খবরা-খবর
তহবিল আদায়ের লক্ষ্যে কর্পোরেটগুলিতে সিবিআই হানা
corporates-to-extort-funds

নির্মাণ ব্যবসার সাথে যুক্ত ডিএলএফ। ২০১৯’এর অক্টোবর থেকে ২০২২’এর নভেম্বর পর্যন্ত কয়েক দফায় বিজেপি’কে বন্ডের মাধ্যমে অর্থ জোগান দিয়েছে — যার মোট আর্থিক মূল্য ১৭০ কোটি টাকা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে নির্বাচনী বন্ডের প্রকাশিত তথ্য থেকেই তা জানা যাচ্ছে। যে তিনটি ফার্মের মাধ্যমে ডিএলএফ ওই বন্ড কিনেছিল তা হল : ডিএলএফ কমার্শিয়াল ডেভেলপার্স লিমিটেড, ডিএলএফ গার্ডেন সিটি ইন্দোর প্রাইভেট লিঃ এবং ডিএলএফ লাক্সারি হোমস্ লিঃ। সমস্ত বন্ডই বিজেপি-র ঘরে গেছে।

মজার ব্যাপার হল, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর জামাই রবার্ট বঢরা ও নির্মাণ সংস্থা ডিএলএফ’এর বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে হৈচৈ ফেলে দেন মোদী। ২০১২ সালে এই সংস্থার বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বিজেপি হরিয়ানা রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯’এর জানুয়ারিতে ডিএলএফ অফিস তল্লাশি করে সিবিআই।

নির্বাচনী বন্ডের তথ্য সামনে আসতেই দেখা যাচ্ছে এই তল্লাশি অভিযানের পরেই ডিএলএফ বিজেপি’কে অনুদান পাঠিয়েছে বন্ডের মাধ্যমে। আর, তা পাওয়ার পরই পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে হরিয়ানার সরকার জানায়, ২০১২ সালে বঢরা ও ডিএলএফ’এর জমি লেনদেনে কোনও অনিয়ম হয়নি।

দিল্লির আবগারি মামলায় প্রথম গ্রেপ্তার হন পি শরৎচন্দ্র রেড্ডি। তার সংস্থা বিজেপি’কে বন্ডের মাধ্যমে মোটা টাকা দেওয়ার পরই ইডি জামিনের বিরোধিতা করেনি। রাতারাতি শরৎ চন্দ্র রেড্ডিকে রাজসাক্ষী করে দেওয়া হল। এই হল মোদীর না খায়ুঙ্গা না খিলায়ুঙ্গার আসল স্বরূপ।

খণ্ড-31
সংখ্যা-11