খবরা-খবর
সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতির পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্মেলন

গত ৫ নভেম্বর পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা ২নং ব্লকের অকালপৌষ গ্রাম পঞ্চায়েতের আগরাদহ গ্রামে সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতির সপ্তম পুর্ব বর্ধমান জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন শুরু হয় শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠান এর মধ্যে দিয়ে। পতাকা উত্তোলন করেন পর্যবেক্ষক রাজ্য সম্পাদক সজল অধিকারী, শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন সিপিআই(এমএল)-এর জেলা সম্পাদক সলিল দত্ত, সারা ভারত কৃষক মহাসভার রাজ্য সভাপতি অন্নদাপ্রসাদ ভট্টাচার্য ও অন্যান্য নেতৃবৃন্ধ। তরুণ মাজি সহ চার জনের সভাপতিমণ্ডলী গঠন হয়। উদ্বোধনী গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন গণেশ বৈদ্য। তারপর পর্যবেক্ষক সজল অধিকারীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সংগঠনের ৬ষ্ঠ জাতীয় সম্মেলন আগামী ১৯-২০ নভেম্বর বিহারের জাহানাবাদ শহরে অনুষ্ঠিত হবে। তাই বক্তব্যে জাতীয় রাজনীতিতে ফ্যাসিবাদী হামলা ও জনগণের সংগ্রাম সংগঠনের অগ্রগতির বিশ্লেষণ ও আমাদের কর্তব্য সম্পর্কে আলোচনা করেন। এবং রাজ্যে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ও শাসকদলের রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবং দুর্নীতি দলবাজী মোকাবিলা করার জন্য সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তারপর প্রতিবেদন পাঠ করেন বিদায়ী সম্পাদক আনসারুল আমান মন্ডল। এবং উপস্থিত প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে ১২ জন বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন ধরনের সংগ্রাম ও সংগঠন গড়ে তোলার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। গ্রামীণ মজুরদের জীবন-জীবিকার লড়াইকে শক্তিশালী করতে সমস্যা তুলে ধরেন। সন্ত্রাস মোকাবিলা করার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বক্তব্য রাখেন সারা ভারত কৃষক মহাসভার রাজ্য সভাপতি অন্নদাপ্রসাদ ভট্টাচার্য । জবাবী ভাষন দেন বিদায়ী সম্পাদক আনসারুল আমান মন্ডল। সর্বসম্মতভাবে প্রতিবেদন গৃহীত হয়। পর্যবেক্ষক কমরেড সজল অধিকারী কমিটি নির্বাচন করেন। ১৭ জনের জেলা কমিটি নির্বাচিত হন। আনসারুল আমান মন্ডল সম্পাদক হিসেবে পুননির্বাচিত হন। এক জন সভাপতি ৩ জনের সহ সভাপতি ও ২ জন সহ সম্পাদক নির্বাচিত হন। আশু কর্মসূচি হিসেবে সংগঠনের জাতীয় সম্মেলন আগামী ১৯-২০ নভেম্বর বিহারের জাহানাবাদ শহরে অনুষ্ঠিত হবে। তার প্রচার ও সম্মেলনের সফলতার জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নেওয়া এবং সদস্য সংগ্রহ ও মন্তেশ্বর ব্লকে সংগঠনের জেলা সম্পাদক এর বাড়িতে তৃণমূলের হামলার প্রতিবাদে ১৫ নভেম্বর কুসুমগ্রামে মিছিল ও সভা সফল করার আহ্বান জানানো হয়।

খণ্ড-25
সংখ্যা-35