গত ১ নভেম্বর বজবজে প্রগতিশীল মহিলা সমিতির নেতৃত্বে (১) মহিলাদের আত্মসচেতনতা এবং (২) ফ্যাসিবাদের হামলা ও মহিলাদের কর্তব্য এই শিরোনামে এক কর্মশালা আয়োজিত হয়। উপস্থিত ছিলেন শ্রমজীবী মহিলা এবং ১৫-২৫ বছরের ছাত্রী ও যুবতীরা। সর্বমোট উপস্থিত ছিলেন ৬১ জন। সভার শুরুতে রাজ্য কমিটির সদস্যা কমরেড চন্দ্রাস্মিতা চৌধুরী বলেন, যেভাবে সর্বত্র মহিলাদের উপর আক্রমণ নামছে তাতে আমাদের আরো বেশি সজাগ ও সচেতন হতে হবে। অভিভাবকদের সচেতন হওয়া এবং সন্তানদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করার প্রসঙ্গ আসে, ছাত্রীরা তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে, খুবই প্রানবন্ত আলোচনা হয়। এই হামলা রোখার জন্য তাদের সকলকে সংগঠিত হতে হবে। কর্মশালায় নারীর শরীর নিয়ে সমাজে প্রচলিত লজ্জাবোধ এবং নিষিদ্ধতার ধারণাকে যুক্তি দিয়ে ভাঙ্গার ব্যাপারে আলোচনা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বজবজ গ্রাম লোকাল কমিটির সম্পাদক কমরেড ইন্দ্রজিৎ দত্ত, তিনি বলেন, আরো বেশি করে যদি এ ধরনের কর্মশালা করা যায় তবে মহিলা এবং ছাত্রীরা আরো বেশি সজাগ ও সচেতন হতে পারে। ‘ফ্যাসিবাদী হামলা মহিলাদের কর্তব্য’ বিষয়ে আলোচনা করেন রাজ্য সম্পাদিকা কমরেড ইন্দ্রানী দত্ত। তিনি বলেন, সারা দেশে যে ঘৃণার সংস্কৃতি সংঘ পরিবার ছড়াচ্ছে হিন্দুত্বের আধারে ও ব্রাহ্মণ্যবাদের আদর্শে, মনুস্মৃতি, মহিলা বিরোধী, সংখ্যালঘু, দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের উপর নির্যাতন, নাগরিকত্ব বিলের মতো অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ, গণতান্ত্রিক বিরোধিতার যে কোনো আওয়াজকে দেশদ্রোহীর তকমা দেওয়া এটাই ফ্যাসিবাদ। সে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রকট হচ্ছে। তাই বিজেপি, আরএসএস, সংঘ পরিবারের বিরুদ্ধে লড়াই শুধু সংসদে নয়, শ্রমিক-কৃষক-মহিলা-ছাত্র তাদের লড়াইকে একসুতোয় বাঁধতে হবে।