এআইপিএফ-এর জাতীয় প্রচার কমিটি ও কাউন্সিলের যৌথ সভা গত ২৬-২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় উড়িষ্যায়। ২৭ অক্টোবর একটি “২০১৯-এর জন্য জনগণের ঘোষণাপত্র’’ নিয়ে—যা হল ২০১৯-এর নির্বাচনের জন্য এআইপিএফ-এর প্রকাশ করা নাগরিকদের ইস্তাহার—একটি কনভেনশনে আলোচনা হয়। ঐ আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন জন আন্দোলনে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ এবং আলোচনার পর সেটি প্রকাশ করা হয়। জনগণের ঐ ঘোষণাপত্র শুরু হয়েছে এইভাবে :
“২০১৪ সালের মে মাস থেকে আমরা মোদী সরকারকে ভারতীয় জনগণের কষ্টার্জিত অধিকারের উপর আক্রমণ হানতে, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধীরে-ধীরে ক্ষয় ও দুর্বল করে তুলতে, সাম্প্রদায়িক ধারায় জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে এবং সাম্প্রদায়িক দুর্বৃত্তদের স্পর্ধিত করে তুলতে এবং দুর্নীতি ও কর্পোরেট লুন্ঠনকে বাড়িয়ে তুলতে দেখেছি। বিপর্যয় সৃষ্টিকারী মোদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা এবং আমাদের প্রিয় স্বদেশকে পুনরুদ্ধার করার নির্বাচনই হবে ২০১৯-এর নির্বাচন।
আমরা, ভারতের জনগণ প্রতিটি বর্ণের সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে অধিকার ও স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমরা আমাদের জনগণের ঘোষণাপত্র উপস্থাপিত করছি—২০১৯-এর নির্বাচনের জন্য এবং জনগণের আন্দোলনগুলির জন্য যা নির্বাচনের পরও অব্যাহত থাকবে। ভারতের বিরোধী পক্ষকে জনগণের এই ঘোষণাপত্রের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আহ্বান আমরা জানাচ্ছি—এবং এই ব্যাপারেও নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে যখন তারা সরকার গঠন করবে, আমরা, অর্থাৎ দেশের জনগণ এই দাবি এবং ইস্যুগুলির প্রতি পরবর্তী সরকারকে দায়বদ্ধ করতেও আমরা আন্দোলন চালাব।
ক্ষমতায় আসার জন্য নরেন্দ্র মোদী যে প্রতিশ্রুতিগুলো দিয়েছিলেন আমরা ভারতের জনগণ সেগুলোকে ভুলিনি—এবং জনগণের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য আমরা তার সরকারকে ক্ষমা করব না। আমরা ভারতের জনগণ ভঙ্গ করা সমস্ত প্রতিশ্রুতি এবং মিথ্যাচারগুলিকে মনে রেখেছি। আমরা ভারতের জনগণ আমাদের প্রাপ্য অধিকার ও স্বত্বগুলির দাবি আমরা জানাচ্ছি, আমরা শুধু এই অধিকারগুলি আদায়ের জন্য লড়াই করতেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়, যে গণতান্ত্রিক পরিসরে ঐ আন্দোলনগুলি বেড়ে উঠতে এবং সম্মানিত ও বিবেচিত হতে পারে তার জন্য লড়াইও আমরা করব।’’
জনগণের ঐ ঘোষণাপত্রে জনগণের একগুচ্ছ দাবি তুলে ধরা হয় যেগুলি ২০১৯-এর নির্বাচনের রাজনৈতিক এজেণ্ডার কেন্দ্রীয় সূচী হবে এবং যে দাবিগুলির ভিত্তিতে পরবর্তী সরকারকে দায়বদ্ধ করা হবে।
কনভেনশনের আগে ২৬ অক্টোবর তিনটি পর্বে সাংগঠনিক অধিবেশন পরিচালিত হয় : এআইপিএফ-এর কর্মকাণ্ডের রাজ্যওয়াড়ি রিপোর্টগুলি উপস্থাপিত হয়; এআইপিএফ-এর সচিববর্গের দ্বারা প্রস্তুত জনগণের ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা হয় এবং আলোচনায় উঠে আসা বিভিন্ন প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর তা পাশ হয়; এআইপিএফ-এর সাংগঠনিক কাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য জাতীয় কাউন্সিল এবং প্রচার কমিটি নতুন করে গঠন করা হয়।
সভা সচিববর্গের দলের সম্প্রসারণে অনুমোদন দেয়। বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে এআইপিএফ-এর কর্মকাণ্ডের আরো ভালো সমন্বয়ের জন্য গিরিজা পাঠক জাতীয় সমন্বয়সাধক নির্বাচিত হন। এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, রাজ্য স্তরের সভা ও কনভেনশনের মধ্যে দিয়ে এআইপিএফ জনগণের ঘোষণাপত্র উপস্থাপিত ও প্রকাশ করবে এবং এইভাবে আগামী ২০১৯-এর নির্বাচনে জনগণের এজেণ্ডা নির্ধারিত হবে। সাংগঠনিক কাঠামোকে শক্তিশালী করে তুলতে এবং জনগণের ঘোষণাপত্রকে জনপ্রিয় করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা ২০১৯-এর জানুয়ারির আগে রাজ্য স্তরের বৈঠকগুলি অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে দিল্লীতে জাতীয় কনভেনশনের মধ্যে দিয়ে এই প্রচার শেষ হবে।
সাংগঠনিক সভার পর জনগণের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করার লক্ষ্যে কনভেনশনটি অনুষ্ঠিত হয়। কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন এআইপিএফ নেতৃবৃন্দ, উড়িষ্যার গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল নাগরিকগণ এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন সাফাই কর্মচারী আন্দোলনের নেতা বেজওয়াদা উইলসন এবং সাংবাদিক ভাষা সিং। বেজওয়াদা উইলসন সাফাই কর্মীদের কাজ এবং জীবনের দুর্দশাময় পরিস্থিতির দিকে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, আর এদের নিপীড়নই মোদীর স্বচ্ছ ভারত-এর দাবির প্রকৃত বাস্তবতাকে তুলে ধরে। তিনি বলেন, অনাহারে মৃত্যু এবং নর্দমা সাফ করতে গিয়ে মৃত্যুর ইস্যুগুলি জনগণের ঘোষণাপত্রের কেন্দ্রীয় অ্যাজেণ্ডা হতে হবে, যে ইস্যুগুলিকে সরকার এবং শাসক দলগুলিকে অবজ্ঞা করতে দেওয়া যাবে না। তিনি এআইপিএফ-এর কার্যকলাপের প্রতি সংহতি জানান এবং একে অপরের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। সমাজবাদী নেতা এবং উড়িষ্যার প্রাক্তন মন্ত্রী ব্রিজ কিশোর ত্রিপাঠি বাম-গণতান্ত্রিক-সমাজবাদী শক্তিগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার এআইপিএফ-এর উদ্যোগের গুরুত্বের উপর জোর দেন। সমাজবাদী আন্দোলনের কর্মী এবং উড়িষ্যা এনএপিএম-এর আহ্বায়ক লক্ষ্মী প্রিয়া মোহান্তি উড়িষ্যা এবং ভারতে চলা আন্দোলনগুলির উল্লেখ করেন এবং বলেন, ঐ আন্দোলন এবং তাদের অ্যাজেণ্ডাগুলির ২০১৯-এর নির্বাচনে প্রতিফলিত হওয়ার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। সমাজবাদী এবং বরিষ্ঠ এআইপিএফ নেতা বিজয় প্রতাপ বর্তমানে ফ্যাসিবাদী-সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলির আধিপত্যের সময় জন আন্দোলনের বিভিন্ন শক্তিগুলির একটি অভিন্ন মঞ্চে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেন। কনভেনশনের প্রতি একটি বার্তায় এনটিইউআই-এর অভিজিৎ রায় সারা দেশে উৎপীড়ন-দমনের মুখে জনগণের বিভিন্ন প্রতিরোধ সংগ্রামের উল্লেখ করেন। কনভেনশনে আরো যাঁরা বক্তব্য রাখেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন এ আই পি এফ সচিববর্গের দলের সদস্য অম্বরিশ রাই, পুরুষোত্তম শর্মা, আর বিদ্যাসাগর, বিনোদ সিং, সন্তোষ সাহার, বি এল নেতাম, তুষার চক্রবর্তী ও অন্যান্যরা।
এআইপিএফ-এর সচিব দলের সদস্য এবং মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মী জন ডায়াল দলিত ও সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে না পারলে তা দেশ এবং শান্তিকামী নাগরিকদের জীবনে বিপর্যয় ঘনিয়ে তুলবে। এআইপিএফ আন্দোলনের কর্মী কবিতা কৃষ্ণাণ বলেন, জনগণের এই ঘোষণাপত্রের মধ্যে দিয়ে আমরা নাগরিকদরে ইস্যু ও দাবিগুলিকে রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে তুলে ধরছি। এই ঘোষণাপত্রে সেই ইস্যুগুলোকেই ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে নির্বাচনের আগে মোদী যে প্রতিশ্রুতিগুলো দিয়েছিলেন এবং ক্ষমতায় আসার পর জনগণের সঙ্গে নির্মম বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। এই ঘোষণাপত্রে মোদী সরকার সাধারণ জনগণের সঙ্গে যেভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং শ্রমিক শ্রেণীকে যে সমস্ত সমস্যা ও দুর্দশার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তা বিশদে বর্ণনার চেষ্টা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই সরকারের জমানায় সংবিধান, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং সাংবিধানিক অধিকারগুলো চরম বিপন্নতার মুখে। এআইপিএফ এই ঘোষণাপত্র নিয়ে সমস্ত রাজ্যে যাবে এবং এই ঘোষণাপত্রকে ২০১৯-এর নির্বাচনে জনগণের ইস্তাহার করে তোলার চেষ্টা করবে।
হিন্দিতে এবং উড়িয়া ভাষায় ঘোষণাপত্রের সারসংক্ষেপ উপস্থাপিত করেন যথাক্রমে সচিব দলের সদস্য মনোজ সিং এবং জাতীয় প্রচার কমিটির সদস্য মানস জেনা। কনভেনশনের প্রস্তাবগুলো উপস্থাপিত করেন বিদ্যাভূষণ রাওয়াত। কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ এআইপিএফ কর্মী এবং সমাজবাদী নেতা পঞ্চানন সেনাপতি এবং সঞ্চালনা করেন গিরিজা পাঠক।
জাতীয় কনভেনশনের পর এআইপিএফ-এর উড়িষ্যা শাখার দ্বিতীয় রাজ্য সম্মেলন শুরু হয় যাতে বক্তব্য রাখেন সিএসডি-র আন্না কুজুর এবং প্রদীপ সাহু, ভুবনেশ্বর কিন্নর সংগঠনের মানেকা, নিয়ামগিরি সুরক্ষা সমিতির লিঙ্গরাজ আজাদ, ইনসাফ-এর নরেন্দ্র মোহান্তি, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার সঞ্জীব হুদা এবং অন্যান্যরা।
কনভেনশনে পাশ হওয়া প্রস্তাবগুলি হল—
(১) বিশাল রাফাল দুর্নীতির জন্য এবং একেবারে শেষ মুহূর্তে যেভাবে রাফালের বরাত কেড়ে নিয়ে আম্বানিকে দেওয়া হয় তার জন্য এই কনভেনশন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করছে। আমরা অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করছি এবং তিনি তা না করলে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু করা হবে।
(২) রাফাল এবং অন্যান্য দুর্নীতির তদন্ত যিনি করছিলেন, সিবিআই-এর সেই ডিরেক্টরকে অপসারিত করা এবং বেশকিছু দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত একজনকে তাদের পছন্দের অফিসার হিসেবে নিয়োগ করার ঘটনার তীব্র বিরোধিতা কনভেনশন করছে। এটা সংবিধান এবং আইনের সম্পূর্ণ বিরোধী।
(৩) বিশেষভাবে দলিত এবং মুসলিমদের ক্রমবর্ধমানভাবে উন্মত্ত জনতার হাতে গণপ্রহারের শিকার হওয়া এবং ঐ সমস্ত অপরাধে জড়িত দুষ্কৃতীদের মোদী সরকার এবং বিজেপি-সংঘ পরিবারের সুরক্ষা দেওয়ার ঘটনায় আমরা তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। আমরা অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
(৪) গৌতম নওলাখা, ভারভারা রাও, সুধা ভরদ্বাজ, ভেরনন গনজালভেস, অরুণ ফেরেইরা এবং অন্যান্য বুদ্ধিজীবী ও মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মীদের গ্রেপ্তারির এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রুজু করার আমরা তীব্র নিন্দা ও বিরোধিতা করছি।
(৫) মজুরি হ্রাসের বিরুদ্ধে এবং সম কাজে সম বেতন এবং শক্তিশালী ও উৎকৃষ্টতর পরিবহন ব্যবস্থার দাবিতে ডিটিসি এবং হরিয়ানা রোডওয়েজ-এর কর্মীরা ২৯ অক্টোবর যে ধর্মঘট করেন, এই কনভেনশন তাকে সমর্থন জানাচ্ছে।
(৬) আগামী ২৮-৩০ নভেম্বর সংসদ অভিমুখে যাত্রা এবং ২০১৯-এর ৮-৯ জানুয়ারি সারা ভারত ধর্মঘটের কৃষকদের প্রস্তাবিত কর্মসূচীর প্রতি কনভেনশন সংহতি জানাচ্ছে।
(৭) কনভেনশন উন্নাও এবং কাঠুয়ার ঘটনা সহ ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিগ্রহ এবং নারী-বিরোধী হিংসার ঘটনাকে, মহিলাদের আশ্রয় শিবিরগুলিতে চালানো হিংসার বিরুদ্ধে এবং ‘লাভ জেহাদ’ ও ‘সম্মান হত্যার’ নামে হত্যার ঘটনাগুলিতে তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছে। এই ধরনের ঘটনাগুলি অবিলম্বে বন্ধ করা এবং এই সমস্ত অপরাধের সংঘটকদের কঠোর শাস্তির দাবি আমরা জানাচ্ছি।
(৮) গঙ্গাকে নির্মল করে তোলার জন্য যিনি দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছেন, সেই গঙ্গা নদী আন্দোলনের কর্মী স্বামী সানন্দার মৃত্যুর জন্য কনভেনশন মোদী সরকারের অবহেলাকেই দায়ী করছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি, গঙ্গা এবং অন্যান্য নদীকে নির্মল করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে এবং নদীগুলোকে দূষিত করে তোলার জন্য দায়ী কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
(৯) কনভেনশন সাফাই কর্মীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি এবং ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এর নামে চলা লুট বন্ধের দাবি জানাচ্ছে। আমরা সাফাই কাজের আধুনিকীকরণ এবং সাফাই কর্মীদের নিয়মিত কাজ, সম্মানজনক বেতন এবং যথাযথ সুবিধা প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।
(১০) কনভেনশন “মি টু’’ আন্দোলনের প্রতি এবং যে সমস্ত মহিলা কর্মক্ষেত্রে এবং অন্যান্য স্থানে যৌন নিগ্রহের অভিজ্ঞতাগুলি প্রকাশ করতে এগিয়ে আসছেন তাদের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি—আইন বিশেষজ্ঞ, বুদ্ধিজীবী এবং মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মীদের নিয়ে গঠিত স্বাধীন একটি প্যানেলকে দিয়ে এই সমস্ত ঘটনার তদন্ত করতে এবং অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে।
(১১) শবরীমালা মন্দিরে নারীদের প্রবেশাধিকার দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়ে দিয়েছে তাকে বাস্তবায়িত করা এবং সম্মান জানানোর কেরল সরকারের উদ্যোগের বিরুদ্ধে হিংসা উসকিয়ে তুলতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ যে বিবৃতি দিয়েছেন, কনভেনশন তাকে ধিক্কার জানাচ্ছে।