যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপের মর্মান্তিক মৃত্যু সকলকে নাড়া দিয়েছে। ঘটনার অভিঘাতে বহু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বয়ান সমাজ-মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে যেগুলি থেকে এ’কথা সকলের সামনে স্পষ্ট যে মেইন হস্টেলে, এবং বিশেষত তার A1-A2 ব্লকে, উত্তরোত্তর তীব্রতর মাত্রার র্যাগিং বিগত বেশ কয়েক বছর যাবৎ চলছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দীর্ঘ গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস আছে বলেই হয়তো শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে বিষয়টা আরো বেশি ভাবিয়েছে, যে ক্যাম্পাসে ছাত্র-ছাত্রীরা ধারাবাহিকভাবে প্রগতিশীল ভূমিকা রেখেছে সেখানে এরকম র্যাগিং কীভাবে চলতে পারে! সকলে যখন, নির্দিষ্টভাবে এই ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িতদের শাস্তির সাথে সাথে ক্যাম্পাসকে র্যাগিং-মুক্ত করার প্রতিকার খুঁজছেন, তখন শাসক দল ও ক্ষমতাধারী সংবাদ মাধ্যম সামগ্রিকভাবে যাদবপুরের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারার ওপরই আঘাত হানতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে লাগাতার ধর্ণা ও প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে আইসার জেইউ ইউনিট সেক্রেটরি বর্ষা বরাল বলেন, “এই র্যাগিং কালচার প্রত্যেকটা ইউনিভার্সিটি, কলেজ এবং স্কুলের সমস্যা। এটা একটা সামাজিক নির্মিতি বা সোশ্যাল কনস্ট্রাক্ট। একে কীভাবে কাউন্টার করা যায় মূল প্রশ্নটা সেখানেই এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু মিডিয়া ও শাসকদল তা নিয়ে কথা বলছে না। এই যে আইআইটি থেকে এনআইটি সারা জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো, চারিদিকে এত রেস্ট্রিকশন, এত সার্ভিলেন্স, তার পরও প্রত্যেক বছর এত এত ছাত্র-ছাত্রীকে কেন সুইসাইড করতে হচ্ছে? এই প্রশ্নগুলো উঠে আসছে, সরকার তার দায় এড়াতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ নিজের দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। এই সময়ে আমরা যখন এরকম একটা পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছি তখন এসব নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার”।
স্বপ্ন-হত্যার সুবিচার চেয়ে, হোস্টেল ও ক্যাম্পাস বাঁচাতে, ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক পরিসরকে রক্ষা করা এবং অবিলম্বে নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রী প্রতিনিধিদের নিয়ে অ্যান্টি-র্যাগিং সেল পুনর্গঠন করার দাবিতে আইসার লাগাতার অবস্থান প্রতিবাদের প্রচারপত্রে বলা হয়েছে,
“পরিসংখ্যান বলছে বিগত ৫ বছরে শতাধিক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। আইআইটি, মেডিক্যাল কলেজ-সহ দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে। কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছেন। বিগত বছরে শুধু ৫১১-র উপরে র্যাগিংএর অভিযোগ জমা পড়েছে ইউজিসি-র কাছে। র্যাগিংএর ঘটনায় শীর্ষে রয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। কিন্তু এগুলো হল শুধু জানা ‘তথ্য’। এর বাইরেও অজানা কাহিনী রয়েছে অসংখ্য। র্যাগিং-এর ভয়াবহতা এই রাজ্যের অন্যান্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও কান পাতলে স্পষ্টভাবে শোনা যায়। যাদবপুরের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন একটা ঘটনা নয়।
সার্বিকভাবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রতিক্রিয়াশীল ক্ষমতার একটা তন্ত্র বিদ্যমান যা এই র্যাগিং-এর ঘটনাগুলিকে ঘটিয়ে চলেছে। এটা মানসিক বিকারের ব্যাপার না, বরং ক্ষমতাতন্ত্রের ব্যাপার। কিছু ক্ষমতাশীল ছাত্র, তারা জানেন যে যদি সমাজের প্রান্তিক অংশ থেকে উঠে আসা প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের উপর এই অত্যাচার চালানো যায় তাহলে অপরাধ করেও পার পাওয়া যাবে, বা তারা সরাসরি শাসকশ্রেণীর মদতপুষ্ট, তাই এই ঘটনা ঘটানোর সাহস করেন। এই অভ্যাস মুলত দক্ষিণপন্থার; সমাজে যে ব্রাহ্মণ্যবাদী-সামন্তবাদী ক্ষমতার আগ্রাসন রয়েছে তার প্রতিফলন।
র্যাগিং বিষয়ে কর্তৃপক্ষ এই প্রথম জানছে এমন তো নয়! আইসা বিভিন্ন সময়েই র্যাগিং-এর বিরুদ্ধে হস্টেলে ও ক্যাম্পাসে লড়ছে, কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। ২০১৫ সালে র্যাগিং-এর বিরোধিতা করায় আইসার দুই কর্মীকে মেরে বের করে দিয়েছিল র্যাগাররা। অভিযোগ জানানোর পরেও নিশ্চুপ ছিল কর্তৃপক্ষ। কেন? কারণ ক্ষমতাশীল দাদাদের অনেকেরই ওঠা-বসা ছিল তৎকালীন নেতা মন্ত্রীদের সাথে।
ক্যাম্পাসের অ্যান্টি র্যাগিং সেল কী করে? কিছুই না। ক্যাম্পাসে প্রতিবছর কয়েকটি হোর্ডিং টাঙায় আর ভর্তির সময় একটা ফর্মে সই করতে হয় যেখানে র্যাগিং না করার কথা লেখা থাকে। এছাড়া এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের আর কোনও সম্পর্ক নেই পড়ুয়াদের সাথে। নেই কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধি। অর্থাৎ সচেতনতা তৈরির প্রয়াস শুন্য। আজকে তার ফল ভুগতে হল স্বপ্নদীপকে। যেহেতু আজ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে কোনওরকম অ্যান্টি র্যাগিং সেল নির্বাচন হয়নি তাই এ কথা সহজেই বলা যায় যে কর্তৃপক্ষ র্যাগিং-এর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে উদাসীন। স্বপ্নদীপকে হারানোর পরও কি এই উদাসীনতা কাটবে?”
স্বপ্নদীপের মৃত্যুর খবর সামনে আসার সাথে সাথে শাসকদলের ছাত্রনেতা তথা মিডিয়া-মুখ যাদবপুরের বামপন্থী সংগঠনগুলিকে অপরাধী বলে ঘোষণা করে দেন। এই প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে বর্ষা বলেন, “একটা কথা খুব পরিষ্কার। যবে থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে তবে থেকে আমরা ক্যাম্পাসেই আছি। এই যে দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলো, টিএমসি হোক বা বিজেপি, এরকম একটা নির্মম ঘটনা নিয়ে তাদের কোনওরকম কথা নাই, তারা নিজেদের প্রোপাগান্ডা সার্ভ করতে ব্যস্ত। এখানকার ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে তারা তেমন জায়গা পায়নি। ‘হোক কলরব’ আন্দোলনে এরাই ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। আনীস খানের খুনই বা কারা করেছিল? যাদবপুরকে এভাবে চ্যানেলাইজ করে দেখানো হচ্ছে, বামপন্থী আন্দোলনকে আক্রমণের নিশানা করে। যেমনভাবে যাদবপুরকে সামগ্রিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। এটা প্রচণ্ডভাবে এক দক্ষিণপন্থী প্রপাগাণ্ডা। যাদবপুর অ্যাজ-এ-হোল এই প্রপাগাণ্ডার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে এবং আগামীতেও থাকবে।”
বাস্তবিকই, যাদবপুরের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে থেকেই প্রতিবাদ উঠে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নং গেটের সামনে প্রাক্তনীদের সভায় চলচ্চিত্র নির্মাতা দেবলীনা বলেন, “র্যাগিং-এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাথে সাথে এই যাদবপুরের ওপর সামগ্রিক আঘাত হানার বিরুদ্ধেও আমরা রুখে দাঁড়াচ্ছি।” এক বছর আগে এই রাজ্যেরই আইআইটি ক্যাম্পাসের হস্টেলে র্যাগিংএর ফলে একই রকমভাবে এক ছাত্রের মৃত্যু/হত্যার মামলা হাইকোর্টে চলছে। এই ঘটনাটি নিয়ে কিন্তু তেমন চর্চা হয়নি, আর আইআইটির অভ্যন্তর থেকেও কোনও প্রতিবাদ উঠে আসতে দেখা যায়নি।
সিপিআই(এমএল) কলকাতা জেলা সম্পাদক অতনু চক্রবর্তী ১৪ আগষ্ট এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, “এই মর্মন্তুদ ঘটনার সুযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্ততা কেড়ে নেওয়ার ফন্দি আঁটছে”। রাজ্যপালের অতি সক্রিয়তা ও রাজনৈতিক উদেশ্য অত্যন্ত স্পষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কোর্ট’-কে নিজের দরবারে ডেকে মিটিং করার অধিকার তাঁর নেই – এই প্রশ্ন উঠেছে।
গত ১৫ আগষ্ট এক প্রেস বিবৃতিতে সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে “দায়িত্বজ্ঞানহীন, সংকীর্ণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে নিন্দা করেন। স্বপ্নদীপের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে এবং স্বপ্নদীপের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে এই বিবৃতিতে আরো বলা হয়,
“এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অপদার্থতার নিন্দা না করে, শিক্ষামন্ত্রীর নিঃসীম নির্লিপ্ততা চিহ্নিত না করে, মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন, অনৈতিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘আতঙ্কপুর’ আখ্যা দিয়েছেন। প্রণালীবদ্ধ তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার তোয়াক্কা না করে দেশের শীর্ষস্থানীয় উচ্চশিক্ষাকেন্দ্র হিসাবে স্বীকৃত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত উৎকর্ষকে কলঙ্কিত করার প্রয়াস নিয়েছেন। নির্বাচিত ছাত্র সংসদ, ঐতিহ্যশালী বাম ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসকে কালিমালিপ্ত করতে মুখ্যমন্ত্রীর এই অনীতিনিষ্ঠ ও সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্যের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।
অন্যদিকে, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে যাদবপুরকে পরিকল্পিতভাবে উপাচার্যহীন রাখার অপকৌশল নিয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে রাজ্যপাল পঠন-পাঠনের উৎকর্ষ রক্ষা, পরিকাঠামো উন্নয়ন ও বকেয়া কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দ প্রদানে বিন্দুমাত্র উদ্যোগ না নিয়ে, ছাত্র মৃত্যুর পর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়কে অভিব্যক্ত করলেন। এখন কেন্দ্রীয় সংস্থা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, ইউজিসি ও রাজভবন যেন সিবিআই আর ইডি-র ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে শুধুমাত্র যাদবপুর নয়, বাংলার ছাত্র আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের বিলুপ্তি ঘটিয়ে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের মান্যতা ও ছাত্রদের রাজনীতি করার অধিকার হরণ করতে এবং নিরঙ্কুশ দক্ষিণপন্থী আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।”
আইসার পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে যে, স্বপ্নদীপের মৃত্যুর সাথে যৌন হেনস্থার দিক জড়িত থাকার প্রবল সম্ভাবনা আছে। ক্যাম্পাসে বর্তমানে কোনো লিঙ্গ-সাম্য সচেতনতা কমিটি না থাকার দরুন কোনো ঘটনার কোনো সুরাহা করতে কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ। ২০১২ সাল থেকে অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার এই ধরনের কমিটি নির্বাচনের দাবী জানান হয়। স্বপ্নদীপের মৃত্যু এর পেছনে লুকিয়ে থাকা লিঙ্গ-বৈষম্যমূলক চেতনাকে তুলে ধরে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসকে আরও সচেতন এবং সংবেদনশীল গড়ে তোলার জন্য কর্তৃপক্ষের অবিলম্বে GSCASH নির্বাচন করতে হবে।
কলকাতায় আইসার দশম জাতীয় সম্মেলন চলাকালীনই স্বপ্নদীপের ঘটনার খবর পেয়ে গভীর রাতেই আইসার জেইউ কমরেডরা ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন। পর দিন জাতীয় সম্মেলনের মঞ্চ থেকে স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয় ও তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা ব্যক্ত করা হয়। এর পর জেইউ ইউনিট লাগাতের প্রতিবাদ শুরু করে। ১৬ আগস্ট, আইসার পক্ষ থেকে তিন দিন লাগাতার অবস্থান প্রতিবাদ চলার পর, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত সংগ্রামী ছাত্র-ছাত্রী সংগঠন, গবেষকদের সংগঠন ও কর্মচারীদের সংগঠন একত্রিত হয়ে সাধারণ সভা সংগঠিত করে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে এই লড়াই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দরজায় চলা এই সাধারণ সভা চলাকালীনই টিএমসিপি বাইরে থেকে সমাবেশিত করে সাধারণ সভাকে মাড়িয়ে ভবনে প্রবেশ করার জন্য গা-জোয়ারি করে, শেষে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায় এবং আন্দোলনকারীদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে মারামারির অভিযোগে যাদবপুর থানায় জিডি করে। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে যাদবপুর টিএমসি ইউনিটের অধিকার আছে এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার, কিন্তু শাসন ক্ষমতাকে হাতিয়ার করে, বাইরে থেকে সমাবেশিত করে, উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়ে গণ্ডগোল বাধানোর অপচেষ্টাকে কোনোমতেই মেনে নেওয়া যায় না।