শিক্ষা বাঁচাও, ভবিষ্যত বাঁচাও!
save-the-future

অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন-এর দশম জাতীয় সম্মেলনের প্রাক্কালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি ও শিক্ষার গৈরিকীকরণ বিষয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘শিক্ষার হেরফের’ শীর্ষক এক আলোচনাসভা। সভার প্রধান বক্তাদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক অভিজিৎ মজুমদার, অধ্যাপক নন্দিনী মুখার্জী, অধ্যাপক সঞ্জীব আচার্য এবং অধ্যাপক মানস ঘোষ।

আলোচনায় উঠে এসেছে জাতীয় শিক্ষা নীতি কিভাবে সার্বিকভাবে শিক্ষায় বৃহৎ পুঁজির বিনিয়োগের পথকে সুগম করছে। সঞ্জীব আচার্যেরন বক্তব্যে উঠে এসেছে যে এই শিক্ষানীতি শুধুমাত্র ১০ শতাংশের স্বার্থ রক্ষার জন্যে তৈরি।

এর সাথে সাথেই নন্দিনী মুখার্জী যুক্ত করেন যে ক্রেডিট সিস্টেম কিভাবে প্রান্তিক অংশের শিক্ষার্থীদের আরো দূরে ঠেলে দেবে শিক্ষার পরিসর থেকে। অন্যদিকে অধ্যাপক মানস ঘোষ তুলে ধরেন ইতিহাস বিকৃতির বিষয়, দ্বর্থ্যহীন ভাষায় তিনি সামলোচনা করেন বিজেপি-আরেএসএস-এর স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসকে এক সাম্প্রদায়িক মোড়কে পাঠ্যবইতে উপস্থাপনা করার প্রক্রিয়াকেে। পার্টির রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার দেশের সামাজিক রাজনৈতিক পরিসরে ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন কি ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নব্য প্রজন্মের মানসিকতাকে প্রভাবিত করছে এবং সাম্প্রদায়িক মনন গড়ে উঠছে তা নিয়ে আলোচনা করেন। এই ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শ্রমজীবী— কৃষিজীবী জনতার সাথে ছাত্র যুবদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন যে একমাত্র বিকল্প, সেই বার্তা তিনি বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।

সমস্ত সময় প্রায় সভাগৃহ পূর্ণ থেকেছে এবং উল্লেখযোগ্য যে শিক্ষার্থীদের এক বড় অংশ ছিল শিক্ষার্থী কমরেড। সভায় অ-শিক্ষক কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতন। শিক্ষার বেসরকারীকরণ এবং গৈরিকীকরণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার নেওয়ার মাধ্যমে সভা শেষ হয়।

খণ্ড-30
সংখ্যা-27