‘বিসিএমএফ’এর ৮ম রাজ্য সম্মেলন
conference-of-bcmf

গত ১৫ আগস্ট উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কাঁকিনাড়া শহরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এআইসিসিটিইউ অনুমোদিত বেঙ্গল চটকল মজদুর ফোরাম ‘বিসিএমএফ’এর ৮ম রাজ্য সম্মেলন। সম্মেলনের সভামঞ্চের নামকরণ করা হয় বেলুড় মহাদেও জুটমিলের প্রয়াত কমরেড তথা বিসিএমএফের অগ্রণী কমরেড রাজেন্দ্র সাউ (গুপ্তা)-এর স্মৃতিতে।

সম্মেলনের শুরুতেই কাঁকিনাড়া স্টেশন থেকে মজদুর সাথীদের দৃপ্ত মিছিল সম্মেলন স্থল (ফিঙেপাড়া গার্লস স্কুল) পর্যন্ত স্লোগান সহযোগে পৌছায়। চারিদিকে ১৫ আগস্টের আড়ম্বরপূর্ণ উদযাপনের মাঝে মজদুরদের লালঝান্ডা হাতে হকের দাবিতে ভরা স্লোগানে নিমেষে ওই এলাকার পরিবেশ বদলে দেয়। সম্মেলনের প্রথমেই জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয় এবং পরবর্তীতে বিসিএমএফ-এর পতাকা উত্তোলন ও শহীদ স্মরণ কর্মসূচি পালিত হয়।

সম্মেলনের অধিবেশন পর্বের সঞ্চালনার জন্যে পাঁচ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলীর গঠন হয়। বিদায়ী কমিটির পক্ষ থেকে খসড়া প্রতিবেদন পাঠ করেন ওমপ্রকাশ রাজভর। পরবর্তীতে রন্ধন কর্মী ইউনিয়নের নেত্রী তথা এই সম্মলনের অতিথি জয়শ্রী দাস সরলভাবে বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করেন এবং সম্মেলনকে সম্বোধিত করেন।

সম্মেলনের মূল পর্বে খসড়া প্রতিবেদনের ওপরে বক্তব্য রাখেন ১ জন মহিলা সহ মোট ১৩ জন প্রতিনিধি। রাজ্যর বিভিন্ন জুটমিলে কর্মরত প্রতিনিধিরা তাদের সমস্যা ও সাংগঠনিক বিভিন্ন পরামর্শ তুলে ধরেন তাদের ভাষণে। মিলের শ্রমিকরা ছাড়াও রেল, প্রতিরক্ষা সহ অন্য ক্ষেত্রের সাথীরাও তাদের কিছু কিছু অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন সাথীদের সঙ্গে।

নরেন্দ্র মোদী সরকারের শ্রমিকঘাতী শ্রম আইন সংশোধন এবং পরিকল্পিতভাবে জুট সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলোকে ধ্বংস করার চক্রান্তের বিরুদ্ধ সমস্বরে বৃহত্তর প্রতিরোধের ডাক দেয় এই সম্মেলন। সম্মলনে উপস্থিত আইসার ছাত্র প্রতিনিধি সুরত্ন’র মনোগ্রাহী বক্তব্য সকলেরই নজর কাড়ে।

এছারাও সম্মেলনের শেষ বেলায় এপিডিআর-এর প্রতিনিধি সাথী দেবাশিষ পালের বক্তব্য সম্মেলনকে সমৃদ্ধ করে। এআইসিটিইউ’র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব বসু তার বক্তব্যে সংগঠনের আশু কর্তব্য ও কাজের দিশার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। সম্মলনের খসড়া প্রতিবেদনের ওপরে বক্তব্যের জবাবী ভাষন দেন বিদায়ী সম্পাদক অতনু চক্রবর্তী।

সম্মেলন থেকে সর্বসম্মত ভাবে একজন অতিথি সহ মোট ৪৪ জনের রাজ্য কাউন্সিল, ২৭ জনের কার্যনির্বাহী কমিটি ও ১৫ জনের অফিস বেয়ারার নির্বাচিত হন। অতনু চক্রবর্তী রাজ্য সাধারণ সম্পাদক, নবেন্দু দাশগুপ্ত রাজ্য সভাপতি এবং দেবব্রত ভক্ত অর্গানাইজিং সেক্রেটারি পদে নির্বাচিত হন। সম্মেলনে মোট আগত প্রতিনিধি সংখ্যা ছিল ১২৭ জন।

শ্রমকোড বাতিল সহ একাধিক দাবিতে স্লোগানের মাধ্যমে পরিসমাপ্তি ঘটে সম্মেলনের।

খণ্ড-30
সংখ্যা-28