মাননীয়া রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি ভবন, নয়াদিল্লী মাননীয়া, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে যৌনহেনস্থার অভিযোগ এনেছেন রাজভবনে কর্মরতা এক মহিলা। কর্মসূত্রে তিনি রাজভবনের কোয়ার্টারে থাকেন। সংবাদসূত্রে জানা যায় মহিলা তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন যে গত ২৪ এপ্রিল ২০২৪ রাজ্যপাল তাঁকে বায়োডাটা নিয়ে দেখা করতে বলেন, যৌনহেনস্থা মূলক প্রস্তাব দেন ও শরীর স্পর্শ করেন। সেইদিন মহিলাটি সেইখান থেকে কোনক্রমে হাত ছাড়িয়ে চলে আসেন। আবার গত ২ মে রাজ্যপাল তাঁকে ডেকে পাঠান। এইবার মহিলাটি তার সুপারভাইজারকে সাথে করে নিয়ে রাজ্যপালের কাছে দেখা করতে গেলে, রাজ্যপাল সুপারভাইজারকে বাইরে চলে যেতে বলেন এবং মহিলাটিকে চাকরিতে স্থায়ী করে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে কথাবার্তা চালান। মহিলা প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় রাজ্যপাল অভব্য আচরণ করেন ও খারাপ উদ্দেশ্যে তাঁকে স্পর্শ করেন। মহিলা পুরো ঘটনা জানিয়ে প্রথমে রাজ্যভবন থানায় ওসির কাছে অভিযোগ দায়ের করেন, পরে তাকে হেয়ার স্ট্রীট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেছেন আজ যদি তিনি মুখ না খোলেন তাহলে অন্য মেয়েদের উপরও এরকম যৌনহেনস্থা ঘটবে। সম্প্রতি ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ শুনতেই নাকি রাজ্যপাল পিসরুম খুলেছেন রাজভবনে। অভিযোগ সেই পিসরুমের কর্মরতা মহিলার উপরই যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটলো। এই ঘটনার তদন্ত এড়াতে রাজ্যপাল রাজভবনের মধ্যে পুলিশ ঢোকা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী কোনো মহিলা শ্লীলতাহানির অভিযোগ করলে তার অভিযোগকে সত্য ধরেই তদন্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। রাজ্যপাল পদ কোনো সুবিচারের অন্তরায় হতে পারেনা। তাই আপনার কাছে আমাদের দাবি অভিযোগকারিণীর সুবিচার পাওয়ার অধিকার সুনিশ্চিত করতে অবিলম্বে আপনি সি ভি আনন্দ বোসকে রাজ্যপাল পদ থেকে অপসারিত করুন ও তাঁকে তদন্তের মুখোমুখি দাঁড় করান। এর পাশাপাশি অভিযোগকারিণীর চাকরী সহ সমস্ত নিরাপত্তা যাতে সুনিশ্চিত থাকে তার জন্যও আপনার নজরদারি ও পদক্ষেপ জরুরি।
নির্বাচনী প্রচারের জন্য রাজ্যে প্রতিনিয়ত যাওয়া আসা করছেন প্রধানমন্ত্রী এবং তিনি রাজভবনে রাত্রি যাপনও করছেন। শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত রাজ্যপালের আতিথ্য গ্রহণ প্রধানমন্ত্রীর পদের প্রতি সুবিচার হচ্ছেনা বলেই আমরা মনে করি। তিনি এই ধরনের কাজ থেকে যাতে বিরত থাকেন তার জন্য আপনার হস্তক্ষেপও দাবি করছি।
ধন্যবাদ সহ,
- ইন্দ্রাণী দত্ত, রাজ্য সম্পাদিকা,
সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতি