পঞ্চায়েত ভোটে পেশীশক্তির আস্ফালন, তার মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে তা নিয়ে আইনি লড়াই — এসব নিয়েই এখন সংবাদমাধ্যম সরগরম হয়ে আছে। শান্তিপূর্ণ রক্তপাতহীন মনোয়নন ও নির্বাচন যে গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান শর্ত — তা নিয়ে অবশ্যই কোনও সন্দেহ নেই। এই গণতান্ত্রিক লড়াই আমাদের অবশ্যই জোরকদমে লড়তে হবে। পাশাপাশি লড়তে হবে রুটি রুজির মৌলিক দাবিগুলো নিয়েও। এই লেখা এরকমই একটি মৌলিক দাবি — এমএসপি (মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস) বা ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে।
ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) হল উচ্চ ফলনশীল শস্যের ন্যূনতম দাম যা সরকার স্থির করে এবং ওই দামে চাষীদের কাছ থেকে শস্য কেনে। তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে যে দেশজোড়া বিরাট কৃষি আন্দোলন হল ও শেষমেষ সরকার পিছু হটে সেই আইন তিনটিকে বাতিল করতে বাধ্য হল, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যর প্রশ্নে সরকার ও কৃষকদের বিরোধ ছিল তার একটি।
বিক্ষোভকারী বিভিন্ন কৃষক সংগঠন অন্যান্য সমালোচকরা দাবি করেন যে, নতুন কৃষি সংস্কার আইনের ফলে বর্তমান এপিএমসি চালিত মান্ডিগুলি অবান্তর হয়ে পড়বে ও কর্পোরেট বা বড় কোম্পানিগুলির প্রভাব বিস্তার করার পথ প্রশস্ত হবে। কৃষকদের কাছে আজকের সুবিধেজনক ও স্থিতিশীল মূল্য ব্যবস্থা বানচাল হয়ে যাবে।
ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কী ও কীভাবে তা ঠিক করা হয় প্রথমে সেই কথায় আসা যাক।
ন্যূনতম সহায়ক মূল্য স্থির করে সরকার। সেটা হল ন্যূনতম দাম যা দিয়ে সরকার চাষির পণ্য কেনে। সরকারের তরফ থেকে, ওই ঘোষিত দামের কমে পণ্য কেনা হয় না। এই ব্যবস্থার উদ্দেশ্য হল, চাষীর মুনাফা নিশ্চিত করা। বিশেষ করে অতি ফলনের মরশুমে। এটাকে সরকারের দিক থেকে এক ধরনের হস্তক্ষেপ বলা যেতে পারে। যাতে অতি ফলনের সময় দাম পড়ে গেলেও, সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে পণ্য কিনে ক্ষতির হাত থেকে চাষিকে বাঁচাতে পারে। আবার, একই সঙ্গে, ওই কেনা শস্য সরকার গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে সরবরাহ করে।
কৃষি মন্ত্রকের কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্টস অ্যাণ্ড প্রাইসেসের (সিএপিসি) পরামর্শের ভিত্তিতে, মরশুমের শুরুতেই, নির্বাচিত ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করে সরকার। বর্তমানে সিএপিসি ২৩টি কৃষিজাত পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করে। সেগুলির মধ্যে রয়েছে ৭ রকমের শস্য (ধান, গম, ভুট্টা, জোয়ার, বাজরা, বার্লি, রাগি), ৫ ধরনের ডাল (ছোলা, তুর, মুগ, উড়াদ, মসুর), ৭ ধরনের তৈল বীজ (চিনে বাদাম, রেপসিড, সরষে, সোয়াবিন, তিল, সূর্যমুখী, নাইজার বীজ, সানফ্লাওয়ার), ও ৪ ধরনের বাণিজ্যিক পণ্য (নারকেলের ছোবড়া, আখ, তুলো, কাঁচা পাট)।
এগুলির মধ্যে ১৪ রকমের খরিফ শস্য বা বর্ষাকালীন ফসল হল সাধারণ এবং গ্রেড-এ ধান, শঙ্কর ও মালডান্ডি প্রজাতির জোয়ার, বাজরা, ভুট্টা, রাগী, অরহড় ডাল, মুগ ডাল, বিউলির ডাল, খোসা সুদ্ধ বাদাম, সয়াবিন, সূর্যমুখী, তিল, নাইজের বীজ, মাঝারি ও বড় আঁশ যুক্ত কাপাস। ৬ রকমের রবিশস্য হল — গম, বার্লি, দানাশস্য, মশুরডাল, রেপসিড ও সর্ষে, সূর্যমুখী। এছাড়া দুরকমের বাণিজ্যিক ফসল — পাট ও নারকেলের শুষ্ক শীষেরও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষিত হয়েছে।
ন্যূনতম সহায়ক মূল্য এমন ভাবে ঠিক করা হয় যাতে চাষ উৎপাদনের খরচ মিটিয়ে লাভ করতে পারে। ২০১৮-১৯’র কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার সময়, তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ঘোষণা করেছিলেন যে, ন্যুনতম সহায়ক মূল্য হবে উৎপাদন খরচের ১.৫ গুণ।
ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঠিক হয়ে গেলে, কেন্দ্রের ক্রেতা, খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রকের অধীনে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া ও রাজ্যের সংস্থাগুলি, ওই দামে পণ্য কিনতে শুরু করে। বর্তমানে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কেনার ব্যবস্থা কেবল গম আর ধানের ক্ষেত্রেই চালু আছে।
কী পরিমাণ শস্য কেনা হবে, তা নির্ভর করে লক্ষ্যমাত্রার ওপর। আর সেই কারণে, পরিমাণটা বিভিন্ন রাজ্যে আলাদা হয়। এক্ষেত্রে পঞ্জাবের অবস্থান অন্য সব রাজ্য থেকে আলাদা। এ কারণেই কৃষক আন্দোলনের ভরকেন্দ্র ছিল এই রাজ্যটি।
ভারতে ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের পরেই পঞ্জাবের স্থান। দেশের ধান উৎপাদনের ১১.৫ শতাংশ হয় পাঞ্জাবে। এবং গমের ক্ষেত্রে, উত্তরপ্রদেশের পরেই আছে পঞ্জাব। দেশে গম উৎপাদনের ১৭.৯ শতাংশ আসে ওই রাজ্য থেকে। কিন্তু সরকারের কেনা ধানের ৬২ শতাংশ আর গমের ৩২.৬ শতাংশ আসে পঞ্জাব থেকে।
২০২০-২১ সালের রবি শস্যের মরসুমে, কেন্দ্রের গম কেনার ক্ষেত্রে, মধ্যপ্রদেশের অবদান ছিল ৩৩.২ শতাংশ। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কার্যকর করা ও সরকারের শস্য কেনার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির মধ্যে তারতম্য ঘটে। যেখানে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে প্রচুর পরিমাণে ধান ও গম কেনে সরকার, সেখানে খোলা বাজারেও দাম ওই সহায়ক মূল্যের কাছাকাছি থাকে (যেমন, পঞ্জাব ও হরিয়ানায়)। কিন্তু যেখানে সরকার অল্প পরিমাণে কেনে বা কেনেই না, সেখানে বাজারে দাম ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের অনেক নীচে থাকে।
ফলে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ও সেই সঙ্গে সরকারি ক্রয় সাধারণত কৃষকদের সুবিধে করে দেয়। কারণ, বেসরকারি ক্রেতাদেরও সহায়ক মূল্যের কাছাকাছি দাম দিতে হয়।
সরকার যে তিনটি কৃষি আইন এনেছিল তার একটি আইন ছিল ‘কৃষি পণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন আইন ২০২০’। এই আইন এগ্রিকালচারাল প্রডিউস মার্কেট কমিটির (এপিএমসি) বাজারের বাইরেও বাজার স্থাপন করার অনুমতি দেয়। এরকম আইন হলে শস্য কেনাবেচার জন্য নতুন বাজার তৈরি হবে এবং সেখানে কৃষক ও ক্রেতাদের ওপর কোনও কর চাপাতে পারবে না রাজ্য। যেমনটা এখন করা হয় এপিএমসি মান্ডিগুলিতে।
বিক্ষোভরত চাষিদের আশঙ্কা যে, দু’টি বাজারে ভিন্ন কর ব্যবস্থা চালু হলে (এপিএমসি করযুক্ত, নতুন বাজার করমুক্ত), স্বাভাবিক ভাবেই করমুক্ত বাজার ব্যবসা দখল করে নেবে। এবং এপিএমসি বাজারে লেনদেন কমে যাওয়ার ফলে, সেখান থেকে কর বাবদ রাজ্যের যথেষ্ট আয় না হলে, হয়তো এপিএমসি ব্যবস্থাটাকেই তুলে দেওয়ার দিকে এগোবে রাজ্য।
গ্রামীণ অর্থনীতির ওপর একজন বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক পি সাইনাথ, ইন্ডিয়া টুডে’তে রাজদীপ সারদেশাইয়ের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, বিশেষ করে পঞ্জাব ও হরিয়ানাতে কৃষক বিক্ষোভ বেশ বড় আকার ধারণ করেছে। কারণ, তিনি বলেন, কৃষকরা আশঙ্কা করছেন যে, এই নতুন আইন, বর্তমান মান্ডি ব্যবস্থা ও রাজ্য দ্বারা ক্রয়ের নিশ্চয়তাকে খর্ব করবে। তাছাড়া, সরকারের সংঘাতপূর্ণ মনোভাব পরিস্থিতিকে আরও ঘোরাল করে তুলেছে। উনি আরও বলেন যে, “কেনার নিশ্চয়তা না থাকলে, সহায়ক মূল্য বাড়ানোটা অর্থহীন হয়ে পড়ে”।
সহায়ক মূল্যে সরকার যদি শস্য কেনা বন্ধ করে দেয়, তা হলে গণবন্টন ব্যবস্থাও সঙ্কটে পড়তে পারে। জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন ২০১৩ অনুযায়ী, জনসংখ্যার ৬৭ শতাংশ মানুষকে কম দামে খাদ্যশস্য (চাল, গম, বাজরা) দেওয়ার কথা সরকারের। ক্ষুধা সূচক সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতের অবস্থান ভালো নয়। গ্লোবাল হাঙ্গার ইন্ডেক্সে ১০৭টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ৯৪ (বছর বছর কিছু আগুপিছু হলেও মোটের ওপর চিত্রটি বরাবরই বেদনাবহ)। অথচ, ভারত একটি খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানো ও সেই মূল্যে সরকারের ফসল কেনা নিশ্চিত করাটাই এখন কৃষক আন্দোলনের অন্যতম প্রধান দাবি।
কৃষি সঙ্কটের এই যুগে বেশি লাভ হোক না হোক, অন্তত ন্যূনতম সহায়ক মূল্যতে যাতে ফসল বিক্রি করা যায়, তা ভারতের প্রায় সমস্ত কৃষকেরই এক সাধারণ চাহিদা। তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করার পরও এই নিয়ে কৃষকদের ধারাবাহিক দাবিদাওয়ার কথা বিভিন্ন কৃষক সংগঠন নিয়মিত জানিয়ে যাচ্ছে। সরকার এই নিয়ে কী ভাবছে ও পদক্ষেপ নিচ্ছে এই লেখায় সেটা প্রথমে দেখে নেওয়া যাক।
মনে রাখতে হবে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সার্বিকভাবে সারা দেশের জন্য নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল বা রাজ্যের কথা ভাবা হয় না। ফলে বাংলার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফসল — যেমন আলু — এই তালিকায় নেই।
প্রতি কৃষি মরসুমেই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বদলানোর দরকার পড়ে। কারণ উৎপাদন ব্যয় বদলায় বাজারের পরিস্থিতি বদলায়। সরকার দাবি করেছে কৃষকদের ন্যায্য দাম পাওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতেই তারা ২০২২-২৩ রবি বিপণন মরশুমে রবি শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করেছে। গতবছরের তুলনায় এবার মুসুর ডাল, রাই সরষে এবং সরষের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে সর্বোচ্চ ক্যুইন্টাল প্রতি ৪০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে, ছোলার ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ক্যুইন্টাল প্রতি ১৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। কুসুম ফলের ক্ষেত্রে গতবছরের তুলনায় এবার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ক্যুইন্টাল প্রতি ১১৪ টাকা বেড়েছে। একইভাবে, গমের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য গতবছরের ক্যুইন্টাল প্রতি ১ হাজার ৯৭৫ টাকা থেকে বেড়ে এবার ২০১৫ টাকা হয়েছে। বার্লির ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য এবার ক্যুইন্টাল প্রতি আরও ৩৫ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৬৩৫ টাকা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি ২০২২-২৩ বিপণন বর্ষে বিভিন্ন খরিফ শস্যের জন্য যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য অনুমোদন করেছে সেগুলো দেখা যাক।
সাধারণ ধানের জন্য উৎপাদনে ব্যায় হয়েছে কুইন্টাল প্রতি ১ হাজার ৩৬০ টাকা। এই হিসেবে ২০২২-২৩ বিপণন মরশুমে সাধারণ ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারিত হয়েছে কুইন্টাল প্রতি ২০৪০ টাকা। এ গ্রেডের ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ২০৬০ টাকা।
শঙ্কর প্রজাতির জোয়ারের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ধার্য হয়েছে ২০৯৭০ টাকা। কুইন্টাল প্রতি মালডান্ডি জোয়ারের ক্ষেত্রে ২০৯৯০ টাকা, বাজরার ২০৩৫০ টাকা, রাগি ৩৫৭৮ টাকা, ভুট্টা ১৯৬২ টাকা, অড়হরের ডাল ৬৬০০ টাকা, মুগ ৭৭৫৫ টাকা, বিউলির ডাল ৬৬০০ টাকা, চিনাবাদাম ৫৮৫০ টাকা, সূর্যমুখীর বীজ ৬৪০০ টাকা, হলুদ সোয়াবিন ৪৩০০ টাকা, তিল ৭৮৩০ টাকা, নাইজার বীজ ৭২৮৭ টাকা, মাঝারি আঁশযুক্ত তুলো ৬০৮০ টাকা এবং লম্বা আঁশযুক্ত তুলোর জন্য ৬০৮০ টাকা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারিত হয়েছে। সরকার তার এক বিবৃতিতে জানায় যে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের বাজেট পেশের সময় গৃহীত নীতি — ফসল উৎপাদনের মোট ব্যয়ের ৫০ শতাংশ বেশি হারে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করা হবে — অনুযায়ীই ২০২২-২৩ কৃষি বিপণন মরশুমে খরিফ শস্যের এই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেইসঙ্গে এও জানানো হয় যে বাজরা, অড়হর, বিউলির ডাল, সূর্যমুখীর বীজ, সোয়াবিন এবং চিনাবাদামের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কৃষি কাজে ব্যয়ের থেকে যথাক্রমে ৮৫ শতাংশ, ৬০ শতাংশ, ৫৯ শতাংশ, ৫৬ শতাংশ, ৫৩ শতাংশ এবং ৫১ শতাংশ বেশি ধার্য হয়েছে।
সরকারের দাবি বিগত কয়েক বছর ধরে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের পরিমাণ ক্রমশ বৃ্দ্ধি করা হচ্ছে। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী শস্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিকাজে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এসবের ফলে দেশে কৃষি উৎপাদন বাড়ছে বলে সরকার দাবি করেছে। সরকার প্রদত্ত পরিসংখ্যান জানাচ্ছে যে ২০২১-২২ সময়কালের তৃতীয় মূল্যায়ণ অনুযায়ী দেশে শস্য উৎপাদন হয়েছে ৩১ কোটি ৪৫ লক্ষ ১০ হাজার টন। ২০২১-২২ সময়কালের তুলনায় যা ৩৭ লক্ষ ৭০ হাজার টন বেশি। ২০২১-২২ সময়কালে আগের ৫টি অর্থবর্ষের সময়কালের গড় হিসেবে ২ কোটি ৩৮ লক্ষ টন শস্য বেশি উৎপাদিত হয়েছে।
বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে কৃষকদের দাবির ভিত্তিতে সরকার যেন ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ফসল কেনে এবং এই সংক্রান্ত হয়রানি রুখতে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা যেন সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে সেই দাবিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ময়দানকে মুখরিত করে তুলতে হবে।
- সৌভিক ঘোষাল