সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের উত্তর ২৪ পরগণা জেলা সম্পাদক সুব্রত সেনগুপ্ত এক প্রেস বিবৃতি বলেন, দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত মোচপোল বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটনার অনুসন্ধানে ২৭ আগস্ট এলাকায় এক প্রতিনিধি দল যান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন জেলা নেতা দিলীপ দত্ত, সুব্রত ব্যানার্জি, সৌরভ কাঞ্জিলাল এবং আমান সেখ।
এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় নিরাপত্তাহীনভাবে বেআইনি বাজি কারখানাগুলো চলছে। এর আগেও দুর্ঘটনাস্থলের পাশের গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা থেকে কোনো শিক্ষাই নেয়নি প্রশাসন। উপরন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ — এই বেআইনী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে জানানো হলে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। তাদের হেনস্থা করা হয়েছে। শাসক দল ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতেই এই বাজি কারখানাগুলোর রমরমা।
এই বিস্ফোরণে মৃতদের মধ্যে বড় অংশই মুর্শিদাবাদ থেকে কাজের জন্য আসা শ্রমিক। আমরা অবিলম্বে এই ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক পরিবারগুলির জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও তাদের পরিবারের জন্য কাজের ব্যবস্থার দাবি করছি।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের বেআইনি বাজি কারখানার রমরমা ও বিস্ফোরণ নাগরিকদের নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা দাবি করছি রাজ্য সরকারকে এই ধরনের মৃত্যুর কারবার অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে ও পাশাপাশি বাজি কারখানার শ্রমিকদের বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রশাসনের অপদার্থতায় দত্তপুকুর বাজি কারখানার বিস্ফোরণ বেশ কিছু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিল, আশেপাশের নিরাপরাধ মানুষদেরকেও ক্ষতিগ্রস্ত করল। আমরা এই বিস্ফোরণের বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।