সারা বিশ্বে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৬১ নম্বরে ঠাঁই হল ভারতের। ‘দ্য রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’এর এই সূচকে ২০২১ সালে ভারত ছিল ১৪২ নম্বরে, ২০২২ সালে ১৫০ নম্বরে। অর্থাৎ পরপর দু’বছর, বিশেষত গত একবছরে ১১ ধাপ নেমে গেল ভারত। এদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হিংসা ও আইনের অপব্যবহারের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমেরও রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে ওঠার কথা উল্লেখ করে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স বলেছে, “প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ট ধনকুবেররা সংবাদমাধ্যম অধিগ্রহণ করায় বহুত্ববাদের ক্ষতি হয়েছে।” সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি ‘সমস্যাসঙ্কুল’ থেকে ‘খুব খারাপ’ হয়ে উঠেছে। এমনকি একাধিকবার সামরিক শাসন দেখে আসা পাকিস্তানও সাত ধাপ উঠে ১৫৭ নম্বরে রয়েছে। তালিকার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে, সবার নীচে উত্তর কোরিয়া।
(আনন্দবাজার পত্রিকা, ৪ মে ২০২৩)
আগামী বছর লোকসভা ভোট। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তিকে ‘অরাজনৈতিক’ মোড়কে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। ‘বিশ্বগুরু’র পাশাপাশি তাঁকে ‘দেশের শিক্ষাগুরু’ হিসাবেও তুলে ধরতে অসংখ্য ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের সামনে হাজির করা হবে। যাদের ভোটদানের বয়স হয়নি, দেশের সর্বোচ্চ আসন থেকে তাদের বার্তা দিলে তার যথেষ্ট প্রভাব অভিভাবকদের উপরে পড়বে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের প্রস্তুতি তুঙ্গে। চিঠির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক এবং ‘ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট’এর পক্ষ থেকে এই বছরের মাঝামাঝি প্রকাশ করা হবে নতুন ক্যালেন্ডার। সেই ক্যালেন্ডারে প্রত্যেক মাসে থাকবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি সহ সংলাপের চিত্ররূপ। ছাত্রদের বিভিন্ন বিষয়ে নীতিশিক্ষা দিতে দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রীকে।
(আনন্দবাজার পত্রিকা, ৪ মে ২০২৩)