কবি সুকান্ত’র জন্মদিবস পালিত হল
poet-sukanta

১৬ আগস্ট, যাদবপুরের ‘সংযোগ’ থেকে যাদবপুর টিবি হাসপাতালে বিপ্লবী তরুণ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করা হয় কবির ৯৭তম জন্মদিবসে।

এই ভাবগম্ভীর সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের সবচেয়ে ভালো দিক হল, টিবি হাসপাতালের সুপারিন্টেনডেন্ট, সিস্টার-ইন-চার্জ সহ সমস্ত নার্স, ওয়ার্ড মাস্টারের সক্রিয় স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।

আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন সুপারিন্টেনডেন্ট ডাঃ শংকরলাল ঘোষ, ডাঃ মির্ধা, সিস্টার-ইন-চার্জ ম্যাডাম বাগ, সাথী অমলেন্দু ভূষণ চৌধুরী, নিত্যানন্দ ঘোষ, স্বপ্না চক্রবর্তী, সুব্রত ভট্টাচার্য, নীতীশ রায়, বাবুন চ্যাটার্জী, ওয়ার্ড মাস্টার তুষার বাবু, প্রতাপগড় প্রাইমারী স্কুলের হেডমাস্টার পরিমল হালদার, চিন্ময় ও অতনু চক্রবর্তী। মাল্যদানের পর সুপারিন্টেনডেন্ট সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, নীতীশ রায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন কবি সুকান্তের কবিতা ‘আঠারো আসুক নেমে’। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্বপ্না চক্রবর্তী ও সুব্রত ভট্টাচার্য।

এরপর যাওয়া হল হাসপাতালের ১০নং রুমে, যেখানে কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শোনা গেল, বেড থেকে নীচে মেঝেতে কবির নিথর মরদেহ পড়ে ছিল রক্ত বমি’র মাঝে! ওই বেডের সামনে নার্স সুজাতা নস্কর কবির বিখ্যাত কবিতা ‘ছাড়পত্র’ আবৃতি করেন।

চরম অনাদরে অবহেলায় এই ঐতিহ্যবাহী টিবি হাসপাতাল আজ দাঁড়িয়ে রয়েছে শত সরকারি বঞ্চনার মধ্যেও। কবির অন্তিম শয়ন কক্ষটি যেন এক পরিত্যক্ত, ভূতুরে ভাঙাচোরা বিন্ডিং। সুপারিন্টেনডেন্ট জানালেন এখন মাত্র ১৩ জন পেশেন্ট রয়েছেন। তিনি এই হাসপাতালকে বাঁচাতে নাগরিকদের এগিয়ে আসার আন্তরিক আবেদন জানান।

খণ্ড-30
সংখ্যা-28