খবরা-খবর
দেশের পরিবারগুলির আর্থিক সঞ্চয় ৪৭ সালের মধ্যে কমেছে সর্বনিম্নে
financial-savings-fell-to-a-47-year-low

দেশের পরিবারভিত্তিক ঋণ ২০২৩’র ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ শিখর ছুয়েছে — যা জিডিপি’র ৪০ শতাংশ, বিপরীতে নিট পরিবারভিত্তিক আর্থিক সঞ্চয় সর্বনিম্নে ঠেকেছে, যা জিডিপির মাত্র ৫ শতাংশ। দেশজুড়ে চলতে থাকা নাছোড় আর্থিক দুর্দশার এই ছবি আবার উঠে এল প্রথম সারির এক ফাইনান্সিয়াল সংস্থা মোতিলাল অসওয়ালের তৈরি করা এক সমীক্ষায়।

২০২৩’র সেপ্টেম্বর মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, ২০২২-২৩-এ দেশে পরিবারভিত্তিক নিট আর্থিক সঞ্চয় জিডিপি’র ৫.১ শতাংশে মুখ থুবড়ে পড়েছে, যা গত ৪৭ বছরে সবচেয়ে কম! এই পরিসংখ্যান প্রকাশিত হওয়ার পর রে রে করে তেড়ে এলো কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। তারা দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের এই রিপোর্টকে ফুৎকারে উড়িয়ে গান গাইতে লাগল যে এই তথ্য আর্থিক দুর্দশার ছবি নয়। অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, গৃহস্থলিগুলো অর্থ সঞ্চয়ের বদলে অন্যান্য স্থাবর সম্পদের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। আবাসন, গাড়ি প্রভৃতি কেনাকাটার প্রবণতা বেশি বেড়েছে, যা অতীতে দেখা যেত না। ফলে, এটা আর্থিক দুর্দশার ছবি নয়। বরং, আগামী দিনগুলোতে তাঁদের আর্থিক সমৃদ্ধি ও পেশায় সুস্থায়িত্বরই ইঙ্গিতবাহী।

এই ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত ২০২২-২৩’র প্রথম সংশোধিত জাতীয় আয় গৃহস্থালিগুলোর আনুমানিক নিট আর্থিক সঞ্চয় হিসাবে চিহ্নিত করে জিডিপি’র ৫.৩ শতাংশ, যা গত ৪৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন! ২০১১-১২ থেকে ২০১৯-২০’র মধ্যে নথিভুক্ত ৭.৬ শতাংশ গড় জিডিপি’র সাপেক্ষে খুবই দুর্বল। ২০২২-২৩এ সংশোধিত গৃহস্থলীর সঞ্চয় জিডিপি’র সাপেক্ষে ৩৮ শতাংশ দেখিয়েছে যা ২০২০-২১এ অতিমারি বিধ্বস্ত বছরে ছিল জিডিপি’র ৩৯.১ শতাংশ, যা অতিমারির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক আম জনতার এই ক্রমবর্ধমান আর্থিক দুর্দশা কিছুতেই স্বীকার করবে না, যদিও সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এই সমস্ত পরিসংখ্যান দিয়ে চলেছে বেশ কয়েকমাস ধরে।

খণ্ড-31
সংখ্যা-15