বিহারে প্রায় ১ লক্ষ আশা কর্মী ২০১৮-র ১ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছেন। বিহারে সমস্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ১ ডিসেম্বরের সকাল থেকে অচল হয় পড়ে। জরুরী পরিষেবা ছাড়া অন্য সমস্ত কাজই বন্ধ হয়ে গেছে। বিহার রাজ্য আশা কর্মী সমিতির (গোপ গোষ্ঠী—এআইসিসিটিইউ) সভাপতি এবং যৌথ প্রচার কমিটির নেত্রী শশী যাদব ১ ডিসেম্বরের এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন—ধর্মঘট প্রবলভাবে শুরু হয়েছে এবং প্রায় সমস্ত আশা কর্মীই সরাসরি ও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। সোমবার থেকে অংশগ্রহণ আরো জোরালো হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
শশী যাদব বলেন, ১২ দফা দাবিতে রাজ্যব্যাপী এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে আশা সংযুক্ত সংঘর্ষ মঞ্চ। এই দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—আশা কর্মীদের সরকারি কর্মচারীর মর্যাদা দিতে হবে; মাসিক সাম্মানিক ভাতা ১৮,০০০ টাকা করতে হবে; যোগ্যতা সম্পন্ন আশা কর্মীদের জন্য নার্সিং স্কুলগুলোতে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ রাখতে হবে; প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হওয়ার পর বয়স সীমায় ছাড় দিয়ে আশা কর্মীদের এ এন এম পদে নিয়োগ করতে হবে; যোগ্য আশা কর্মীদের জন্য ৫০ শতাংশ ব্লক কমিউনিটি কো-অর্ডিনেটরের পদ রাখতে হবে; কাজের শর্তাবলী ও পরিবেশ এবং সাম্মানিক ভাতা সহ যে সমস্ত সুপারিশ সমস্ত উচ্চতর কমিটি করবে, আশা কর্মীদের সেই সমস্ত সুবিধা দিতে হবে; সমস্ত আশা কর্মীর জন্য ই এস আই, ই পি এফ এবং সামাজিক নিরাপত্তা চালু করতে হবে।
শশী যাদব আরো জানান, ৫ ডিসেম্বরের টিকাকরণ কর্মসূচী পুরোপুরি বন্ধ করা হবে; আশা কর্মীরা নিজেরা টিকা দেবেন না, অন্য কাউকেও তা দিতে দেবেন না। তিনি বলেন, আশা কর্মীদের তিনটি সমিতি যৌথভাবে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে; তারা শ্লোগান দিয়েছে, ''পাটনা ও দিল্লী কান পেতে শোনো, আশা কর্মীদের মাসিক সাম্মানিক ভাতা দিতে হবে।'' তিনি ঘোষণা করেন, ১ থেকে ৮ ডিসেম্বর পি এইচ সি-দের ঘেরাও করা হবে এবং সারা রাজ্যের সিভিল সার্জনদের ঘেরাও করা হবে ১০ ডিসেম্বর। এরপরও সরকার যদি আশা কর্মীদের দাবিগুলোতে কর্ণপাত না করে তাহলে ১৩-১৪ ডিসেম্বর পাটনাতে মুখ্যমন্ত্রীকে ঘেরাও করা হবে। আশা কর্মীদের ন্যয়সঙ্গত দাবিগুলোর প্রতি সমর্থন জানানোর আবেদন সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তিনি রাখেন।