আজ ভারতবর্ষে শাসনতন্ত্র কার্যনির্বাহী সংস্থার বিরামহীন আগ্রাসন দ্বারা চালিত হচ্ছে, যা এই আইন সভাকে আইন তৈরি করার এক বাধ্য হাতিয়ারে পরিণত করেছে। বিচারবিভাগ কোনো সংশোধনমূলক পদক্ষেপের নির্দেশ দিলে তা কার্যনির্বাহী অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে নিতান্ত তাচ্ছিল্যভরে খারিজ করা হচ্ছে। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসাবে কথিত সংবাদমাধ্যম কিন্তু আজ কারণ মিডিয়া আজ বেশ সাবলীলভাবে নিজেকে (সরকারের) এক সহযোগী হিসেবে সাজিয়ে গুছিয়ে তুলেছে যার স্বেচ্ছা-দায়িত্ব হল সরকারি অ্যাজেন্ডার ওকালতি আর তার জাঁকালো প্রচার এবং ‘মহোত্তম’ নেতার বিজ্ঞাপনী মাধ্যম হিসেবে কাজ করা। ক্ষমতার পৃথকীকরণ এবং প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা — যেগুলি ভারতে সাংবিধানিক গণতন্ত্রের টিকে থাকার জন্য বিগত সাতটি দশক ধরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল — আজ তাকে আঘাতে আঘাতে দুমড়ে মুচড়ে বিপর্যস্ত করে ফেলা হয়েছে।
ক্ষমতার এই আগ্রাসী কেন্দ্রীকরণকে এগিয়ে নিয়ে নির্বাচনী মল্লভূমে এক বিরাট ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে। নির্বাচিত ৫৪৩ সদস্যের সংসদে শাসক দল ও প্রধান বিরোধীদলের মধ্যে ব্যবধান ২৫০! রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে পরিস্থিতিতে তবু খানিকটা ভারসাম্য রয়েছে যেহেতু কয়েকটি নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়েছে বা তার কুর্সি দখল রুখে দেওয়া গেছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে মোদী সরকার বারে বারে অ-বিজেপি রাজ্য সরকারগুলোকে উল্টে দিয়েছে। আর যেখানে দল ত্যাগ ইত্যাদি কৌশলের আশ্রয় নিয়ে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত না করতে পারছে, সেখানে নিরন্তর ক্ষিপ্ত প্রতিহিংসার লড়াই লড়ে যাচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সি বা রাজ্যপাল বা লেফটেন্যান্ট গভর্নর-এর অফিসের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। পূর্ণমাত্রার নির্বাচনী স্বৈরাচারের নেপথ্যে রয়েছে শাসকদল বিজেপি’র ৫০ বছর ধরে ‘রাজ’ করার আর বহুদলীয় গণতন্ত্রকে কোণঠাসা করে একদলীয় কঠোর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার স্বপ্ন। সেই ভয়ঙ্কর দুর্বিপাক থেকে ভারতকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই চাই একটি ঐক্যবদ্ধ জেদী রাজনৈতিক বিরোধিতা।
১৯৭৭ পর্যন্ত কেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্নভাবে কংগ্রেস রাজত্ব করেছে। তিন দশক ব্যাপী দীর্ঘ কংগ্রেসী শাসনের শেষ কয়েকটি বছর দেশে জারি ছিল অভ্যন্তরীণ জরুরি অবস্থার পরিস্থিতি। সাংবিধানিক গণতন্ত্র স্বৈরশাসনের বিপজ্জনক ফাঁদে রাহুগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। সেই রাহুমুক্তি ঘটলো ১৯৭৭-এর নির্বাচনে। দক্ষিণপন্থী আর মধ্য দক্ষিণপন্থী কয়েকটি দলের স্বল্প-স্থায়ী জোটের মাধ্যমে গড়ে ওঠা জনতা দল কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসকে উৎখাত করে। ১৯৭৭ পরবর্তী পর্যায়ে ঘন ঘন সরকার পাল্টেছে। আর তখন থেকেই প্রভাবশালী এক-দলীয় শাসনের পরিবর্তে ক্রমশ মিলি-জুলি সরকারের যুগ ভারতীয় রাজনীতিতে জায়গা করে নিয়েছিল। আরএসএস এই বিবর্তন প্রক্রিয়াকে ধারাবাহিকভাবে কাজে লাগিয়ে তার প্রভাব ও সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক ক্রমশ বাড়িয়ে গেছে। ১৯৭৭এ জন সঙ্ঘ ভেঙে জনতা পার্টিতে মিশে যাওয়া এবং ১৯৮০র দশকে ‘ভারতীয় জনতা পার্টি’ নামে নব সজ্জায় তার আত্মপ্রকাশ, ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি তার মূল অ্যাজেন্ডার সবচেয়ে বিতর্কিত কয়েকটি বিষয় সরিয়ে রাখা থেকে পর পর দু’টি লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর তার হিন্দুরাষ্ট্রের গোটা প্রকল্প প্রকাশ্যে বলবৎ করা – এই গোটা প্রক্রিয়ায় সঙ্ঘ-বিজেপি প্রতিষ্ঠান শক্তি বাড়ানোর জন্য একদিকে যেমন সামাজিক আলোড়ন অন্যদিকে ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের সব রাজনৈতিক পন্থাগুলিকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়েছে।
তবে বিজেপি’র একতরফা রাজনৈতিক আধিপত্য শুধু যে এক স্বৈরাচারী শাসকের হাতে ক্ষমতার লাগামছাড়া কেন্দ্রীকরণ ঘটিয়েছে, তা নয়। সঙ্ঘ-বিজেপি বাহিনী তার নির্বাচনী জয়গুলিকে ভারতকে যেমন রাষ্ট্রগতভাবে তেমনই ভারতীয় সমাজকেও, নতুন করে ঢেলে সাজানোর লাইসেন্স হিসাবে ব্যবহার করে চলেছে। আর সেই কাজটা চলছে আরএসএস-এর বিশ্ববীক্ষা এবং হিন্দুত্বের বা হিন্দু আধিপত্যকামী সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদের কাঠামো অনুযায়ী। আজ মোদী সরকার ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণের জন্য যতটা চিহ্নিত ততটাই দায়ী হিংসার বিকেন্দ্রীকরণ অর্থাৎ দেশ জুড়ে হিংসাকে ছড়িয়ে দেওয়া এবং বিদ্বেষমূলক অপরাধকে সমাজে জলভাত করে তোলার জন্য। বেলাগাম কর্পোরেট লুঠ, চরম রাষ্ট্রীয় উৎপীড়ন এবং তার সঙ্গতকারী নজরদারি সন্ত্রাস ভারতকে একটি ভয়ের প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত করেছে যেখানে নাগরিকরা ক্রমশ এক নজরদার রাষ্ট্রে শৃঙ্খলিত সমাজের ভীত-সন্ত্রস্ত অধিবাসীতে রূপান্তরিত হচ্ছে। রাজনৈতিক বিরোধীদের সঙ্গে সব সময় প্রতিহিংসামূলক আচরণ চলছে। মতাদর্শগতভাবে যারা বিরোধী তাদের লাগাতার নির্যাতন হেনস্থা কারাবাস অথবা ডাইনী-খোঁজের শিকার হতে হচ্ছে। দলিত, আদিবাসী মহিলা এবং নিপীড়িত দরিদ্র মানুষের ওপর নির্যাতন বেড়েই চলেছে। আর সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিমদের বিদ্বেষমূলক প্রচার, বহিষ্কার, এমনকি সরাসরি গণহত্যার হিংস্রতার নিশানা করা হচ্ছে। রাজনীতি যখন হয়ে ওঠে ক্ষমতার এক ঘৃণাবর্ষী অনুশীলনের হাতিয়ার, যে ক্ষমতায় মানুষের কল্যাণ চিন্তার লেশমাত্রও নেই, দেশ তখন এক সর্বগ্রাসী নৈরাজ্যের কবলগ্রস্ত হতে বাধ্য। মণিপুরে আজ যা ঘটছে তা আগামীকালের গোটা ভারতের জন্য এক সতর্ক বার্তা।
স্পষ্টতই, ভারতের গতিপথের সংশোধন অত্যন্ত জরুরি। সংবিধানে ঘোষিত সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্ম নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসাবে ভারতের স্বপ্ন, একশো কোটির বেশি মানুষের জন্য অধিকারের সনদসহ ব্যবহারিক গণতন্ত্র এবং সমস্ত নাগরিকের স্বাধীনতা, বৈচিত্র্যের মধ্যে একতা ও মিশ্র সংস্কৃতির সামাজিক বুনোট এবং রাজ্যগুলির একটি ইউনিয়ন হিসাবে ভারতকে পরিচালনার জন্য একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো — কোনকিছুকে আর ‘নিশ্চিত’ হিসেবে ধরে নেওয়া চলবে না। আধুনিক ভারতের সাংবিধানিক অভিযাত্রা যার সঙ্গে আমাদের পরিচয় আছে, যা আমরা উপলব্ধি করে এসেছি পঁচাত্তর বছর আগে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে — আজ তাকে বিপথগামী করার হুমকি নিয়ে সামনে হাজির ফ্যাসিবাদী হিন্দু আধিপত্যকামী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের এক বিকল্প গতিপথ।
আমাদের তাই আজ ভারতবর্ষের মানুষের জন্য চাই নতুন সামাজিক চুক্তি, নতুন ব্যবস্থা। এটা শুধু মোদী সরকারকে নির্বাচনের মাধ্যমে উৎখাত করলেই অর্জিত হবে না। ভারতকে অবশ্যই শাসনের প্রচলিত নীতি ও পদ্ধতি সম্পর্কে নতুনভাবে ভাবতে ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি অনুযায়ী দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। এসব নীতি ও পদ্ধতির অনেকগুলি আবার মোদী সরকারের আগের আমলের, যার মধ্যে ইউপিএ-ও আছে। কর্পোরেট-মুখী অর্থনৈতিক ছাড়/অনুমোদন এবং বেসরকারিকরণ, আধার এবং জিএসটি অথবা ইউএপিএ এবং ‘ফেক এনকাউন্টার’ — মোদী-আমলের এইসব বিপর্যয় ও হামলার সূত্রপাত হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে অ-বিজেপি সরকারের আমলে।
বিরোধীদলগুলির বহু প্রতীক্ষিত প্রথম বৈঠককে এক দীর্ঘ চাহিদা তালিকায় ভারাক্রান্ত করাটা এক অর্বাচীন ভাবনা। বৈঠক যে হচ্ছে এটাকেই একটা ইতিবাচক সূচনা হিসেবে দেখা উচিত। ঘটনাক্রমে, চার মাস আগে, পাটনায় সিপিআই(এমএল)-এর ১১তম কংগ্রেস উপলক্ষে গত ১৮ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ‘গণতন্ত্র বাঁচাও, ভারত বাঁচাও’ কনভেনশনে এই রকম একটি বৈঠকের কথা জোরের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছিল। অ-বিজেপি রাজনৈতিক দলগুলোর এক ব্যাপক-ভিত্তিক বৈঠক হচ্ছে, নিজের শক্তিতে বেড়ে ওঠা ও টিঁকে থাকা এবং বিশ্বাসযোগ্য এক বিকল্প গড়ে ওঠার প্রথম ধাপ। এই বিকল্পকে, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের পর পর দু’বারের শাসনে চাপিয়ে দেওয়া বিপর্যয় থেকে ভারতকে উদ্ধার করতে হবে। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির সুবিস্তৃত পরিসরের দলগুলোর এক প্রত্যয় জাগানো সমন্বয়ের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এর মধ্যে আছে কংগ্রেস ও তার শাখা প্রশাখা, সমাজবাদী ধারার অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দল, পুরোনো লোক দল ও জনতা দলের শাখা-প্রশাখা সহ সামাজিক ন্যায়ের শিবির, বিভিন্ন কমিউনিস্ট পার্টি, কয়েকটি আঞ্চলিক দল এবং আম আদমি পার্টি, একটি স্বীকৃত জাতীয় দলের মর্যাদা অর্জনে সর্বশেষ সংযোজন। এই ধরনের একটি কোয়ালিশন কি টিঁকে থাকতে পারবে? বর্তমানে একই ধরনের কোয়ালিশন তামিল নাড়ু ও বিহারে সক্রিয়। আর আমাদের ভুললে চলবে না, ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ইউপিএ দু’টি পূর্ণ মেয়াদ বহালতবিয়তে কাটিয়ে ফেলেছিল। সুতরাং এটা ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে যে, মোদী সরকার যে জটিল বিপন্নতার জলাভূমিতে দেশটাকে ডুবিয়ে দিয়েছে, সেই পাঁক থেকে টেনে বার করে আনার জন্য এক স্থিতিশীল মতৈক্য গড়ে উঠতেই পারে, এক সমঝোতার পরিস্থিতি উদ্ভূত হতেই পারে।
এই মুহূর্তে, বিরোধী ঐক্য প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আছে এমন কিছু দল যাদের পরস্পরের মধ্যে অনেক বৈসাদৃশ্য আছে। আবার অনেকে একই রণাঙ্গণে পরস্পরের প্রতিযোগী। প্রতিযোগিতা থেকে সহযোগিতায় রূপান্তর —চাইলে একে সহযোগিতামূলক বিতর্ক বলতে পারেন — অবশ্যই একটি অনুকূল পরিবেশ এবং সক্ষম কাঠামো গড়ে ওঠা ও উদ্ভূত হওয়ার লক্ষ্যে কিছু উদ্যোগ নিতে চলেছে। একটি যুক্তিসঙ্গত ও পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য আসন-ভাগাভাগির ব্যবস্থায় কিছু ঝামেলা-ভাগাভাগির ব্যাপারও থাকে। কিন্তু ভারত বর্তমানে যে অভূতপূর্ব এবং অসাধারণ রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতের মুখোমুখি তা ঐক্যকে আবশ্যিক ও বাধ্যতামূলক করে তুলেছে।
বহুদিক থেকেই এটা ভারতের দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম। ১৯৪৭-পূর্ব স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়, রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও সামাজিক রূপান্তরের আন্দোলনের কতগুলি প্রবাহ ও বৈচিত্র্য ছিল যেগুলি শেষপর্যন্ত এসে এক বিন্দুতে মিলেছিল এবং পরস্পরের সহযোগী হয়েছিল। এই টানাপোড়েনের, চড়াই-উতরাইয়ের ইতিহাস থেকেই বেরিয়ে এসেছে আমাদের সংবিধান। আর আম্বেদকরের সুদূরদর্শী ভবিষ্যৎ দৃষ্টি আমাদের সেই সব সংঘাত ও চ্যুতিরেখা সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিল, গণতন্ত্রকে সক্রিয় ও অর্থবহ করে তোলার জন্য ভারতকে যা অতিক্রম করতে হবে। আজ সাংবিধানিক দৃষ্টি এবং আধুনিক ভারতের বুনিয়াদ ভয়ঙ্করতম এক হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে। কয়েকবছর ব্যাপী এই ফ্যাসিবাদী হামলার পর গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার ও নব তেজে দীপ্তিমান করে তোলার জন্য আজ ভগৎ সিং, আম্বেদকর, পেরিয়ার, গান্ধী এবং নেহেরুর উত্তরাধিকারকে একসঙ্গে আত্মস্থ করে নিতে হবে আমাদের।
স্বাধীনতা সংগ্রামের সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার ছাড়াও, সংসদীয় গণতন্ত্রের সাতটি দশক ‘আমরা, ভারতের জনগণ’কে বহুল পরিমাণে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ করেছে। এই সাতটি দশকের গর্ভ থেকে বেরিয়ে এসেছে নতুন নতুন বিভিন্ন দল, যেগুলোর অনেক ক'টির শিকড় আবার সামাজিক, আঞ্চলিক এবং জাতিসত্তাগত পরিচিতির মধ্য প্রোথিত। এই পার্টিগুলিকে বিচ্ছিন্ন এবং বিসদৃশ গঠনের হিসাবে দেখার পরিবর্তে আমাদের জরুরি দরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক পরিসরকে সামনে তুলে ধরা যেখানে সব দলগুলিরই অংশগ্রহণ থাকবে। অসাধারণ পরিস্থিতি অসাধারণ প্রতিক্রিয়া দাবি করে — আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতের সত্যিই প্রয়োজন সব বিরোধীশক্তির একসঙ্গে কর্মসূচি নির্ধারণ করে সর্বোত্তম উদ্যোগে সামনে এগিয়ে যাওয়া। মানুষের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে তাদের অধিকার, তাদের নিশ্চিত জীবিকা, তাদের মুক্তি ও ন্যায়ের তালাশ, স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে সেই খোঁজ। বিরোধী ঐক্যের প্রক্রিয়াকে প্রাণশক্তিতে উজ্জীবিত হতে হলে যেতে হবে তৃণমূলস্তরের সেই সব মানুষের কাছে, তাদের লড়াই আর তাদের আশা আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধন গড়ে তুলতে হবে। রক্ত-ঘামের উষ্ণতাভরা বন্ধন!
এমএল আপডেট সম্পাদকীয়, ২০ জুন, ২০২৩