শিলিগুড়িতে কাওয়াখালি-পোড়াঝাড় ভূমিরক্ষা কমিটি ও তিস্তা-মহানন্দা প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কমিটির পক্ষ থেকে প্রথমে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ অফিসে জেলাশাসকের উদ্দেশ্যে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। তার আগে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম থেকে মিছিল করে মহকুমা পরিষদ দপ্তরের সামনে এলে পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করে। মিছিল থেকে ৭ জনের প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি পেশ করে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন এআইসিসিটিইউ থেকে বাসুদেব বসু, সিটুর পক্ষ থেকে গৌতম ঘোষ, ইউটিইউসি থেকে তাপস গোস্বামী, এআইকেএমএস থেকে অমল রায়, কাওয়াখালি পোড়াঝাড় ভূমি রক্ষা কমিটির পক্ষে মিঠু মল্লিক, স্বপ্না বাইন ও তিস্তা মহানন্দা ভুমি রক্ষা কমিটির পক্ষে সুরেন দাস। স্মারক লিপিতে দাবি করা হয়,
১) অবিলম্বে কাওয়াখালি পোড়াঝাড় অঞ্চলে অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত দিতে হবে।
২) বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কৃষকদের পুনর্বাসন না দেওয়া হলে উৎসধারা আবাসন প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হবে।
৩) কর্তৃপক্ষকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যুক্ত বৈঠকের ব্যবস্থা করতে হবে, ইত্যাদি।
পরিশেষে বাসুদেব বসু বিস্তারিতভাবে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার সারমর্ম তুলে ধরেন। পরবর্তীতে উত্তরায়ণে এসজেডিএ দপ্তরে যাওয়া হয়। একই প্রতিনিধি দল এসজেডিএ সিইও’র সাথে সাক্ষাত করে। সেই সাক্ষাতে সিইও জানান ২৫২ জনের নামে জমি বণ্টন ও আবাসন গড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। এইসব নিয়ে দ্রুত বৈঠক ডাকা হবে। সমস্ত কর্মসূচিতে দার্জিলিং জেলার এআইকেএম সম্পাদক পবিত্র সিংহ নেতৃত্ব দেন। উপস্থিত থাকেন শরৎ সিংহ, পৈসাঞ্জু সিংহ, মুক্তি সরকার প্রমুখ।