিং নয় বরং এগুলো সংগঠিত হত্যা। সাংস্কৃতিক কর্মীদের সারা ভারত জুড়ে যে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়েছে তার মুখ হয়ে উঠতে হবে।” কার্তিক পাল বলেন সাংস্কৃতিক কর্মীদের এরাজ্যে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধেও পথে নামতে হবে। অতিথি অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন পশ্চিমবঙ্গ গণসংস্কৃতি পরিষদ ঐক্যের দিশা দেখাচ্ছে।
সম্মেলনে ৭৫ জনের সাধারণ পরিষদ ও ২৫ জনের কার্য নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। বিশিষ্ট নাট্যকার পরিচালক অভিনেতা দেবাশিস চক্রবর্তী ও বিশিষ্ট গণ সঙ্গীত শিল্পী ও সংগঠক নীতীশ রায় যথাক্রমে সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত হন।
সমবেত কন্ঠে উই শ্যাল ওভারকাম গানের মধ্যে দিয়ে সম্মেলনের সফল পরিসমাপ্তি ঘটে।