জেএনইউ’র প্রাক্তন ছাত্রনেতা এবং যাঁর গবেষণার বিষয় ছিল ঝাড়খন্ডের জনজাতি সম্প্রদায়, সেই উমর খলিদের কারাবাসের মেয়াদ ১০০০ দিন পেরিয়ে গেল গত ৯ জুন। ২০২০’র ২৩-২৫ ফেব্রুয়ারির দিল্লীর দাঙ্গায় তাঁকে অভিযুক্ত করে, ঐ দাঙ্গার ‘মূল চক্রী’ হিসাবে চিহ্নিত করে নরেন্দ্র মোদী সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করে ২০২০’র ১৪ সেপ্টেম্বর। সেই থেকে তিনি জেলেই রয়েছেন। একাধিকবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেছেন আদালতের বিচারপতিরা। মোদী সরকার তাদের মতাদর্শের ও কর্মনীতির বিরোধীদের চরম বৈরী বলে জ্ঞান করে এবং ইউএপিএ, দেশদ্রোহের মতো দানবীয় আইনে অভিযুক্ত করে তাদের জেলে আটক রাখাটাই সরকারের অভিপ্রায়। তারপর দেখা যায়, নির্দিষ্ট মামলায় নির্দিষ্ট ঘটনা সম্পর্কে বিচারপতিদের ব্যাখ্যা সরকারি কর্তাব্যক্তিদের ব্যাখ্যার সঙ্গেই মিলে যাচ্ছে। ফলে, জামিন লাভ অসম্ভব হয়ে ওঠে। উমর খলিদও এরকম এক ব্যক্তিত্ব যিনি মোদী সরকারের রোষ আকর্ষণ করেছেন। দিল্লী দাঙ্গার আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেও উমর খলিদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছিল কানহাইয়া কুমার এবং জেএনইউ’র অন্যান্য ছাত্র নেতাদের সঙ্গে। কারণ, তাঁরা আফজল গুরুর ফাঁসি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে প্রবল সমালোচনার পরিণামে ২৬ দিন কারাবাসের পর সে সময় জেল থেকে তাঁর মুক্তি ঘটে। কিন্তু দিল্লী দাঙ্গার সঙ্গে জড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়েছে ইউএপিএ’র মতো দানবীয় আইন, যার বলে তদন্ত শেষ না করে, বিচার প্রক্রিয়াকে অনিষ্পন্ন রেখে অভিযুক্তকে বছরের পর বছর আটক রাখতে পারে সরকার। তাছাড়া, দিল্লী দাঙ্গার তদন্ত নিয়েও তো প্রথম থেকেই অনেক প্রশ্ন উঠেছে, দাঙ্গার মূল উস্কানি দাতাদের আড়াল করে অমিত শাহর পরিচালনাধীন দিল্লী পুলিশ বিজেপির নিশানায় থাকা কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধেই তদন্তের অভিমুখকে চালিত করেছে। ফলে, ঐ তদন্ত হয়ে উঠেছে এক প্রহসন, নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের প্রতিহিংসা চরিতার্থতার এক হাতিয়ার। তদন্তের পক্ষপাতিত্ব ও দাঙ্গার মূল হোতাদের ছাড় দেওয়া প্রসঙ্গে আমরা একটু পরে সংক্ষেপে আলোচনা করব, এখন আমরা বরং আলোচনায় আসি উমর খলিদের ১০০০তম কারাবাসের দিন অতিক্রম হওয়ার লগ্নে দিল্লীর প্রেসক্লাবে আয়োজিত তাঁর প্রতি সংহতি ও সমর্থন জ্ঞাপন অনুষ্ঠান সম্পর্কে।
উমর খলিদের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন কোনো রাজনৈতিক বা সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগ ছিল না। তাঁর কিছু শুভান্যুধায়ী এবং গণতন্ত্রপ্রেমী ছাত্র, নাগরিক স্বাধীনতা রক্ষার কর্মী, শিক্ষাক্ষেত্রের বিদ্বজ্জন এবং বুদ্ধিজীবীরা সমবেত হয়েছিলেন তাঁর লড়াইয়ের সমাদর করতে, কারাবাসের মধ্যে দিয়েও তাঁর প্রতিরোধকে সাবাশ জানাতে। অনুষ্ঠানটি প্রথমে হওয়ার কথা ছিল গান্ধী পিস ফাউন্ডেশনে, কিন্তু যে উদ্দেশ্যেই হোক দিল্লী পুলিশ ঐ সমাবেশ স্থলের পরিচালকদের অনুষ্ঠান বাতিলে বাধ্য করে, এবং অনুষ্ঠানটি অবশেষে হয় প্রেস ক্লাবে। উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন জেএনইউ’র অধ্যাপক প্রভাত পট্টনায়ক, আরজেডি নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝা, বরিষ্ঠ সাংবাদিক রাবিশ কুমার, লেখিকা অরুন্ধতি রায়, সমাজ আন্দোলনের কর্মী ও পরিকল্পনা কমিশনের পূর্বতন সদস্য সয়িদা হামিদ ও অন্যান্যরা এবং উমর খলিদের বাবা এস কিউ আর ইলিয়াস। উপস্থিত ব্যক্তিত্বরা সেদিন তাঁদের আলোচনার জন্য যে বিষয়টি নির্দিষ্ট করেন সেটি ছিল — “গণতন্ত্র, সরকার বিরোধিতার অধিকার ও সেন্সরশিপ”। খলিদের তিন বছর কারাবাস প্রসঙ্গে প্রভাত পট্টনায়ক বলেন, ব্রিটিশ শাসনাধীনে গান্ধীকেও একসঙ্গে এতদিন জেলে থাকতে হয়নি, একমাত্র নেহরুরই নিরবচ্ছিন্ন কারাবাসের মেয়াদ ছিল ১০৪১ দিন। উমর খলিদের দীর্ঘ কারাবাস তাই ব্রিটিশ শাসনকে মনে পড়িয়ে দিচ্ছে। মোদী জমানার স্বৈর প্রবণতার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকার “গণতন্ত্র বিরোধী, যে কাউকেই এখন তুচ্ছতম অজুহাতেও জেলে ভরা যায়।” আরজেডি নেতা মনোজ ঝা উমরের দৃঢ়তার প্রশংসায় বলেন, “এটা যেমন ১০০০ দিনের কারাবাস, তেমনি আবার ১০০০ দিনের প্রতিরোধও।… আজকের এই সংহতি জ্ঞাপন শুধু উমরের জন্যই নয়, সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীদের জন্যই।” উমরের বাবা ইলিয়াস তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে খন্ডন করে বলেন, দিল্লী দাঙ্গার সময় উমর দিল্লীতেই ছিল না। তিনি তাঁর ছেলের দৃঢ়তার বন্দনায় বলেন, “জেলে ১০০০ দিন থাকার ফলে কি উমরের প্রত্যয় টাল খেয়ে গিয়েছে, এই কারাবাস কি তার সুহৃদদের মানসিকতাকে দমিয়ে দিয়েছে? একেবারেই না। যাদের জেলে পোরা হয়েছে, আদালতে শুনানির দিন যখন তাদের সঙ্গে দেখা হয় আমি তাদের মুখে প্রত্যয় দেখতে পাই, ওরা জানে যে একটা আদর্শের জন্যই ওরা জেলে গেছে।” তিনি আরও জানান, তাঁর ছেলে দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে। অন্যান্য বক্তারাও সেদিন সরকার বিরোধিতার অধিকারকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেন, সেন্সরশিপকে সরকারের এক দমনের উপায় বলে বর্ণনা করেন।
দিল্লী দাঙ্গায় নিহত মোট ৫৩ জনের মধ্যে ৪০ জনেরও বেশি ছিল দরিদ্র মুসলিম। অথচ সেই দাঙ্গার ‘মূল মাথা’ রূপে অভিযুক্ত করা হলো এক মুসলিম উমর খলিদকে। ২০২০’র ফেব্রুয়ারিতে মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে দেওয়া তাঁর বক্তৃতার ভিত্তিতেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ খাড়া করা হলো, আরও বলা হলো, তিনি হোয়াটসঅ্যাপে এমন সমস্ত মেসেজ পাঠিয়েছেন যা “জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে সম্ভানাময় বিপদ” হতে পারে। কিন্তু উমরের বক্তৃতা বা ফোনে পাঠানো মেসেজের জন্যই কি দিল্লীর দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছিল? উমরের অমরাবতীর যে বক্তৃতাকে দিল্লী পুলিশ তাদের বড় তথ্যপ্রমাণ করেছে, সেই বক্তৃতাতেও উমর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের কথাই বলেছেন এবং তাঁর বক্তৃতার পর কোনো হিংসা সৃষ্টি হতেও দেখা যায়নি। কিন্তু যারা তাদের নির্দেশ ও বক্তৃতার মধ্যে দিয়ে প্রকৃতই উত্তেজনা ও হিংসাকে উস্কিয়ে তুলল পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপই করল না। সেই সময় শাহিনবাগে দীর্ঘ সময় ধরে যে সিএএ-বিরোধী আন্দোলন চলছিল, মোদী সরকার তাতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছিল এবং ঐ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও সমর্থকদের শায়েস্তা করতে উদ্যত হয়েছিল। উমর ছিলেন সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের এক বড় সমর্থক ও প্রেরণা দাতা। কাজেই, মোদীর বৈরী প্রতিপক্ষের তালিকার গোড়ার দিকেই ছিল উমরের স্থান। ভাষ্যকারদের অভিমত অনুসারে দিল্লীর দাঙ্গা যেহেতু ছিল হিন্দুত্ববাদীদের সুপরিকল্পিত এক নকশার পরিণাম, প্রকৃতই যারা বিদ্বেষপূর্ণ ও ঘৃণাভরা বক্তৃতা দিয়ে সাম্প্রদায়িক দুশমনিকে উস্কিয়ে তুলেছিল, সুপরিকল্পিত সেই নীল নকশায় তাদের আড়াল করার কৌশলই ছকা হয়েছিল। অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ, কপিল মিশ্র, গিরিরাজ সিংহ, তেজস্বী সূর্য ও অন্যান্য বিজেপি নেতাদের দিল্লী দাঙ্গার সূত্রপাত ঘটানোয় ও তাকে ছড়িয়ে তোলায় অবদান ছিল নির্ধারক। সেদিন, অর্থাৎ ২০২০’র ২৩ ফেব্রুয়ারি কপিল মিশ্র উত্তর-পূর্ব দিল্লীর জাফরাবাদ থেকে সিএএ-বিরোধী প্রতিবাদকারীদের বলপূর্বক হটিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। কপিল মিশ্রর বক্তৃতার পরই হিন্দুত্ববাদী দাঙ্গাবাজ জনতা পেট্রল বোমা, লোহার রড, গ্যাস সিলিন্ডার, ইত্যাদি অস্ত্র নিয়ে উত্তর-পূর্ব দিল্লীর বিভিন্ন স্থানে হানা দেয় এবং নানা স্থানেই দাঙ্গা বা ঠিকভাবে বললে হিন্দুত্ববাদী দাঙ্গাবাজদের একতরফা আক্রমণ শুরু হয়ে যায়। কপিল মিশ্র বক্তৃতা দেওয়ার সময় দিল্লীর উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার বেদপ্রকাশ সূর্য তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন, অথচ কপিল মিশ্রর বিরুদ্ধে দিল্লী পুলিশের একটা আঙুলও ওঠেনি। দিল্লী পুলিশের তদন্ত কেমন পক্ষপাতদুষ্ট ও বৈষম্যমূলক ছিল তার উপস্থাপনায় আমরা এখানে সে সময় পুলিশ কমিশনার শ্রীবাস্তবকে লেখা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার জুলিয়ো রিবেইরোর চিঠির অংশবিশেষ তুলে ধরছি — “দিল্লী পুলিশ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, কিন্তু যারা ঘৃণা ভাষণ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রাহ্য অপরাধ নথিবদ্ধ করাকে সজ্ঞানে এড়িয়ে গেছে, যে ভাষণগুলোই উত্তর-পূর্ব দিল্লীতে দাঙ্গার সূত্রপাত ঘটায়। আমার মতো সুস্থমস্তিষ্কের ও অরাজনৈতিক এক ব্যক্তিকে এই বিষয়টা উদ্বিগ্ন করে যে, কেন কপিল মিশ্র, অনুরাগ ঠাকুর ও প্রবেশ ভার্মাকে আইনের আদালতে হাজির করা হয়নি, অন্যদিকে ধর্ম ভিত্তিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদরত চরম ক্ষতিগ্ৰস্ত মুসলিম নারীদের মাসের পর মাস জেলে পুরে রাখা হয়েছে।”
দাঙ্গার তদন্তের গতিপ্রকৃতি এরকম হওয়া সত্ত্বেও উমর জামিন পেলেন না কেন? উমরের জামিনের আবেদনে বলা হয়েছিল, দাঙ্গার হিংসায় তার কোনো ‘অপরাধজনক ভূমিকা’ ছিল না, অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গেও ‘চক্রান্তকারী সংযোগ’ ছিল না। অথচ, ২০২২’র ১৮ অক্টোবর বিচারপতিরা উমরের আবেদন বিচার করতে গিয়ে এই দাবিকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করলেন না (এরজন্য খুব কিছু তথ্যপ্রমাণের উল্লেখও তাঁরা করেন নি), শুধু এক কথায় বললেন আবেদন ‘খারিজ’। দুই বিচারপতির বেঞ্চের একজন ছিলেন সিদ্ধার্থ মৃদুল যিনি দিল্লী দাঙ্গায় অভিযুক্ত ইকবাল তানাহা, নাতাশা নারোয়াল ও দেবাঙ্গনা কলিতার জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। পুলিশ অভিযুক্তদের বক্তৃতায় হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ আনলেও বিচারপতি মৃদুল সাহস ভরে বলেছিলেন — তাদের বক্তৃতায় হিংসার উস্কানি ছিল না, তারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের কথাই বলেছিল। অথচ, পরিস্থিতি ও ঘটনা একই রকম হওয়া সত্ত্বেও উমরের জামিনের ক্ষেত্রে বিচারপতিদের উপলব্ধি সম্পূর্ণ পাল্টে গেল। বিচারপতিদের ওপর কোনো চাপ কি কাজ করেছিল যারজন্য তাঁরা ন্যায়বিচারের ধারাবাহিকতা দেখাতে পারলেন না? মনে পড়ে যাচ্ছে ৯ জুন প্রেস ক্লাবের অনুষ্ঠানে — যার উল্লেখ গোড়াতেই করা হয়েছে — সাংবাদিক রাবিশ কুমারের কথা — “স্মরণে রাখুন যে এই ১০০০ দিন কেবল উমরের জেলে ঢোকার পর থেকে ১০০০ দিন মাত্রই নয়, ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার কলঙ্কের ১০০০ দিনও বটে!”
উমর খলিদ ছিলেন হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের এক প্রতীক। সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের পিছনে জাত-ধর্ম নির্বিশেষে ভারতীয়রা ছিল না, ছিল শুধু মুসলমানরাই — মোদীপন্থীদের এই অভিসন্ধিকে প্রতিপন্ন করার জন্যও সিএএ-বিরোধী প্রতিরোধে নেতৃত্ব দেওয়া উমর খলিদ ও অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করাটা শাসকদের কাছে জরুরি হয়ে পড়েছিল। আর, যেকোনো বিরোধিতাকে দমনের জন্য, ন্যায় ও আইনের শাসনকে নস্যাৎ করার জন্য, আতঙ্কের পরিমণ্ডল সৃষ্টির জন্য দানবীয় আইন ইউএপিএ’তে উমরদের গ্রেপ্তারিও মোদীদের কাছে অভিপ্রেত হয়ে উঠেছিল। এরসঙ্গে তাল মিলিয়ে বিচার বিভাগও সম্পূর্ণরূপে না হলেও অনেক ক্ষেত্রেই সংখ্যাগুরুবাদী তাড়নার দ্বারা চালিত হচ্ছে, শাসকের সুরের সঙ্গে তাদের সুর মিলে যাচ্ছে। উমর খলিদের তিন বছরের বন্দিত্ব দেখিয়ে দিল, ব্রিটিশদের মতোই বিনা বিচারে আটক রাখাকে নরেন্দ্র মোদীরা কতটা তাদের প্রশাসনিক ধারার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ করে তুলেছেন! গণতন্ত্রের কাছে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কতটা অপরিহার্য, উমর খলিদের দীর্ঘস্থায়ী বন্দিত্ব তাকেও প্রতীয়মান করল!
জয়দীপ মিত্র