পার্টি কংগ্রেসের শেষ দিনে ৭৬ জন সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ও ৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল কমিশন নির্বাচিত হয়। পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আরও একবার নির্বাচিত হলেন কমরেড দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। গত আড়াই দশক ধরে তিনিই সাধারণ সম্পাদক আছেন। কমরেড রাজা বহুগুণা কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল কমিশনের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন।
কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য সদস্য কমরেডদের মধ্যে আছেন স্বদেশ ভট্টাচার্য, বিহার রাজ্য সম্পাদক কুনাল, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার, এআইসিসিটিইউ জাতীয় সচিব ভি শংকর ও জাতীয় সভানেত্রী তথা স্কিম ওয়ার্কারস ফেডারেশনের নেত্রী শশী যাদব, তামিলনাড়ু রাজ্য সম্পাদক আসাইতাম্বি, পুডুচেরি রাজ্য সম্পাদক এস বালাসুন্দরম, অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য সম্পাদক এন মুর্তি, সিপিআইএমএল বিহার বিধায়ক দলের নেতা মেহবুব আলম, আসাম রাজ্য সম্পাদক বিবেক দাস, প্রাক্তন জেএনএসইউ ও আইসা প্রেসিডেন্ট সুচেতা দে, উড়িষ্যার রাধাকান্ত শেঠি, কর্ণাটক রাজ্য সম্পাদক ক্লিফটন ডি রোজারিও।
কর্ণাটকের মৈত্রেয়ি কৃষ্ণান, উত্তরাখণ্ডের কৈলাশ পাণ্ডে ও ঈন্দ্রেশ মৈখুরি, প্রাক্তন ছাত্রনেত্রী ও বর্তমানের আশা শ্রমিক ইউনিয়নের নেত্রী স্বেতা রাজ, বিপ্লবী যুব অ্যাসোসিয়েশনের নীরজ কুমার, রাজস্থানের ফারহাত বানো, আইপোয়া নেত্রী ইন্দ্রানী দত্ত, মঞ্জু প্রকাশ, কুমার পারভেজ, নবীন কুমার, প্রকাশ কুমার, সত্যদেব রাম (বর্তমান বিধায়ক) এবং আইসা সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ সৌরভ কেন্দ্রীয় কমিটিতে নির্বাচিত নির্বাচিত হয়েছেন।
বিশিষ্ট সামাজিক ও আইন সংক্রান্ত আন্দোলনকর্মী/পেশাজীবীদের নিয়ে ‘লিঙ্গ ন্যায় সেল’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পার্টি কংগ্রেস, যে সেল পার্টির জেলা কমিটির বা তার উপর কোনো কমিটির সদস্যের বিরুদ্ধে যে কোনও মহিলার আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ বিচার করে দেখবে। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় স্তরেই এরকম সেল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৯.০২.২০২৩-এর আলাপ-আলোচনার শেষে কংগ্রেস পার্টি সংগঠন সংক্রান্ত প্রতিবেদন গৃহীত করে এবং পার্টির সাধারণ কর্মসূচি ও পার্টি সংবিধানে আনা সংশোধনী পাস করে। কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল কমিশনের রিপোর্ট পেশ হয় এবং তারপর নির্বাচন সংগঠিত হয়।
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং ভারতের সংবিধান ও গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই শক্তিশালী করার কাজ চালিয়ে যাব আমরা।