দ্য নেশন ওয়ান্টস টু নো… …
nation-wants-to-know

রাত নটার প্রাইম টাইমে কেন্দ্রের শাসক দলের এক পেটোয়া সঞ্চালক একটি বিশেষ ইংরাজি টিভি চ্যানেলে অতীতের রাজা বাদশাদের মতো এক মধ্যযুগীয় দরবারের আয়োজন করেন। তিনি তাঁবেদার সাঙ্গপাঙ্গদের সহযোগিতায় পলকের মধ্যে একটি হিংস্র গ্যাং তৈরি করেন, মাঝেমধে হুঙ্কার ছাড়েন ‘দ্য নেশন ওয়ান্টস টু নো’ এবং বিরোধী স্বরকে ব্যক্ত করার কোন সুযোগ না দিয়ে সেগুলোকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করেন। এই ধরনের সার্কাসে যে কথাগুলি উল্লসিতভাবে শ্রোতাদের শোনানো হয় তা হল ভারত হচ্ছে ‘মাদার অফ ডেমোক্রেসি’ এবং বলাই বাহুল্য সেখানে বাক স্বাধীনতা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।

মে ২০২১, ট্যুইটার অফিস দিল্লী, গুরগাঁও। দিল্লী পুলিশ কোম্পানির দুটি অফিসে হানা দেয়। তাদের অভিযোগ ঐ টেক প্ল্যাটফর্ম কংগ্রেস দল সম্পর্কে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রর একটি ট্যুইটকে ‘ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া’ বলে চিহ্নিত করেছে। মোদী সরকার কোম্পানিকে ঐ লেবেল সরানোর হুমকি দেওয়ার দু’দিন বাদেই তাদের অফিসে পুলিশ হানা দেয়। জুন, ২০২৩ ব্রেকিং পয়েন্ট নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে ট্যুইটারের ভুতপূর্ব সিইও জ্যাক ডরসির অভিযোগ : কৃষক আন্দোলন চলাকালীন ভারত সরকার ঐ আন্দোলনের সমর্থনে বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন, মিডিয়ার ট্যুইট আটকে (ব্লক) দেওয়ার জন্য তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। অন্যথা ভারতে ট্যুইটার বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এও বলা হয় অফিসে তালা লাগানো হবে, কর্মচারীদের বাড়ি পুলিশ হানা দেবে। ট্যুইটার ব্যবসা, মুনাফা বোঝে, ভারতের বৃহৎ বাজারের জন্য তারা লালায়িত। ঘটনা হচ্ছে তারা সরকারের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে এবং আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থনে বহু ট্যুইটার একাউন্টকে ব্লক করতে বাধ্য হয়। মন্ত্রীমহোদয় রাজীব চন্দ্রশেখর ডরসির বক্তব্যকে ভারত-বিরোধী চক্রান্ত বলে অভিহিত করেছেন। তিনি ঘুরিয়ে তাঁর বক্তব্য সমর্থন করে বসেন যখন তিনি অভিযোগ করেন ঐ ট্যুইটার হ্যান্ডেলগুলি থেকে নাকি ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছিল, এমনকি গণহত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল।

গত দশ বছরে মোদী সরকার দেশের মূলধারার (মেইনস্ট্রিম) মিডিয়াকে নিজেদের তাঁবেদারে পরিণত করেছে। এইসব সংবাদ মাধ্যম এতোটাই বশংবদ যে লজ্জাজনক ভাবে দেশের আজ প্রায় সব প্রধান সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল গোদি মিডিয়া নামে কলঙ্কিত। কিন্তু এতো করেও তারা বিরোধী স্বরকে আটকে রাখতে পারছে না। ফেসবুক, ট্যুইটারের মতো অতিকায় টেক কোম্পানিগুলোকে তারা ধমকে চমকে দাবিয়ে রাখছে। কিন্তু ইউটিউবাররা তো ধামাকা লাগিয়ে দিয়েছে। গ্রাহক সংখ্যা দেখলেই বোঝা যায় যে এঁদের জনপ্রিয়তা উর্ধ্বগামী। (ধ্রুব রাঠির গ্রাহক ১১৪ লক্ষ, রাভিশ কুমার ৬৩ লক্ষ, করন থাপার ৪৬ লক্ষ, অজিত অঞ্জুম ৩৮ লক্ষ)। শাসকের কাছে এরা ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আছে ওয়্যার, নিউজলন্ড্রি, নিউজক্লিকের মতো নানা সরকার-বিরোধী অনলাইন সংবাদ প্ল্যাটফর্ম। তাই শুধু মূলধারার মিডিয়াকে পকেটস্থ করলেই হচ্ছে না, সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াকে পদানত করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। চুলোয় যাক বাক স্বাধীনতা! তাই আজ শ্রোতাদের পাল্টা প্রশ্ন করা আবশ্যক, দ্য নেশন ওয়ান্টস টু নো, কেন বিরোধী স্বরকে দমন করা হচ্ছে, কেন সরকারের কোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করলেই তাদের অফিসে ইডি, আইটি হানা হচ্ছে, কেন প্রতিবাদী সাংবাদিকদের হেনস্থা, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, কেন দেশের সমস্ত সংবাদ মাধ্যমকে নানা ছলচাতুরি করে শাসকের কুক্ষিগত করা হচ্ছে, এসবের উত্তর দেশ আজ জানতে চায়।

এই সমস্ত সমাজমাধ্যমগুলিকে দমন করার জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকার করোনাকাল থেকে সলতে পাকানো শুরু করেছে। মহামারির প্রকোপে যখন রাশি রাশি লাশ গঙ্গা দিয়ে বয়ে গেছে ঠিক তখনই এরা চুপিসারে বেশ কিছু জনবিরোধি আইন প্রণয়ন করেছে। এরমধ্যে একটি ছিল ইনফরমেশন টেকনোলজি রুলস, ২০২১। এর প্রধান ধারাগুলি হচ্ছে

১) যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ (৫০ লক্ষের ওপর ব্যবহারকারী) মিডিয়াকে চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করতে হবে যিনি তাঁর সংগঠন যাতে আইন মেনে চলে সেটা নিশ্চিত করবেন। তাঁর প্ল্যাটফর্মে যদি তথাকথিত দেশবিরোধী কোনো বিষয় বা ঘৃণা মন্তব্য পোস্ট হয়ে থাকে সেটার জন্য তিনিই দায়ী হবেন।

২) এই ধরনের সংগঠন সরকার বা তার কোনো এজেন্সিকে যেকোনো মেসেজের উৎস জানাতে বাধ্য থাকবে।

৩) আদালত বা কোনো সরকারি এজেন্সির যদি নির্দেশ থাকে তাহলে যেকোনো ‘বেআইনি’ মেসেজ ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে মুছে বা সরিয়ে ফেলতে হবে বা সেটা উপলব্ধ করা আটকে দিতে হবে।

প্রথমেই হোয়াটস অ্যাপ মেসেজের উৎস জানানোর নিয়মটির তীব্র বিরোধিতা করে এবং আদালতের দ্বারস্ত হয়। এই নিয়ম মানতে হলে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন (এমন একটি ব্যবস্থা যাতে অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্যরা মেসেজ পড়তে পারবে না) তুলে দিতে হবে যা ব্যবহারকারীর ব্যক্তি-স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে। প্রবল বিরোধিতার কারণে সরকার পিছু হটে। তৎকালীন আইটি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের মন্তব্যে মিটমাট করে নেওয়ার সুর শোনা যায়। তিনি বলেন ‘সাধারণ’ ব্যবহারকারীদের জন্য এনক্রিপশন সরানোর প্রয়োজন নেই, সাধারণ বলতে তিনি কাদের বোঝাচ্ছেন সেটা পরিস্কার নয়। এছাড়া কে নির্ধারণ করবে কোন মেসেজ বেআইনি? মৌলালিতে জমায়েত করার জন্য ফেসবুকে যদি পোস্ট করা হয় সরকার সেটাকে বেআইনি বলে দেগে দিতে পারে। সংবিধান এরকম একতরফাভাবে বেআইনি দেগে দেওয়ার অধিকার সরকারকে দেয়নি। অথচ সরকার ঠিক এটাই করছে। সম্পূর্ণ গাজোয়ারি ভাবে তারা বিবিসির তথ্যচিত্র, ‘দ্য মোদী কোশ্চেন’ দেখানো বন্ধ করে দিয়েছে। সমস্ত সমাজমাধ্যমে ছবিটি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে এমনকি প্রাইভেট স্ক্রিনিংয়েও পুলিশ বা গেরুয়া গুণ্ডারা হামলা করেছে।

ডিজিটাল নিউজ পাব্লিশার্স উপরোক্ত আইনের তীব্র বিরোধিতা করেন। তাঁরা বলেন, ব্যতিক্রমী কিছু জনবিরোধি পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও, প্রেস কাউন্সিল, ন্যাশানাল ব্রডকাস্টিং স্ট্যান্ডার্ড অথারিটি সংবাদ মাধ্যমকে পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করার কাজ বহু বছর ধরে দক্ষতার সাথে করে আসছে। নজরদারি করার জন্য নতুন কোনো ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই। তাঁদের অভিযোগ নতুন আইন সংবিধান ও ২০০০ সালের আইটি আইন লঙ্ঘন করছে। সরকার সম্পূর্ণ একতরফাভাবে ঐ আইন প্রণয়ন করেছে। অন্য হিস্যাদারদের সাথে কথা বলার কোনো প্রয়োজন মনে করেনি। এটা অভুতপূর্ব! অতীতে কোনো সরকার এরকম একতরফাভাবে কোনো আইন প্রণয়ন করেনি।

সরকার সমস্ত ধরনের বিরোধিতা উপেক্ষা করে এবং শুধু এটাই নয় ২০২২’র অক্টোবরে উপরোক্ত আইন আরও কঠোর করে। নতুন সংশোধন অনুযায়ী সরকার ফেসবুক, ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি কোম্পানিগুলিকে যেকোনো একাউন্ট সাসপেন্ড, ব্লক, সরিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ দিতে পারে। এছাড়া ব্যবহারকারীদের যেকোনো অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এখন তিন সদস্যের একটি গ্রিভ্যান্স এপিলেট কমিটি গঠন করেছে। এই সদস্যরা সকলেই সরকার দ্বারা নির্বাচিত। যেকোনো অভিযোগের ক্ষেত্রে এই কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং টেক কোম্পানিগুলি তা মানতে বাধ্য। অর্থাৎ শেষ কথা এখন থেকে সরকারই বলবে।

ট্যুইটারের নতুন সিইও এলন মাস্কের দেয়াল লিখন পড়তে অসুবিধা হয়নি। ভারতে তাঁদের ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় দু-কোটি। তিনি বলেই দিয়েছেন ভারত সরকারের নির্দেশ তিনি মেনে চলবেন কারণ তিনি চান না যে তাঁর কর্মচারীদের কারাবাস করতে হয়। চতুর মাস্ক মোদ্দা যে কারণ, বাজারের কথাটা চেপে গেছেন। এটা ধরেই নেওয়া যায় যে মাঝেমধ্যে কিছু খটাখটি হলেও আন্তর্জাতিক টেক সংস্থাগুলি বাক-স্বাধীনতা নিয়ে বাগাড়ম্বর করবে, কিন্তু আইন মান্য করে সরকারকে সন্তুষ্ট রাখবে। বিজেপির আইটি সেল তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভুয়ো খবর বা ঘৃণা ভাষণের সুনামি সৃষ্টি করলেও তারা না দেখার, না জানার ভান করবে। ফেসবুক ইন্ডিয়ার প্রধান আঁখি দাসের ভূমিকা স্মরণ করুন।

কিন্তু এই নতুন আইনের কারণে দেশের ইউটিউবার, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলিকে উত্তরোত্তর কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। স্বাধীন সাংবাদিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে। সরকার-বিরোধি মিডিয়া সংস্থাগুলির অফিসে ইডি, আইটি, সিবিআই নিয়মিত হানা দিচ্ছে। এমনিতে মোদী জমানায় প্রেসের স্বাধীনতা তলানিতে এসে ঠেকেছে। ২০২৩’র গ্লোবাল প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স অনুযায়ী ভারতের স্থান ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৫০। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স জানাচ্ছে সাংবাদিকদের সুরক্ষার নিরিখে ভারত বিশ্বের পাঁচটি সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশের মধ্যে একটি। তুচ্ছ কারণে সাংবাদিকদের যত্রতত্র হেনস্থা করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ এই ক্ষেত্রে অনন্য। একটি স্কুলে মিড-ডে-মিলে রুটি আর নুন দেওয়া নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে পবন জয়সয়াল নামে সাংবাদিককে পুলিশ বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্ত করে। ঐ রাজ্যেই সঞ্জয় রাণা’কে গ্রেপ্তার করা হয় কারণ তিনি মাধ্যমিক শিক্ষামন্ত্রী গুলাব দেবিকে তাঁর নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে প্রশ্ন করার জন্য দৈনিক ভাস্করের সাংবাদিকের চাকরি চলে যায়। সিদ্দিক কাপ্পানের কেস তো আমরা জানিই, বিনা অপরাধে তাঁকে দু’বছরের অধিক কারাবাস যাপন করতে হয়। রাজ্য সরকারের কোভিড পলিসির সমালোচনা করার জন্য গুজারাটের একটি ওয়েবসাইটের সম্পাদক ধবল প্যাটেলকে সিডিশন আইনে অভিযুক্ত করা হয়। মণিপুরের সাংবাদিক কিশোরচন্দ্র ওয়াংখেমকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং এনএসএ-তে অভিযুক্ত করা হয়, কারণ তিনি লিখেছিলেন যে গোবর দিয়ে কোভিডের চিকিৎসা করা যায় না। একজন আন্দোলনকারী কৃষকের মৃত্যু রিপোর্ট করার কারণে ওয়্যার, ক্যারাভ্যান ইত্যাদি সংস্থার সম্পাদকদের সিডিশন আইনে অভিযুক্ত করা হয়। কাশ্মীরে তো সাংবাদিকতা শুধুমাত্র আবহাওয়ার হালহকিকত নিয়ে লেখার স্তরে নেমে এসেছে। বহু বহু উদাহরণ দেওয়া যায়। লিখতে গেলে মহাভারত হয়ে যাবে।

মনে রাখতে হবে ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন। সংবাদ মাধ্যমগুলিকে স্তব্ধ করে দেওয়ার পরিণাম ভয়ঙ্কর হতে পারে। মে মাসে হয়ে যাওয়া তুরস্কের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত প্রণিধানযোগ্য। ভারতের মতো তুরস্কের মূলধারার মিডিয়া পুরোপুরি সরকারের তল্পিবাহক, ৮৫ শতাংশ প্রেসিডেন্ট এরদোগানের নিয়ন্ত্রণে। সেখানেও দেশের অন্যতম বৃহৎ মিডিয়া গ্রুপ এরদোগানের ঘনিষ্ঠ ধনকুবের নানা ছলচাতুরি করে করায়ত্ত করে নিয়েছে, ঠিক যেভাবে এখানে আদানি এনডিটিভিকে প্রায় জবরদস্তি দখল করে নিয়েছে। দেখা গেছে পয়লা এপ্রিল থেকে পয়লা মে’র মধ্যে ঐ দেশের সরকারি মিডিয়া টিআরটি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের নির্বাচনী প্রচারের জন্য তাঁর প্রধান বিরোধী কেমাল কিরিচদারোগলুর চেয়ে ৬০ গুণ বেশি সময় দিয়েছে। নির্বাচনের মাত্র দু’দিন আগে ঐ মিডিয়ায় এরদোগান তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে দেড় ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রবল আক্রমণ করে কিন্তু কিরিচদারোগলুকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেওয়া হয় না। নিরুপায় হয়ে বিরোধী প্রার্থিরা সোশ্যাল মিডিয়ার শরণাপন্ন হয়। কিন্তু দেখা গেছে ট্যুইটার, ফেসবুক, ইউটিউব পুরোপুরি সরকারি প্রচার চালানোতে সাহায্য করেছে। ইন্টারনেটের ওপর তুরস্ক সরকারের প্রায় একছত্র ক্ষমতা। গতবছর আইটি আইন সংশোধন করে সেই ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’এর তুরস্ক প্রতিনিধি এরল অন্দেরগ্লুর মতে তুরস্কের নির্বাচনে মিডিয়ার সাহায্যে ব্যাপক রিগিং করা হয়েছে যার ফলে মানুষ কোনো গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে।

ভারতের সাথে কী অদ্ভুত মিল পাওয়া যাচ্ছে না? মিডিয়ার স্বাধীনতা খর্ব করে এমন যে কোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে, তারস্বরে চেঁচিয়ে প্রশ্ন করতে হবে, দ্য নেশন ওয়ান্টস টু নো। সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়াকে যেকোনো উপায়ে শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে হবে। 

- সোমনাথ গুহ

খণ্ড-30
সংখ্যা-20