সকল স্কিম কর্মীদের (আশা, মিড-ডে-মিল, অঙ্গনওয়াড়ি ও অন্যান্য) শ্রমিক শ্রেণির অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে নির্মম শোষন-নিপীড়ন বন্ধ কর; মাসিক বেতন, নিয়মিতকরণ ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত কর; সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ ও কোম্পানি রাজের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন; সম্মানজনক কাজের দাবিতে লড়াইকে তীব্র করুন; সর্বভারতীয় স্কিম কর্মী ফেডারেশনের (এআইসিসিটিইউ অনুমোদিত) প্রথম সম্মেলন সফল করুন।
সাথী,
৯-১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পাটনার বুকে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সারা ভারত স্কিম কর্মী ফেডারেশনের প্রথম সর্বভারতীয় সম্মেলন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্কিম কর্মীদের ইউনিয়নবদ্ধ হয়ে একরোখা লড়াই চালানোর মধ্য দিয়েই এই ইউনিয়নটি আত্মপ্রকাশ করেছে।
আমরা জানি এনআরএইচএম, এনএইচএম, মিড-ডে-মিল ও আইসিডিএস’এর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ভিত্তিক পেশায় স্কিম কর্মীরা মেরুদন্ড শক্তি। টিকাকরণ, শিশু সুরক্ষা, স্কুল পড়ুয়াদের পুষ্টি প্রদান, স্কুলে স্কুলে ভর্তির অনুপাত বজায় রাখা, প্রাতিষ্ঠানিক পরিষেবা, শিশু মৃত্যুর হার ঠেকানো, প্রভৃতি ক্ষেত্রগুলো তাঁদের হাড় ভাঙা পরিশ্রমের দরুন এখনো বজায় রয়েছে।
কিন্তু নির্মম বাস্তব হল, এই পেশায় কর্মরত ৯৫ শতাংশ মহিলা কর্মীদের ভারত সরকার শ্রমিক হিসাবেই গণ্য করে না।
স্কিম কর্মীরা মাসিক বেতন পান না। তাঁদের স্বেচ্ছাসেবক গণ্য করে অনেক রাজ্যে মাসিক ১০০০ বা ২০০০ টাকা ভাতা বা ইন্সেনটিভ খাতে টাকা দেওয়া হয়।
শ্রমিক শ্রেণির অন্যান্য যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা থাকে, যেমন ইএসআই-পিএফ-পেনশন বা অন্য কোন সামাজিক সুরক্ষা, তা থেকে স্কিম কর্মীরা বঞ্চিত।
এনআরএইচএম, মিড-ডে-মিল, আইসিডিএস প্রভৃতি প্রকল্পগুলোকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া চলবেনা।
কর্মস্থলে যৌনহেনস্থা রোধী সেল সুনিশ্চিত করতে হবে।
কোভিডের সময় পরিষেবা দিতে গিয়ে যে সমস্ত কর্মীদের মৃত্যু হয়, তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা অবিলম্বে কার্যকরী করতে হবে।
শ্রমিক বিরোধী শ্রমকোড বাতিল কর।
- সারা ভারত স্কিম কর্মী ফেডারেশন (এআইসিসিটিইউ)