হুগলি জেলার শতাধিক মিড ডে মিলের রন্ধন কর্মী এবং আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা গত ১৯ ডিসেম্বর জেলা সদর চুঁচুড়ায় তাঁদের দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত দাবি নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেন। জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে আসা মহিলা প্রকল্প কর্মীরা ন্যায্য মজুরি, কর্মক্ষেত্রে হয়রানি ও মর্যাদার দাবিতে সরব হন। রন্ধনকর্মী বন্যা রায় বলছিলেন, আগের স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীতে পরীক্ষা দিয়ে কর্মে নিয়োগ না হওয়া, পরিচয়পত্র না থাকা ইত্যাদি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের সঙ্গে বিতর্কের কথা, যার সমাধান এখনো হয়নি। মজুরি না দিয়ে ভাতা প্রদানের মধ্যে যে চালাকি লুকিয়ে আছে তার ব্যাখ্যা করেন উপস্থিত এ আই সি সি টি ইউ রাজ্য সভাপতি অতনু চক্রবর্তী। তিনি প্রকল্প কর্মীদের শ্রমিক হিসাবে স্বীকৃতি ও নূন্যতম ১৮০০০ টাকা মজুরির দাবি তোলেন। এ্যাপোয়ার জেলা সভানেত্রী ও সম্পাদিকা শোভা ব্যানার্জি ও শিপ্রা চ্যাটার্জি, এ আই সি সি টি ইউ-র জেলা সম্পাদক বটকৃষ্ণ দাস, ভিয়েত, কল্যাণ সেন বক্তব্য রাখেন। সকল বক্তাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, ৮-৯ জানুয়ারির ধর্মঘটকে সফল করার আহ্বান জানান। পশ্চিমবাংলার সরকার যে ভাবে প্রকল্প কর্মীদের দাবিকে উপেক্ষা করছে তার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক বিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ধিক্কার ধ্বনিত হয়। অনুষ্ঠান চলাকালীন বিহারের আশা কর্মীদের ধর্মঘট ও লড়াই-এর সমর্থনে প্রায় পাঁচশো মানুষের কাছ থেকে স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। রন্ধন কর্মীদের মেয়েরা কর্মসূচীতে আদিবাসী নৃত্য পরিবেশন করেন। এ্যাপোয়া নেত্রী চৈতালী সেন সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। এই কর্মসূচীতে যোগদানে বাঁধাদানের উদ্দেশ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ও প্রশাসন নানা রকম প্রচেষ্টা চালায়, যাকে সাহসের সাথে মোকাবিলা করেই কর্মীরা এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের দাবিগুলি এবং সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে স্লোগান দিয়ে কর্মসূচী শেষ হয়।