ভারতের নানা রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও কৃষিক্ষেত্রে এখন ব্যাপক সঙ্কট। আর এই সঙ্কটের মুখে গ্রামীণ অকৃষি কর্মকাণ্ডর গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে। এই কর্মকাণ্ডর একটা বেসরকারী উদ্যোগের দিক আছে — যেমন নির্মাণ শিল্প, যেখানে গ্রামীণ শ্রমিকরা পরিযায়ী হয়ে শহর, শহরতলী বা দূরের মহানগরে কাজ করতে চলে যান। আছে গ্রামের মধ্যেই বা কাছাকাছি গড়ে ওঠা বিড়ি শিল্প, জড়ি শিল্প, ভেড়ী, পোলট্রি, ডেয়ারী, ইঁটভাটা, বিভিন্ন রকম খাদান বা ছোট মাঝারী শিল্প উদ্যোগ — যেমন আলমারি, রঙ, গ্রীল কারখানা ইত্যাদি। গ্রামীণ অকৃষি কাজের এই প্রধান ক্ষেত্রটির পর্যালোচনা পরবর্তী একটি লেখায় আলাদাভাবে করার আগে আমরা এই লেখায় দেখে নিতে চাই সরকারী উদ্যোগ পোষিত গ্রামীণ অকৃষি ক্ষেত্রের চেহারাটা।
সরকার পোষিত গ্রামীণ অকৃষি ক্ষেত্রের মধ্যে প্রধান হল আশা প্রকল্প, মিড-ডে-মিল প্রকল্প, অঙ্গনওয়ারী প্রকল্প, সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্প, এনআরইজিএ প্রকল্প প্রভৃতি।
ভারত সরকারের পরিবার ও স্বাস্থ্যকল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে ২০০৫ সাল থেকে ভারতের গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণ দিয়ে মহিলাদের নিয়োগ করা শুরু হয়। আশা কর্মী নামে পরিচিত এই মহিলাদের কাজ হল এলাকায় স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করা। জননী যেন হাসপাতালে প্রসব করেন সেটা দেখা, নবজাতক ও নবজাতিকার টীকাকরণ যেন সঠিক ও নিয়মিত হয় সেদিকে লক্ষ রাখা, পরিবার পরিকল্পনায় উৎসাহ দেওয়া, সাধারণ অসুখ ও আঘাতে প্রাথমিক চিকিৎসা করা, গ্রামীণ পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখা, জন্ম মৃত্যুর হিসেব রাখার মতো নানাবিধ কাজ আশা কর্মীদের করতে হয়।
আশা কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চনার শিকার। একসময় তাঁদের মাসিক ভাতা ছিল না। কাজভিত্তিক কিছু ভাতা ছিল। দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে অবশ্য সামান্য মাসিক ভাতা এখন চালু হয়েছে।
বর্তমানে আশা কর্মীদের প্রাপ্তি এরকম বলে সরকারী ঘোষণা জানিয়েছে,
আশা কর্মীরা মাসিক বেতন স্বরূপ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে ৪৫০০ টাকা পাবেন। মাসিক বেতন ছাড়াও তারা আরো কিছু অতিরিক্ত ভাতা পাবেন।
সরকারি হাসপাতালে গর্ভবতী মহিলার সন্তান প্রসব, প্রতি সন্তান ৩০০ টাকা।
পালস পোলিও প্রোগ্রাম, দৈনিক ৭৫ টাকা।
মিসেলস্ রুবেলা ভ্যাকসিন-১, (১ বছর বয়সী শিশু) ১০০ টাকা।
মিসেলস্ রুবেলা ভ্যাকসিন-২, (২ বা তার কম বছরের বয়সী শিশু) ৭৫ টাকা।
ডিপিটি ভ্যাকসিন, (১.৫ বছর বয়সী শিশু) ৭৫ টাকা।
ডিপিটি ভ্যাকসিন, (৫ বছর বয়সী শিশু) ৫০ টাকা।
যক্ষা রোগাক্রান্ত রোগীদের ওষুধ ডেলিভারি, প্রতি রোগী পিছু ১০০০ টাকা।
সার্ভে সংক্রান্ত কাজ, ৩০০ টাকা।
এছাড়াও বলা হয়েছে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য তারা এবার থেকে ২০০ টাকা করে উৎসাহ ভাতা পাবেন।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধীকরণে সহায়তার জন্য তাদেরকে সপ্তাহে একদিন করে উপস্থিতির জন্য ৬০ টাকা করে দেওয়া হবে।
শিশুদের টিকাকরণের তালিকা তৈরি ও আপডেট করার জন্য তাদের একই পরিমাণে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হবে।
গর্ভবতী মহিলাদের তালিকা তৈরি ও আপডেট করার কাজের জন্যও সপ্তাহে একদিন তারা ৬০ টাকা করে উৎসাহ ভাতা পাবেন।
নির্দিষ্ট দিন সরকারি ছুটি থাকলে অন্যদিন ওই একই কাজের জন্য আশা কর্মীরা একই হারে ভাতা পাবেন।
জননী সুরক্ষা যোজনায় গর্ভবতী মহিলাদের নাম নথিভুক্ত করা প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আশা কর্মীদের ১০০ টাকা করে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হবে।
ওই প্রকল্পে নথিভূক্ত গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভকালীন পরিষেবা দেওয়ার জন্য মহিলা পিছু আশা কর্মীরা ২০০ টাকা করে উৎসাহ ভাতা পাবেন।
ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী মহিলাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে সহায়তা করার জন্য তাদের মহিলা পিছু ৩০০ টাকা করে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হবে।
এই ধরনের ঘটনায় শিশু জন্মের ৪৫ দিন পর্যন্ত প্রসূতি মা ও নবজাতক সুস্থ থাকলে আশা কর্মীদের ৫০০ টাকা করে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হবে।
এছাড়া জনস্বাস্থ্য কর্মসূচি, ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার মতো সংক্রমক রোগ নির্ণয় প্রকল্পে সহায়তা, ক্যান্সার ডায়াবেটিস কার্ডিওভাসকুলার রোগের নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে কাজ করার জন্য তারা বর্ধিত হারে উৎসাহ বাধা পাবেন বলে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়।
আশাকর্মীদের নিয়ে তৈরি সংগঠনগুলি বারেবারে জানিয়েছে যে মাসিকভাতা ও উৎসাহভাতা বাড়ানো দরকার। এই সামান্য আয়ে এই মূল্যবৃদ্ধির দিনে সংসার কিছুতেই চালানো সম্ভব নয়। তাঁরা এও জানিয়েছেন যে ভাতাগুলি পাওয়া নিয়ে তাদের মাঝে মধ্যেই নানা সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়াও আশা কর্মীদের প্রায়শই হাসপাতালে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নানারকম দুর্ব্যবহার সহ্য করতে হয়। দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অপেক্ষা করতে হলেও ন্যূনতম কোনও ঘর মহিলা আশা কর্মীদের জোটে না। এই সব সমস্যার প্রশ্নেও দ্রুত সুরাহার দাবি তাদের দিক থেকে রয়েছে।
প্রাক প্রাথমিক শিশুদের শিক্ষার জন্য নিযুক্ত রয়েছেন অঙ্গনওয়ারি কর্মীরা। সম্প্রতি অঙ্গনওয়ারি শিক্ষিকা আর সহায়িকাদের বেতনও কিছু বেড়েছে, যদিও তা দাবির তুলনায় বেশ কম। তবে স্থায়ীকরণের মূল দাবিটি নিয়ে সরকারের তরফে কোনও হেলদোল নেই। কিন্তু মূলত ছোট শিশুদের পড়াশোনার ব্যবস্থা যে অঙ্গনওয়ারি মাধ্যমে, সেখানে বেশিরভাগ জায়গাতেই নেই উপযুক্ত কোনও আস্তানা। বাধ্য হয়ে পড়াশোনা চলে গাছের নিচে বা এমনকি গোয়াল ঘরেও। এই সমস্যা থেকে মুক্তির দাবিটি দীর্ঘদিন চালু হওয়া এই প্রকল্পটিতে এখনো প্রবল উপেক্ষিত।
শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিতে মিড-ডে-মিল প্রকল্প চালু হয়ে গেছে বেশ কিছুদিন এবং ছাত্রছাত্রীদের পুষ্টির প্রশ্নে এই ধরণের একটি প্রকল্পের উপযোগিতা শিক্ষামহলে সকলেই স্বীকার করেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় এই প্রকল্পটি চলছে রন্ধনকর্মীদের চূড়ান্ত শোষণের বিনিময়েই। রবিবার ব্যতীত সপ্তাহে ছ’দিন তারা সকালবেলা হাজির হন বিদ্যালয়ে, অনেক জায়গাতেই বাজার করার সময়সাপেক্ষ কাজ সেরে। তারপর সারাদিন চলে রান্না, পরিবেশন, বাসনপত্র থেকে খাবার জায়গা সাফসুতরো করার কাজ। বিকেলের দিকেই অবসর মেলে বাড়ি ফেরার। সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পর মাসিক বেতন মাত্র দেড় হাজার টাকা, যা যেকোন মানদণ্ডেই চূড়ান্ত শোষণের নিদর্শন। এরপরে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা শাসক দল ক্ষমতার দাপটকে কাজে লাগিয়ে আবার অনেক জায়গায় বেশি রন্ধনকর্মী ঢুকিয়ে দেন প্রকল্পে, আসা টাকা ভাগ হয়ে যায়, মাত্র দেড় হাজার টাকাও রন্ধনকর্মীরা পান না। ইদানিং নয়া বিধি অনুসারে তারা বারো মাসের মাইনেও পাচ্ছেন না, মিলছে দশ মাসের। যদিও পুজোর ছুটি বা গরমের ছুটি একমাসের বেশ কমই থাকে, কিন্তু একমাসের বেতনটুকু কেটে রাখা হয়। ভাতা বৃদ্ধির অতি জরুরি দাবির পাশাপাশি বোনাসের সঙ্গত দাবিও রন্ধনকর্মীরা রেখেছেন সরকারের কাছে।
গ্রামীণ শ্রমজীবী জনগণের একটা বড় অংশ সরকারি প্রকল্পে কর্মরত মহিলারা। শ্রমিক আন্দোলন ও মহিলা আন্দোলনের সৃজনশীল সমাহারের মধ্য দিয়ে এই কর্মীদের রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত করা আজকে একটা গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ কাজ। নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের দাবি-দাওয়ার পাশাপাশি তাদের অসংগঠিত শ্রমিকের সাধারণ আন্দোলনের অংশ করে তোলাও অগ্রণী রাজনৈতিক কর্মীর দায়িত্ব। আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে গ্রামীণ রাজনীতিতে তাদের কী মাত্রায় সক্রিয় করে তোলা যাচ্ছে, তা গ্রামীণ রাজনীতির অন্যতম নির্ণায়ক সূত্র হয়ে ওঠার সম্ভাবনায় উজ্জ্বল।
শহরের পাশাপাশি গ্রামের প্রাথমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিতে কর্মরত পার্শ্বশিক্ষকদের বড় রকমের বাহিনীটি আজ বিক্ষুব্ধ। অনেক বছর হল তাদের সামান্য দক্ষিণা/বেতন স্থবির। নেই ডিএ, বা অসুস্থতা জনিত চিকিৎসার কোনও ভাতা। নিয়মিত শিক্ষকদের মতো সব কাজ সামলানোর পর তাদের বরাতে জোটে বিডিও অপিস থেকে আসা জনগণনা সহ হাজারো কাজ, যার চাপে তাদের একদিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরেকদিকে বিডিও প্রভৃতি প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষর জাঁতাকলে পিষ্ট হতে হয়। শিক্ষক হয়েও তাদের ঠিকা-কর্মীর চরিত্রটা বেশ স্পষ্ট। শিক্ষক হিসেবে তাদের মর্যাদার আন্দোলন চলছে ঠিকাকর্মীর বাস্তব অবস্থানে দাঁড়িয়েই। তাদের সঙ্গবদ্ধ করে নিজস্ব দাবিভিত্তিক আন্দোলনের পাশাপাশি সাধারণভাবে সরকারি প্রকল্পে ঠিকাকর্মীদের সংযুক্ত আন্দোলনে তাদের সামিল করানো ও স্বাভাবিক শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে তাদের আগ্রহী অংশটিকে অগ্রণী সংগঠক হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা জরুরি। বিহার ঝাড়খণ্ড সহ যেসমস্ত জায়গায় এই কাজে বেশ কিছু সাফল্য পাওয়া গিয়েছে, তার থেকে পশ্চিমবঙ্গেও এ’বিষয়ে আমরা বেশ কিছু শিক্ষা ও প্রেরণা নিতে পারি।
ভারতে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্পটি বৃহৎ সামাজিক প্রকল্প হিসেবে ব্যাপকভাবে চর্চিত। কিন্তু প্রতিশ্রুতির সঙ্গে তার বাস্তব রূপায়ণে ফারাক আসমান জমিন। নামে একশো দিনের প্রকল্প হলেও বাস্তবে কাজ মেলে কুড়ি পঁচিশ দিন। কোথাও বা আরেকটু বেশি। ফলে বছরে ষাট দিন মতো ক্ষেতমজুরের কাজ পাওয়া গ্রামীণ মেহনতি মানুষের বার্ষিক দিন গুজরানের ক্ষেত্রে এই প্রকল্প বাড়তি সুবিধা সামান্যই দেয়। দিন পঁচিশের বেশি কাজ পাওয়া সম্ভব হয় না, পাশাপাশি এ’নিয়ে দুর্নীতির মাত্রা ব্যাপক। কাজ না দিতে পারলে ভাতা দেবার যে নিয়ম আছে, সেটা প্রায় মানাই হয় না। কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মুরুব্বিয়ানা ভালোরকম সক্রিয় থাকে। যতজন কাজ করে, তার চেয়ে বেশি লোকের নাম মাস্টার রোলে দেখিয়ে গ্রামীণ মুরুব্বি সরকারি কর্তাব্যক্তিদের গাঁটছাড়া অতিরিক্ত টাকার ভাগ বাঁটোয়ারা করে নেয়। খাতায় কলমে কর্মসংস্থান আর বাস্তবের হিসেবে তৈরি হয় ব্যাপক গরমিল। এই গরমিলের অভিযোগ এনেই কেন্দ্রের সরকার এই বাবদ রাজ্যের মজুরি বাবদ টাকা আটকে রেখেছে। কারোর বা দশ হাজার, কারোর আবার পঁচিশ তিরিশ হাজার। কাজ করেও মজুরি না পাবার বিরুদ্ধে আমরা আওয়াজ তুলেছি, “কেন্দ্র রাজ্য বুঝি না। কাজ করেছি মজুরি দিতে হবে।” দুর্নীতি হয়ে থাকলে তার তদন্ত করে দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দেওয়া হোক, কিন্তু গ্রামীণ গরিব মানুষের হকের টাকা আটকানো চরম অবিচার।
সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পর দুর্বলতার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামীণ রাজনীতিতে একটি বিশেষ রাজনৈতিক মাত্রাও সংযুক্ত হয়েছে। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সম্পন্ন হলেও উল্লিখিত প্রকল্পগুলি কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প হওয়ায় এ’নিয়ে সামগ্রিক রাজনৈতিক কাঠামোর একটা আদল গ্রামীণ জনগণের কাছে স্পষ্ট করার সুযোগ ও প্রয়োজনিয়তা আছে। সরকারি আধিকারিক ও কর্তাব্যক্তিরা বহুক্ষেত্রেই বিভিন্ন প্রকল্পের অব্যবস্থা ও ব্যাপক দুর্নীতির মদতদাতা ও প্রত্যক্ষভাবে দায়ী। গ্রামীণ মুরুব্বি, পঞ্চায়েতের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে মিলিতভাবে সমস্ত প্রকল্পগুলি তারা নিয়ন্ত্রণ করেন। শুধু পঞ্চায়েত কাঠামোর মধ্যে থাকা ব্যক্তিবিশেষের দুর্নীতি বা নির্দিষ্ট পঞ্চায়েত বোর্ডের দুর্নীতির বাইরে গোটা সামাজিক রাজনৈতিক প্রশাসনিক ব্যবস্থার অকর্মণ্যতা ও দুর্নীতিপরায়ণ ছবিটি স্পষ্ট করে তোলা একটি জরুরি রাজনৈতিক কাজ। গোটা ব্যবস্থার পচন আর সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃত পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার দিকটিও গ্রামীণ জনগণের সামনে তুলে ধরা দরকার। এর চলমান প্রয়াস গ্রামীণ রাজনীতিকে অর্থনীতিবাদের ওপরে স্থাপন করতেও নিশ্চিতভাবে সাহায্য করবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে এই সমস্ত প্রচারের মঞ্চ করে তুলতে হবে আমাদের।
- সৌভিক ঘোষাল