ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব পড়ে হাওড়া জেলা জুড়ে। বিশেষত বালি জুটমিল, বাউড়িয়া, লাডলো, প্রেমচান্দ, ফোর্টগ্লাস্টার সহ উলুবেড়িয়া শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ জুটমিল, দাশনগর-টিকিয়াপাড়ার ক্ষুদ্রশিল্পাঞ্চল, বাগনান বাজার এলাকা, বেলুড় থেকে ঘুসুড়ির ক্ষুদ্র শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব পড়ে। গোটা জেলা জুড়ে পুলিশ এবং তৃণমূলী ভৈরব বাহিনীর তান্ডব ভীতি প্রদর্শন, ধর্মঘট ভাঙা দালালী সবকিছুকে প্রতিহত করে ধর্মঘটকে সফল করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালায় এআইসিসিটিইউ সহ সিপিআই (এম-এল) এর গণসংগঠনগুলি। ভোর পাঁচটা থেকে বালি মিলে পিকেটিং চলতে থাকে এআইসিসিটিইউ এবং সিটুর নেতৃত্বে, স্থানীয় তৃণমূলী গুন্ডা এবং বালি থানার পুলিশ চেষ্টা করেও পারেনি ধর্মঘট ভাঙতে। বালি মিলের শ্রমিকরা একজনও কাজে যোগ দেননি। সিপিআই (এম-এল) এবং সিপিআই(এম) মিলে দফায় দফায় অবরোধ করা হয় বালি শ্রীকৃষ্ণ হল, দেওয়াজিতলার জিটি রোড, বেলুড় বাজারে। ধর্মঘটে অংশ নেওয়ার জন্য হুমকী দেওয়া হয় সিপিআই (এম-এল) এর কমরেড রঘুপতি গাঙ্গুলী, নীলাশিস বসু, অঙ্কিত মজুমদারকে। কমরেড অঙ্কিতের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয় তৃণমূলী ভৈরব বাহিনী। একইভাবে এআইসিসিটিইউ-সিটু-টিইউসিসি সকাল থেকে পিকেটিং চালায় বাউড়িয়া জুটমিলে। বাউড়িয়া জুটমিল ছিলো সম্পূর্ণ বন্ধ। বাগনানে সিপিআই (এম-এল) ও সিপিআই(এম) যৌথভাবে অবরোধ করলে তৃণমূলী গুন্ডা এবং পুলিশ আক্রমণ চালায়। চারজনকে গ্রপ্তার করা হয়। দীর্ঘক্ষণ বাগনান থানায় বিক্ষোভ দেখান সিপিআই (এম-এল) এবং সিপিআই(এম) নেতৃত্ব। মধ্যহাওড়ার কদমতলা বাজারেও মিছিল করার সময় গ্রেপ্তার করা হয় ধর্মঘটীদের। বিক্ষোভ চলে ব্যাঁটরা থানায়।
ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে গোটা জেলা জুড়ে সন্ত্রাসেী পরিবেশ তৈরী করে তৃণমূল। ধর্মঘটীদের বাড়ি বাড়ি হুমকী মারধর করে ধর্মঘট ভাঙার প্রয়াশ চলে। তা সত্বেও ধর্মঘটের প্রভাব জেলার শিল্পাঞ্চলগুলিতে যথেষ্ট পরিলক্ষিত হয়।