চেন্নাইয়ের এন্নোর বন্দরের কাছে সমুদ্র উপকুলে আদানি কোম্পানি বেআইনিভাবে ভোজ্য তেলের ট্যাঙ্ক গুদাম বানিয়েছিল। আদানিদের এই বেআইনি ও উপকূলের পরিবেশ ধ্বংসকারী ব্যবসার বিরুদ্ধে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের মাঝে কর্মরত একটি সংস্থা জাতীয় সবুজ আদালতে মামলা করে। ২০২০ সালে জাতীয় সবুজ আদালত আদানির এই কাঠামো নির্মাণকে সম্পূর্ণ বেআইনি বলে রায় দেয়, কোম্পানিকে কাঠামো সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেয় এবং ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা জমা দিতে বলে।
এখানে গায়ের জোরে ট্যাঙ্কগুদাম বানিয়েছে ওরা। দেশের আইনের তোয়াক্কা না করে। ‘উপকুল নিয়ন্ত্রণ অঞ্চল নির্দেশিকা ২০১১’ অনুযায়ি সমুদ্র উপকুলে এরকম নির্মাণ নিষিদ্ধ। কিন্তু আদানিরা দেশের আইন মানে না। এমনকি, কোনও রকম অনুমতি নেওয়ারও দরকার বোধ করে না। কোনওরকম সরকারি অনুমতি ছাড়াই ট্যাঙ্ক ও পাপলাইন বানাতে শুরু করে দেয়। ২০১৫ সালে। কেন্দ্রে তখন নরেন্দ্র মোদির সরকার এসেছে। মোদি সরকার বিভিন্নভাবে অবৈধ সুবিধা দেয় আদানি গোষ্ঠিকে। ২০১৯ সালে মোদি সরকার এমনকি ‘উপকূল নিয়ন্ত্রণ অঞ্চল’ নির্দেশিকা বদলে দিয়ে আদানির এই হিউজ ট্যাঙ্কগুলিকে ‘বৈধ’ অনুমতি দেয়। কিন্তু জাতীয় সবুজ আদালত একে সম্পূর্ণ বেআইনি বলে।
জাতীয় সবুজ আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে আদানি কোম্পানি সুপ্রিম কোর্টে দরবার করে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সুপ্রিম কোর্ট সবুজ আদালতের রায়কেই বহাল রেখে আদানিদের ট্যাঙ্ক গুদাম ভেঙে সরিয়ে দেওয়ার আদেশ দিয়েছে। এই রায়ের দশ দিন আগে ২৪ জানুয়ারি হিনডেনবার্গ রিসার্চ প্রকাশিত হয় যা আদানি কোম্পানির সমস্ত রকম ব্যবসার নেটওয়ার্কে চলা জালিয়াতি, প্রতারণা ও আর্থিক তছরুপকেও সামনে এনেছে। মোদি ও আদানি দোসর। কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় বসে মোদি দেশের স্বার্থ বেচে দিচ্ছে। মোদির পৃষ্ঠপোষকতায় আদানিরা অবাধে লুটপাট চালাচ্ছে। দেশের খেটে খাওয়া মানুষের দুর্দশা বেড়েই চলেছে।