দেশজুড়ে সফল সাধারণ ধর্মঘট

গত ৮-৯ জানুয়ারি প্রধান প্রধান কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনগুলো সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল শ্রমজীবী জনগণের উপর মোদী সরকারের লাগাতার আক্রমণ নামিয়ে আনার বিরুদ্ধে। ধর্মঘটের দাবি ছিল শ্রম আইনের স্বেচ্ছাচারি সংশোধনের বিরুদ্ধে, ঠিকা চুক্তিতে কাজ করানোর অবসান, সম কাজে সম বেতন ও সম্মানজনক মজুরির নিশ্চয়তা বিধান প্রমুখ। ধর্মঘট বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে। যেখানে কারখানা শ্রমিক, সরকারি কর্মচারী, ব্যাঙ্ক ও বীমা কর্মীরা, আশা, অঙ্গনওয়াড়ি, রন্ধনকর্মী তথা অন্যান্য অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমজীবী মানুষেরা যেমন চাষি, ক্ষেতমজুর, ছাত্র-যুব ইত্যাদি ব্যাপক সংখ্যায় এই ধর্মঘটের সমর্থনে সামিল হন এবং তাদের সংগঠিত ক্ষোভের প্রকাশ ঘটিয়েছেন।

JKD

 

ঝাড়খণ্ড : ঝাড়খণ্ডে ইসিএল, সিসিএল এবং বিসিসিএল সহ সমগ্র কয়লা শিল্প স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। উৎপাদন, সংবহন, পরিবহন এবং কয়লা পাঠানো পুরোপুরি বন্ধ ছিল। ঝাড়খণ্ডের সমস্ত জেলাতেই শ্রমিকরা সিপিআই(এমএল), সিপিআই(এম), সিপিআই, এমএসএস, এসইউসিআই(সি) এবং সিপিআই(এমএল) অনুমোদিত কিষাণ সভা সহ সমস্ত গণ সংগঠনের সক্রিয় সমর্থনে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। রাঁচিতে নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মীরা কাজ বন্ধ করে প্রতিবাদী জমায়েত সংগঠিত করেন এলবার্ট এক্কা চকে। সেখানে বক্তব্য রাখেন এআইসিসিটিইউ নেতৃবৃন্দ। তাঁরা বলেন, আর এক মুহুর্ত বিলম্ব না করে রাজ্য সরকারকে শ্রম বিরোধী নীতি প্রত্যাহার করতে হবে। ৯ জানুয়ারি শ্রমিকরা লেবার অফিস ঘেরাও করেন এবং শ্রম কমিশনারকে ১৩ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেন। বগোদরে, কিষাণ মহাসভা, ঝাড়খণ্ড গ্রামীণ মজদুর সভা, প্যারা টিচার্স ফ্রন্ট, অঙ্গনওয়াড়ি, ওয়ার্কার্স এ্যাসোসিয়েশন, এমএনআরইজিএ ওয়ার্কার্স এ্যাসোসিয়েশন, পোশন সাক্ষী সংঘ, দহিয়া দিদি সংগঠন ও অন্যান্য সংগঠনের নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। মোটরওয়ার্কস ইউনিয়নের বগোদর সম্পাদক যোগেশ্বর সাউয়ের নেতৃত্বে বাসস্ট্যাণ্ডে বাস বন্ধ রেখে ধর্মঘট সফল করেন। রামগড়ে সিপিআই(এমএল) এবং এ আইসিসিটিইউ-র নেতৃত্বে শত শত গ্রামীণ শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক ও চাষিরা মিছিল করেন। ভরকুণ্ডা বাজার, গোলা ও পারাতুতে প্রতিবাদী শ্রমিকরা মিছিল করেন। ধানবাদে কুমারডুবি, বারমুডি, চম্পাপুর ও বইজনা এলাকায় খনি শ্রমিকরা ধর্মঘটে দুর্দান্ত ঐক্য দেখান এবং ধর্মঘটকে সফল করে তোলেন। ইসিএলের মুগবা এলাকায়, বিসিসিএলের লোদনা এলাকায় এবং জয়রামপুর এলাকা অফিসেও শ্রমিকরা ধর্মঘটে সামিল হন। তিসরা ওয়ার্কসপ, জিনাগরা ওয়ার্কসপ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে এবং এই সমস্ত এলাকায় সিএমডব্লিউর নেতৃত্বে মোটর সাইকেল মিছিল পরিক্রমা করে। ঝাড়খণ্ড রাজ্য রন্ধন কর্মী ও সহায়িকা সংঘ ৯ জানুয়ারি ধর্মঘটের সমর্থনে স্থানীয় গলফ গ্রাউণ্ডে মিছিল সংগঠিত করে। প্রতিবাদ ও ধর্ণা সংগঠিত হয় কোডারমার বাজেডিহি থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, লাতেহার আরওয়াডিহি, বিআরসি, ডালটনগঞ্জ, দেওঘর জেলার মোহনপুর, গাড়োয়া, মেরাল ও গুমলায়। দু-দিনের ধর্মঘটে স্থানীয় ব্যাঙ্ক ও বীমা ক্ষেত্রও সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি অফিস, বোকারো স্টিল প্ল্যান্ট এইচইসি, বিদ্যুৎ ক্ষেত্র, সিংভূমের লোহা খনি অঞ্চল, আদিত্যপুর, গামহারিয়া, খাড়াসাওয়া ও কান্দ্রা শিল্পাঞ্চলেও কার্যকরি ধর্মঘট হয়। রাঁচি, পাকুড় ও সাহেবগঞ্জ জেলার নির্মাণ, বিড়ি এবং পাথর খাদানের লক্ষাধিক শ্রমিকরা ধর্মঘটে সামিল হন।

Bihar

 

বিহার : বিহারে ৮ জানুয়ারি রাজধানী পাটনায় আশা, রন্ধনকর্মী ও অন্যান্য শ্রমজীবী মহিলা সহ এআইসিসিটিইউ-র নেতৃত্বে শত শত শ্রমিক চারপাশ থেকে আলাদা আলাদা মিছিল করে এসে ঘিরে ফেলে ডাকবাংলা চক অবরুদ্ধ করে দেন। তাঁরা শ্লোগান তোলেন নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে। এই কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন শশী যাদব, সরোজ চৌবে, ধীরেন্দ্র ঝা, আর এন ঠাকুর ও রামবলি প্রসাদ। প্রতিবাদ চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর মোদীর প্রায় এক ডজন কুশপুতুল পোড়ানো হয়। ফুলওয়াড়ি সরিফে কয়েক শত নির্মাণ শ্রমিক, সুধা ডেয়ারি নিজি বাহন চালক এবং কর্মচারী সংঘ, নালন্দা বিস্কুট কোম্পানি মজদুর ইউনিয়ন এবং এআইআইএমএস মিছিল সংগঠিত করেন, রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ সভা করেন। বিহার পুলিশের চতুর্থ শ্রেণীর শ্রমিক সমিতির (গোপ গোষ্ঠী) স্থানীয় ভেটেরিনারি কলেজ থেকে বিএমপি ক্যাম্প তথা বিমান বন্দর পর্যন্ত মিছিল সংগঠিত করেন। দারভাঙ্গায় বিহার রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (গোপ গোষ্ঠী) ধর্মঘটের সমর্থনে প্রতিবাদ সংগঠিত করেন। অঙ্গনওয়াড়ি ও অন্যান্য অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা আরায় ক্যালেক্টরেটের সামনে প্রতিবাদ সভা করে। গোপ গোষ্ঠী পরিচালিত নন গেজেটেড ওয়ার্কার্স এ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে মোটর সাইকেল মিছিল সংগঠিত হয়, ব্যাঙ্ক ও বীমা সহ সমস্ত সরকারি অফিস বন্ধ থাকে। আরা পৌর সংস্থার শ্রমিকরা নিগম গেটে গেট সভা করেন। মধুবনির জয়নগরে মোটর ড্রাইভার ইউনিয়ন মিছিল করে গিয়ে আম্বেদকর মেমোরিয়ালের সামনে সভা করে। আশা, রন্ধনকর্মী, সেবিকা সহায়িকা ও স্কীম ওয়ার্কাররা ভাগলপুরে যুক্তভাবে ধর্মঘট করে ৮০ নং জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে দেয়। এরপরে মিছিল বের হয় এবং ক্যালেক্টরেটের সামনে সভা সংগঠিত হয়, সেখানে বক্তব্য রাখেন এআইসিসিটিইউ-র সর্বভারতীয় সভাপতি এস কে শর্মা, জেলা সম্পাদক মুকেশ মুক্ত সহ এআইটিইউসি, সিটু ও অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

UP

 

উত্তরপ্রদেশ : লক্ষ্মৌয়ে ৮ জানুয়ারি মিছিল সংগঠিত হয়, সভা হয়। বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এমএল) রাজ্য কমিটির সদস্য মীনা সিং সহ এআইসিসিটিইউ জেলা আহ্বায়ক মধুসুধন মগন। সমাবেশে ব্যাপক সংখ্যায় নারী শ্রমিক, ই-রিক্সা চালক, পরিচারিকা শ্রমিকরা সামিল ছিলেন। এলাহাবাদে ফুলপুরে নির্মাণ শ্রমিক এ্যাসোসিয়েশনের ধর্ণা সংগঠিত হয়। ৯ জানুয়ারি স্থানীয় হনুমান মন্দিরের সামনে সভা করা হয়, বক্তব্য রাখেন এআইসিসিটিইউ রাজ্য সম্পাদক অনিল বর্মা সহ নরেন্দ্র প্রতাপ, সুভাষ প্যাটেল, বীরেন্দ্র প্রতাপ, ফুলচন্দ্র-রামচন্দ্র যাদব, জয়প্রকাশ, ধ্যানচন্দ্র প্যাটেল ও অন্যান্যরা। সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতি (আয়ারলা)-র নেতৃত্বে গোরক্ষপুরে সিপিআই(এমএল) অফিসের সামনে থেকে মিছিল বের হয়ে পৌরসভা পর্যন্ত যায়। সেখানে অন্যদিক থেকে এসে ধর্মঘটি সমাবেশে যোগদান করেন উত্তরপ্রদেশ চৌকিদার ইউনিয়ন। সভায় উপস্থিত ধর্মঘটিদের সামনে বক্তব্য রাখেন জেলা সম্পাদক রাজেশ সাহানি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ফয়জাবাদে যুক্ত বাম মিছিল বের হয়ে গান্ধী পার্কে প্রতিবাদী সভায় পরিণত হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন বাম দলের নেতৃবৃন্দ। সিপিআই(এমএল) জেলা ভারপ্রাপ্ত অতীক আহমেদ সহ আরো অনেকে। তাঁরা চাষি, শ্রমিক, ছাত্র, যুব বিরোধী মোদী সরকারের গৃহীত নীতির স্বরূপ উন্মোচন করেন এবং অভিযুক্ত করেন এই বলে যে এই সরকার কেবলমাত্র লুঠেরা পুঁজিকে সাহায্য করে চলছে। শোনভদ্র, গাজিপুর, বারানসী, মউ, আজমগড়, মীর্জাপুর, চন্দৌলি, দেওরিয়া, রায়বেরিলি, কানপুর, জালাউঁ, সীতাপুর, লখিমপুর খেরি, মোরাদাবাদ, মহারাজগঞ্জ এবং পালিয়া চিনিকলে মিছিল, পদযাত্রা, সভা সংগঠিত হয়।

উত্তরাখণ্ড : উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানিতে বু‌দ্ধপার্কে এক ধর্মঘটি সভা সংগঠিত হয়। তারপর শহরজুড়ে মিছিল পরিক্রমা করে, বক্তব্য রাখেন রাজা বহুগুণা, পুরুষোত্তম শর্মা, কে এন শর্মা, মনোজ গুপ্ত, যোগেশ পন্থ, বি এস ধাপোলা, বাবুরাম দিবাকর, জিতেন্দ্র মর্তোলিয়া, কৈলাশ পাণ্ডে, রীনা বালা, প্রীতি রাওয়াত, রেশমা, জে এস রাওতেলা ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

রাজস্থান : সালুমবারে এআইসিসিটিইউ-র নেতৃত্বে কয়েক শত শ্রমিকের মিছিল বের হয়ে মহকুমা সদর দপ্তরের সামনে সভায় পরিণত হয় এবং মহকুমা অফিসারের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে ধর্মঘটের দাবি সম্বলিত এক স্মারকলিপি পাঠানো হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন মহেন্দ্র চৌধুরী, শঙ্করলাল চৌধুরী, সৌরভ নারুকা ও অন্যান্যরা। স্মারকলিপি প্রেসে প্রতিনিধি দলে ছিলেন তেজকি বাঈ, গৌতম মীনা ও ভাগল। স্মারকলিপির মধ্যে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয় এমএনআরইজিএ কাজের ক্ষেত্রে লাগাতার কর্মসংস্থান না হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে। এছাড়া ধর্মঘট চলাকালীন নিমারানাতে ১৫০০ শ্রমিকের এক শান্তিপূর্ণ মিছিল তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে জাপানি এসি কোম্পানি দইকিনের সামনে যায় তখন পুলিশ বিনা প্ররোচনায় লাঠি চার্জ করে, জল কামান ও টিয়ারগ্যাস ছোঁড়ে, তাতে অনেক শ্রমিক আহত হন এবং কাউকে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এই ঘটনা দেখিয়ে দেয় যে রাজস্থানে পুলিশকে কর্পোরেট পুঁজির স্বার্থে পরিচালিত করা হচ্ছে।

পুদুচেরি : পদুচেরিতে সিপিআই(এম এল), সিপিআই(এম), সিপিআই, ডিএমকে, ভিসিকে এবং কংগ্রেসের সম্মিলিত আহ্বানে ধর্মঘট হয়ে যায়। পুদুচেরি ও কারাইকালে সমস্ত প্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ। রাজ্যের ১১টি জায়গায় রাস্তা রোকো সংগঠিত হয়। সিপিআই(এমএল) এবং এআইসিসিটিইউ-র ২০০ কর্মী সহ প্রায় ১০০০ ধর্মঘটি গ্রেপ্তার হন।

Karnataka

 

কর্ণাটক : বেঙ্গালুরুতে সাফাই কর্মী, রেডিমিক্স শ্রমিক, জল সরবরাহ কর্মী ও পরিবহন কর্মী এবং বিশেষত, নির্মাণ শ্রমিকরা নেতৃত্ব দিয়ে মিছিল বের করে ধর্মঘটকে বিরাটভাবে সফল করে তোলেন। হরতাল সংগঠিত করেন ম্যাঙ্গালোর, দাভাঙ্গেরে, কোপ্পাল ও অন্যান্য শহরেও হরতাল সংগঠিত হয়। আরডিসি, আরএমসি-র নির্মাণ শ্রমিকরা ও বিমান বন্দর কর্মীরা এআইসিসিটিইউ-র শ্রমিকদের সাথে মিলে বেঙ্গালুরুতে মোটর সাইকেল মিছিল সংগঠিত করেন। বেঙ্গালুরুর সিটি সেন্টারে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলো এক যুক্ত প্রতিবাদ সংগঠিত করে।

দিল্লী : নারেলা, ওয়াজিরপুর, প্রতাপগঞ্জ, ওখলা ও অন্যান্য শিল্পাঞ্চল এলাকায় শিল্প শ্রমিকদের সংগঠিত করে নেতৃত্ব দিয়ে ধর্মঘটকে সফল করে তুলতে এআইসিসিটিইউ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। জেএনইউ-র নির্মাণ শ্রমিকরাও এআইসিসিটিইউ-র নেতৃত্বে ধর্মঘট সফল করে তোলেন।

উড়িষ্যা : ভুবনেশ্বর ও পুরীতে এআইসিসিটি ইউ-র ধর্মঘট সফল করতে প্রধান নেতৃত্বকারী ভূমিকা পালন করে এবং রাস্তা রোকো সংগঠিত করে। রাস্তা রোকো হয় গুণুপুর, রায়গড়া, ভদ্রক, রৌরকেলা স্টিল প্ল্যান্ট, খুরদা শিল্পাঞ্চল এলাকা, কটকের এনআইআরটিএআর ইনস্টিটিউটে এবং ভুবনেশ্বরে।

ছত্তিশগড় : কোরবায় বালকোতে ধর্মঘট হয়েছিল পুরোপুরি। ভিলাই স্টিল প্ল্যান্টে সাফাই কর্মীদের ধর্মঘট ছিল কিছুটা আংশিক। অন্যান্য শিল্পীয় শ্রমিক ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ধর্মঘটে অংশগ্রহণ ছিল।

TN

 

তামিলনাড়ু : কোয়েম্বাটোর, আম্বাত্তুর, কুম্বাকোনাম, ভিল্লুপুরুম, তিরুনেলভেল্লি, কাঞ্চিপুরম ও সিরকাঝিতে ধর্মঘটের দিন শ্রমিকদের সংগঠিত মিছিল বের হয়।

অসম : গুয়াহাটি তেল শোধনাগার, চা-বাগিচা ক্ষেত্র ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকরা ধর্মঘট করেন, মিছিল করেন।

ত্রিপুরা : ত্রিপুরায় ট্রেড ইউনিয়নগুলোর এক যুক্ত মিছিল সংগঠিত হয়।

অন্ধ্রপ্রদেশ : অন্ধ্র রাজ্যের সর্বত্রই সাধারণ ধর্মঘটের প্রভাব পড়ে। সমস্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। মালকানগিরি ও কাকিনাড়ায় এআইসিসিটিইউ-র কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় ধর্মঘটকে সফল করতে মিছিল, সমাবেশ, সভা ইত্যাদি করেন।

পাঞ্জাব : মানসা জেলার শার্দুলগড়, নন্দগড়, বরেতা, বোহা, বার্নালা এবং গুরদাসপুর জেলায় ধর্মঘট সফল করতে এআইসিসিটিইউ নেতৃত্বকারী ভূমিকা নেয়। চণ্ডিগড়ে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে এআইসিসিটিইউ অনুমোদিত মেস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কর্মী এবং এআইসিসিটিইউ কর্মীদের সম্মিলিত অংশগ্রহণে ধর্মঘট সর্বাত্মক সফল হয়।

গুজরাট : আহমেদাবাদে এক যুক্ত ট্রেড ইউনিয়ন মিছিল পরিক্রমা করে যেখানে আশা কর্মীদের অংশগ্রহণ ছিল ব্যাপক সংখ্যায়।

জম্মু ও কাশ্মীর : জম্মুতে সরকারের লেবার কমিশনের অফিসের সামনে এআইসিসিটিইউ-র রাজ্য কাউন্সিলের নেতৃত্বে ৯ জানুয়ারি এক শ্রমিক বিক্ষোভ সংগঠিত হয় এবং রাজ্যপালের কাছে শ্রমিকদের ধর্মঘটের দাবিপত্র পেশ করা হয়। শ্রমিক জমায়েতের সামনে বক্তব্য রাখেন স্টেট কাউন্সিলের সভাপতি ও পি সান্যাল।

WB

 

পশ্চিমবঙ্গ : পশ্চিমবঙ্গে এআইসিসিটি ইউ সহ সমস্ত গণসংগঠন এবং সিপিআই(এমএল)-এর ধর্মঘট কর্মসূচীতে অংশগ্রহণের বিস্তারিত জেলাওয়াড়ি রিপোর্ট গত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। তবে কলকাতার রিপোর্ কিছু তথ্য না আসায় কিছু বিষয় অনুল্লেখ থেকে গেছে। ধর্মঘট সফল করতে ৮ জানুয়ারি সকালে ট্রেড ইউনিয়নগুলোর যুক্ত মিছিল বের হলে পুলিশ সেখান থেকে অনেককে গ্রেপ্তার করে, এআইসিসিটিইউ-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব বসু সহ রাজ্য ও জেলা স্তরের নেতৃবৃন্দ দিবাকর ভট্টাচার্য, প্রবীর দাস তথা জেলায় জেলায় বেশকিছু সিপিআই(এমএল) এবং এআইসিসিটিইউ সংগঠক গ্রেপ্তার হন। এছাড়া কলকাতার বেহালা, ভবানীপুর, কালীঘাট, বাঁশদ্রোণী ও চর্মজাত পণ্যের শ্রমজীবী মানুষ, হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অধ্যূষিত মধ্য কলকাতার বীরশূল হাট ধর্মঘটে স্তব্ধ হয়ে যায়। রেলের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে যুক্ত প্রতিবাদ সংগঠিত করেন চিত্তরঞ্জন লোকমোটিভের শ্রমিকরা।

খণ্ড-26
সংখ্যা-3