কলকাতার রাণী রাসমনি রোডে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলো দু’দিন ধরে সংগঠিত করল অবস্থান বিক্ষোভ। মোদী সরকারের দেশবিরোধী, শ্রমিক বিরোধী কর্পোরেট বান্ধব নীতি সমুহের বিরুদ্ধে ৯ আগস্ট দেশব্যাপী মহাঅবস্থান ও বিক্ষোভের কর্মসূচি নিয়েছিল দেশের ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। এরাজ্যে, ৮ আগস্ট থেকেই শুরু হয় এই অবস্থান বিক্ষোভ।
৮ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় অবস্থান।
যতই বেলা বাড়তে থাকে শ্রমিক কর্মচারীরা সমবেত হতে শুরু করেন সভাস্থলে। এদিন, পরিষেবা ক্ষেত্রের শ্রমিক কর্মচারীরাই বেশি সংখ্যায় অংশ গ্রহণ করেন। এআইসিসিটিইউ অনুমোদিত রেল ও প্রতিরক্ষা শিল্পের কর্মীরাও এদিন উপস্থিত ছিলেন। এআইসিসিটিইউ’র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব বোস, কাশিপুর গান অ্যান্ড শেল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি জয়দেব দে অবস্থান সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
৯ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে ফের অবস্থান শুরু হয়। অঝোর বৃষ্টি হয় মাঝে মধ্যে। তবুও বিভিন্ন সেক্টরের শ্রমিক কর্মচারীরা তারমধ্যেও সমাবেশে মিছিলে ও ফেস্টুন পতাকায় শ্লোগানে মুখরিত হয়ে সামিল হন। এআইসিসিটিইউ’র পক্ষ থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে এক মিছিল শুরু হয়ে সমাবেশ স্থলে যায়। এই মিছিলে আইসিডিএস সহ স্কিম কর্মী, রাষ্ট্রীয় পরিবহনের ছাঁটাই-অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, হকার, চটকল শ্রমিক, ডেকরেটর, রিক্সাচালক, বাটা কারখানার কর্মী, নির্মাণ থেকে শুরু করে কাশিপুর গান অ্যান্ড শেল’এর শ্রমিক ইউনিয়ন তাদের নিজস্ব ব্যানার নিয়ে উপস্থিত ছিল। রাণী রাসমনি রোড পর্যন্ত মিছিল যায়। সেদিন এ আইসিসিটিইউ’র সারা ভারত স্কিম কর্মী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শীলা দে সরকার ও এআইসিসিটিইউ’র রাজ্য সভাপতি অতনু চক্রবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। অন্যান্য কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের নেত্রীবৃন্দ ও বিভিন্ন সেক্টরের নেতারা সমাবেশে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। প্রত্যেক বক্তাই মোদী সরকারের জনবিরোধী, কর্পোরেট বান্ধব নীতির বিরুদ্ধে শাণিত আক্রমণ করেন। মোদী হঠাও, দেশ বাঁচাও রণধ্বনি গোটা সমাবেশ ও অবস্থানেই মুখরিত হয়ে ওঠে।
৯ তারিখেই, শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলোর যুক্ত বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। মহানন্দা ব্রিজ থেকে হিল কার্ট রোড হয়ে সংযুক্ত ট্রেড ইউনিয়নের মিছিল শেষ হয় বাঘাযতীন পার্কে। এই সমাবেশে শ্রমিকদের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। সমাবেশে এআইসিসিটিইউ’র পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মুক্তি সরকার। আয়ারলা, কিষাণ মহাসভার পক্ষ থেকেও ওই মিছিলে কর্মীরা অংশ নেন।