ধুবুলিয়ায় তৃণমূলের রাজনৈতিক সন্ত্রাস — প্রতিবাদে বিক্ষোভ সভা
protest-rally

ধুবুলিয়ার বুকে শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশকে বিনষ্ট করে গুন্ডামী ও রক্তপাত ঘটালো তৃণমূল আশ্রিত জমির দালালরা। প্রায় ৪০ বছর ধরে প্রতিষ্ঠিত সিপিআই(এমএল) অফিসের জমিকে দখল করার চক্রান্ত করলো ওদের এক পঞ্চায়েত সদস্য। গত ১১ মে দেশবন্ধুনগরে অফিসের জমিতে ঐ সদস্য ও তার দলবল বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ করে, পার্টি এবং পার্টির নেতার নামে অকথ্য গালিগালাজ করে, ঘর-বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দেয়। এমনকি প্রাণে মেরে ফেলার শাসানি দেয়। জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় ফয়সালা করবে ল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট, তাতে পঞ্চায়েতের কোনো ভূমিকা নেই। এই প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ জানালে পার্টির এক সমর্থকের উপর সে আক্রমণ করে। তাঁর নাক ফাটিয়ে দেয়, ফলে রক্ত ঝড়তে থাকে। অফিসের সামনে এই ঘটনা দেখে উপস্থিত কর্মীরা ছুটে গিয়ে প্রতিরোধ করে দুষ্কৃতিদের তাড়া করলে সে পালিয়ে যায়। এইভাবে ধুবুলিয়ার বুকে প্রকাশ্য দিবালোকে তৃণমূলের নজিরবিহীন গুন্ডামী ও সন্ত্রাস দেখা গেল। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়।

ঐ পঞ্চায়েত সদস্য এবং তার সাকরেদরা একজন ব্যক্তিকে ভুয়ো জমির মালিক বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পার্টি অফিসের পার্শ্ববর্তী জমি দখল করার চক্রান্ত করছে। অথচ ঐ জমিতে সিপিআই(এমএল)-এর অধিকার সামাজিকভাবে স্বীকৃত। পার্টি এই জায়গায় আমের বাগান দীর্ঘ কয়েকদশক ধরে পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে চলেছে। ধুবুলিয়ার মানুষ জানে যে এয়ারফিল্ড ও আরআর ডিপার্টমেন্টের জমিতে রেকর্ড হয় না। ফলে ভূয়া রেকর্ড করার কারণে ইতিপূর্বে ঐ ব্যক্তির মিথ্যা মামলা হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেছে। বেশ কয়েকবার ১৪৪ ধারা দায়ের করার পর সেগুলিও উঠে গেছে। আইন আদালতে সে কোন রায় পায়নি। বেগতিক বুঝে গায়ের জোরে ওরা জমি দখলের চক্রান্ত করছে।

সারা রাজ্যে তৃণমূলের দুর্নীতি যখন একেবারে খোলাখুলি হয়ে পড়ছে তখন তাঁদের আশ্রিত জমির দালালরা ধুবুলিয়ার বুকে বেআইনি দখলদারির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ ধুবুলিয়ায় সরকারী জায়গায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের অফিস রয়েছে। এখানে পারস্পরিক সহনশীলতার এক পরিবেশ বজায় আছে। তাকে ওরা ধ্বংস করতে চাইছে। ক্ষমতার জোরে এই সন্ত্রাস ও পার্টি অফিসের জমি দখলের চক্রান্তের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সেই দিনই পার্টির পক্ষ থেকে স্থানীয় নেতাজী পার্কে বিক্ষোভ সভা সংগঠিত হয়। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি জানানো হয় অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এর পরদিন ধুবুলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে প্রচার কর্মসূচি চালানো হয়।

হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ধিক্কার এবং পার্টির প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে ব্যাপক মানুষ সোচ্চার হয়ে উঠেছে। সমগ্র এলাকা জুড়ে নিবিড় প্রচার এবং বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

খণ্ড-30
সংখ্যা-15