২১ মার্চ নেতাজি নগর অঞ্চলে শ্রী দেবাশীষ সেনগুপ্তর আত্মহত্যার কারণে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে। ২২ মার্চ, সকালে সিপিআই(এমএল) লিবারেশন ও গণফ্রন্টের একটি দল এই ঘটনার তথ্যানুসন্ধানে ঐ অঞ্চলে যান। দলে ছিলেন — সৌমিত্র বসু, প্রবীর পাল, জয়ন্ত ঘোষ মজুমদার, সোমনাথ গুহ।
তাঁরা প্রথমে নেতাজি নগর থানার ওসি, শ্রী এস লামার সঙ্গে দেখা করেন। শ্রী লামা জানান ছেলেটির বাবা তপন সেনগুপ্ত একটি কমপ্লেইন দায়ের করেছেন, এফআইআর নয়। ২০ তারিখে সুভাষগ্রামে মামার বাড়িতে উনি আত্মহত্যা করেন। এই এলাকা সোনারপুর থানার অধীন। ওখানেই পোস্ট মর্টেম হয়। যে রিপোর্ট এখনও আসেনি। ওসি বলেন ছেলেটি ছোটখাটো কাজ করতেন এবং উনি নতুন নাগরিকত্ব আইনের কারণে কিছুটা অবসাদগ্রস্ত ছিলেন। ছেলেটির ঠিকানা জানান — ২/৪৪এ, নেতাজি নগর।
এর পর তাঁরা প্রয়াত দেবাশীষের বাড়ি যান। ওনার পিতা কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। ওনার মাসী শোভা রায় প্রতিনিধি দলের সাথে কথা বলেন। তিনি রাজ্য সরকারের ক্যাজুয়াল কর্মী। জানা যায় পরিবার অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল এবং এঁরা ইতিপূর্বে কালীঘাট, গড়িয়ায় ভাড়া বাড়িতে থেকেছেন। গড়িয়াতে মায়ের মৃত্যু হয়। ছেলেটির এক দিদি আছে। ২০১৯ সালেও সিএএ’এর কারণে ছেলেটি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। মাসী বলেন, দেবাশীষের সব নথিপত্র আছে এবং সেগুলি নেতাজিনগরের ঠিকানাতে করা। তবুও তিনি বাবার কোনো ডকুমেন্টস নেই বলে চিন্তায় ভুগতেন। শোভা রায় এখন শ্রী তপন সেনগুপ্তকে নিয়ে চিন্তিত এবং জিজ্ঞাসা করেন যে, তাঁর জন্য যদি পেনশনের ব্যবস্থা করা যায়। ছেলেটিকে উদ্ধার করতে গিয়ে সুভাষগ্রামে মামার বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আশা করছেন সেটি মেরামতের জন্যও সরকারের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা পাড়ার চায়ের দোকানগুলিতেও কথা বলেন। জানা গেলো দেবাশীষকে অঞ্চলে খুব বেশি কেউ চেনেন না। কিন্তু তাঁরা জানালেন যে প্রয়াত দেবশীষের জন্ম চিত্তরঞ্জন সেবা সদনে এবং তিনি সাউথ সুবর্বন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। পাড়ায় রাজনৈতিক নেতাদের ভিড়ের কারণে অনেকেই বিরক্ত।