২৮ এপ্রিল ২০২৩ অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে এআইসিসিটিইউ রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বরা এবং বরিষ্ঠ নেতা অমলেন্দু ভূষণ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বিরসূল হাট ইউনিয়নের ৯৩ জন হকার ছাড়াও যাদবপুর ও শিয়ালদহ অঞ্চলের কয়েকজন হকার সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনের শুরুতে বিগত দিনে যে সকল হকার সাথী ও সহনাগরিকরা প্রয়াত হয়েছেন এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শহীদ হয়েছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণে অতনু চক্রবর্তী বর্তমান ভারতবর্ষের পরিস্থিতি, রাজ্য পরিস্থিতি এবং বিরসূল হাট ইউনিয়নের লড়াইয়ের ইতিহাস ও আগামী কর্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা রাখেন। এরপর ইউনিয়ন সভাপতি দিবাকর ভট্টাচার্য্য ভারতবর্ষের শ্রমিক-কৃষকের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে বিপথগামী করতে বিজেপি-আরএসএস-এর বিভাজনের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকা এবং পদ্মপুকুর অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ রাখার আহ্বান জানান। আগামীদিনে কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী অবিলম্বে হকারদের লাইসেন্স, পরিচয় পত্র দেওয়া এবং বিদ্যাসাগর মঞ্চের মার্কেট কমপ্লেক্সে হকারদের স্টল দেওয়ার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ফিরোজ খান (গুড্ডু), মহম্মদ শাহাবুদ্দিন, মহম্মদ সিরাজ, মহম্মদ দৌলত, মহম্মদ মনসুর, মহম্মদ জাফর সহ কয়েকজন হকার নেতৃত্ব। বক্তারা হকারদের দাবি সহ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। এছাড়াও হকারদের অধিকার আন্দোলনের দীর্ঘ লড়াইয়ে এআইসিসিটিইউ এবং সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের অবদান এবং প্রয়াত কমরেড বিভাস বোসের (বুড়োদা) অবদানের কথা বার বার উল্লেখ করেন।
মে মাস’কে আন্দোলনের মাস হিসাবে চিহ্নিত করা, মে দিবসের শতবর্ষে বড় জমায়েত, ‘বিজেপি হঠাও-দেশ বাঁচাও’ স্লোগানসহ ইউনিয়নের দাবিগুলিকে তুলে ধরা, ১০ মে’র মধ্যে সদস্যদের বকেয়া চাঁদা (ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত) জমা করা এবং ইউনিয়ন সদস্যদের নামের তালিকা প্রস্তত করা, হকারদের দাবি নিয়ে এলাকায় বড় সভা করা, কলকাতা কর্পোরেশন অভিযান সংগঠিত করে মেয়রের কাছে দাবি সনদ পেশ করা, এন্টালি এবং বেনিয়াপুকুর থানায় মিছিল করে দাবি সনদ দেওয়া ইত্যাদি সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
পরিশেষে ৪১ জনের কাউন্সিল, ২১ জনের কার্যকরী কমিটি গঠন হয়। দিবাকর ভট্টাচার্য্য - সভাপতি, অশোক সেনগুপ্ত - কার্যকরী সভাপতি, মহম্মদ জাফর, মহম্মদ আমিন, মহম্মদ কলিম, মহম্মদ মনসুর, মহম্মদ রহমান, মহম্মদ ফিরোজ খান (গুড্ডু), মহম্মদ সামসের প্রমূখ সহ সভাপতি, মহম্মদ সামিম – সাধারণ সম্পাদক, মহম্মদ রুস্তম, মহম্মদ শাহাবুদ্দিন, খোকন ঘোষ, মহম্মদ সাদ্দার, মহম্মদ সিরাজ প্রমূখ সহ সম্পাদক এবং মহম্মদ সিরাজ কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন।
অত্যন্ত প্রাণবন্ত পরিবেশের মধ্য দিয়ে এবং আগামী দিনে দাবি আদায়ের শপথ নিয়ে সম্মেলন কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।
- অশোক সেনগুপ্ত, বিরসূল হাট লেদার হকার্স ইউনিয়ন এবং কলকাতা ষ্ট্রীট হকার্স ফেডারেশনের পক্ষে