সম্প্রতি হরিদেবপুরের একটি ব্লাইন্ড হোমে দুই নাবালিকাকে দীর্ঘদিন ধরে যৌন নির্যাতনের খবর সংবাদমাধ্যম মারফত প্রকাশ্যে আসে। গত ৯ সেপ্টেম্বর আইসা, আইপোয়া ও সিপিআই(এমএল)-এর পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল হরিদেবপুরের হোমে যায়। প্রথমে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলা হয়৷ পরবর্তীতে হরিদেবপুর থানার অফিসার ইন চার্জের সঙ্গেও এই বিষয়ে কমরেডরা কথা বলতে যান। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা তুলে ধরেন যে মহিলারা যৌনহেনস্থা বা গৃহ-হিংসার অভিযোগ নিয়ে থানায় এলেই থানা তাদের নিরুৎসাহিত করে, এই ক্ষেত্রেও সেরকম একটি অভিযোগ আছে খবরের কাগজে। অফিসার ইন চার্জ বলেন, যেহেতু এই ঘটনা পক্সো আইনের অধীন তাই তিনি এই কেস সম্পর্কিত কোনও তথ্যই আলোচনা করতে পারবেন না। এছাড়া জানা যায়, এই কেসটি ৮ সেপ্টেম্বর রাতে লালবাজারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। লালবাজারে স্পেশাল জ্যুভেনাইল পুলিশ ইউনিটের পক্ষ থেকে এই কেসের তদন্ত করা হচ্ছে। সারা ভারতবর্ষে জুড়ে হোমগুলিতে শিশুদের ওপর যে যৌনহেনস্থা হয় এবং তাদের নিরাপত্তার যে বেহাল অবস্থা এই ঘটনা তা আরো একবার প্রমাণ করল।
আইসা, আইপোয়া ও সিপিআই(এমএল) এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও ঘটনার সাথে জড়িত সকল ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। প্রতিনিধি দলে আইসা’র পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন অনন্যা, ত্রিয়াশা, সায়নী ও শিবদ্যুতি; আইপোয়ার পক্ষে মলিনা বক্সি, মমতা ঘোষ, ইন্দ্রাণী দত্ত, চন্দ্রাস্মিতা চৌধুরী; সিপিআই(এমএল) লিবারেশন থেকে সৈকত ভট্টাচার্য, শান্তনু ভট্টাচার্য, বিরুন ব্যানার্জি, স্বরূপ দত্ত এবং গনতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মী পার্থ সিনহা।