বিবৃতি
আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর
false-promises

২৮ মার্চ সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার এক প্রেস বিবৃতি বলেন — লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর, সংবাদ মাধ্যমে বিদায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি’র প্রধান প্রচারক নরেন্দ্র মোদীজি ও কৃষ্ণনগরে বিজেপি প্রার্থী ‘রাজমাতা’ অমৃতা রায়ের একটি টেলিফোন বাহিত কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে। প্রশ্নোত্তরের ধরণধারণ বস্তুত পূর্বনির্ধারিত ছকে বাঁধা। ব্যক্তিগত স্তরের কথোপকথন বিজেপি’র সামাজিক মাধ্যম বিভাগ যে পরিকল্পিতভাবে প্রকাশ্যে এনেছে - সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। মোদী উবাচ এই যে, কেন্দ্রীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এই বাংলায় দুর্নীতিবাজদের থেকে অদ্যাবধি যে ৩০০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে, বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং সেই টাকা বাংলার বঞ্চিত গরীর জনতার মধ্যে সম্পূর্ণ বিলি করতে আইনি সুযোগ খুঁজতে বিস্তর কাঠখড় পোড়াচ্ছেন এবং তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরে (!) তাঁর  ‘জনদরদী’ সরকার সেই টাকা ইডি’র থেকে হস্তান্তর ঘটিয়ে বিলিবন্টন করার জোরালো প্রতিশ্রুতি রাখছে। এটা মোদী গ্যারান্টির নবতম ‘জুমলা’ তিনি বাংলার, বিশেষ করে কৃষ্ণনগর দক্ষিণের শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার নিদান দিয়েছেন।

আমরা আইনিভাবে অসংগত ও আদর্শ নির্বাচনী বিধি ভঙ্গকারী এই নবতম ‘জুমলা’ প্রচারের দায়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে মোদীর বিরুদ্ধে  কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।

সেইসঙ্গে আইনগত বাধাকে ‘মোদী ম্যাজিকে’ অপসৃত করে ২০১৪ সালের জানুয়ারী থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস অবধি সময়কালে দেশজোড়া দুর্নীতি মামলায় ইডি কর্তৃক বাজেয়াপ্ত নগদ ১,১৬,৭৯২ কোটি এবং বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি’র আর্থিক মূল্য ১৬, ৬৩৭.২০ কোটি টাকা ভারতের দরিদ্রতম মানুষের মধ্যে বিলিবন্টনের দাবি জানাই।

ইতিমধ্যে আরও প্রকাশ্যে এসেছে যে কীভাবে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ৪১টি ভারতীয় কোম্পানীকে ইডি, সিবিআই ও আইটি’র জুজু দেখিয়ে আদায়কৃত ২৫৯২ কোটি টাকা বেনামে অসাংবিধানিক ও অন্যায্য ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে বিজেপির কেন্দ্রীয় তহবিল পুষ্ট করেছে।

মোদীজিকে পৃথিবীর বৃহত্তম দুর্নীতিলব্ধ এই টাকার রাশিও নিশ্চিতভাবেই জনগনকে ফেরত দিতে হবে। 

জুমলা নয়, জবাব চাই

খণ্ড-31
সংখ্যা-11